অনুভুতিহীন জীবনের অপেক্ষায়... http://www.raatmojur.com/
প্রিয় নেত্রীদ্বয়,
এই কুকুরের মত কামড়াকামড়ি বন্ধ করতে হবে। হ্যাঁ, অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। বয়স খুব একটা বেশি না আমার, তবে আজন্ম কুত্তাকামড়াকামড়ি ছাড়া ভালো কিছুতে দেখিনি কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন গুলোকে।
যে লাইব্রেরীর কার্ড ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই অফিস থেকে তুলে আনতে পারে সেখানে আপনাদের ছাত্রসংগঠন সেগুলো নিজেদের দখলে নিয়ে বিলি করছে - দরকার নেই তো! তাতে বরং বাড়ছে কার্ডটা হাতে পাবার সময় আর মধ্যবর্তি ঝামেলা।
বিভিন্ন দিবসে খিচুড়ি মিছিল, মহড়া, আলোচনা সভার নামে অপরপক্ষকে নীচু করবার আপ্রান চেষ্টা - মাইকের গুঁতোয় আশেপাশের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের যে নাভি:শ্বাস উঠে সেটা ভাবেন একবারও? আপনাদের ঐ আলোচনা সভার থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ন হলো পরের হপ্তার পরীক্ষার জন্যে পড়া তৈরী - সেটা বাপবাপ করে পালায় মাইকের গুঁতোয়।
ভর্তি পরীক্ষার সময় আপনাদের সাইনবোর্ড নিয়ে জনদরদী স্বেচ্ছাসেবকের দরকার নেই, আমাদের ছেলেমেয়েরা এত বোকা না যে সীটপ্ল্যান আর ম্যাপ বুঝবে না ভবন আর কক্ষ নাম্বার পরিষ্কার লেখা থাকলে।
দলীয় বড়ভাইদের হাত না ধরলে হলে সীট পাবে না - কেন পাবে না? কারন শুরুটা, গোড়াটা। গোড়াতেইতো হল বরাদ্দ করছেন দলীয় কর্মীদের, কেন? কেন মেধা অথবা দারিদ্র আসছেনা ভাবনার মানদন্ডে?
একজন শিক্ষক, এজন শিক্ষাগুরু - তাঁর কেন পলিট্যিক্যাল ইতিহাস থাকবে? তবে নিরপেক্ষতা আর ন্যায় শেখাবেন কিভাবে তিনি?
রাজনৈতিক দল কি হবে ক্যাম্পাসে? ছাত্রছাত্রীদের দেখভাল? তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে? অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যে? সেটা কি রাজনৈতিক সীল নাথাকলে সম্ভব না? স্বত:স্ফুর্তভাবে ছাত্রছাত্রীরা ধর্ম-অঞ্চল-রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে একজোট হয়ে সেটা করলে বরং ন্যায়ের আর মানবাধিকারের সমুন্নত থাকবার সম্ভাবনাটা বেশি না?
ক্যান্টনমেন্টের আওতার স্কুল-কলেজগুলোর দিকে দেখুন একটু। স্কাউটস, বিএনসিসি আর কিছু কালচারাল ক্লাব - পরিবেশ যেমন শান্ত আর সুশৃংখল তেমনি আছে পড়বার পরিবেশ। অন্তত: পাগলা কুকুরের কামড়ে মরবার ভয় নেই।
নাকি আপনাদের ধারনা কোন না কোন রাজনৈতিক মতবাদের ব্যানার না থাকলে গলার জোর থাকেনা? মানুষের মানবতা থাকে না? গলায় একটা ডগ-ট্যাগ ছাড়া মানুষ আদর্শবাদী হয়না না নাকি? বলুন একটু প্লিজ।
মানুষের জণ্যে অনেক কিছুই করা যায়। এই তো, স্কাউটিং, বিএনসিসি, লায়নস, রোটারাক্ট এর মত সুনামওলা দলের পাশাপাশি আছে সন্ধানি, বাঁধন, কোয়ান্টাম ক্লাব। আছে সাংস্কৃতিক দল। কৈ? এদের নামে তো ক্যাম্পাস দখল, খুনোখুনি, মারামারি, মহড়া দেওয়া - কোন দূর্নাম নেই? তবে?
শেখ মুজিব আর জিয়াউর রহমান - দুজনাই গুনি ব্যাক্তি, দেশের জনয়ে অবদান কারো কম নেই।
আসুন না ওঁদের আত্মার সত্যকার শান্তি চেয়ে আমরা আর লাশদুটো টানা হেঁচড়া না করি। তাঁদের নাম পাথরে আর মানুষের রক্তে খোদাই করবার চাইতে অনেক বেশি স্থায়ী হবে তাঁদের আদর্শগুলো আদর্শপন্থায় মানুষের সামনে তুলে ধরি। ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে নয়।
ছাত্রছাত্রীদের পড়তে দিন, রাজনীতির জন্যে সারাটা জীবন পড়ে আছে। আদর্শ মাথায় ঢোকাবার জিনিষ, তবে সেটা মাথায় হাতুড়ি ঠুকে ঢোকানো সম্ভব নয়।
যুক্তি দিয়ে মন জয় করুন, সেটা চীরস্থায়ি, অস্ত্র ধরে মন জয় করবার চেষ্টাটা অসার ছাড়া কিছুই নয়।
প্রমান করুন আসলেই আপনারা মানুষের জন্যে রাজনীতি করেন, মানুষ মোটিভেটেড হবে এমনিতেই, প্রান কাড়তে হবে না, স্বেচ্ছায় দিয়ে যাবে ওরা।
দেশ থাকলে তবেই মোড়লি করবার সুজোগ পাবেন পাঁচসালা চুক্তিতে, দেশ গেলে তখন কি হবে একবার ভেবে দেখবেন দয়া করে।
একে অপরের দোষারোপ বন্ধ করুন, অন্তত: দেশের জন্যে। আপনাদের এই বিভেদের সুজোগ নেওয়া পাকিস্থানি প্রেতাত্মাগুলোর বিরুদ্ধে একজোট হন।
* এই বিষেদগার শুধু মাত্র বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যে। রাজাকার কুত্তার প্রেতাত্মারা দুরে থাকিস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।