অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই
১.
গুহার মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকলে সূর্যের দেখা পাওয়া সম্ভব না। ক্ষুদ্র জোনাক পোকাকে দেখো- আধাঁরকে সে আলিঙ্গন করে না। নিজের মাঝে সে আলো সৃষ্টি করে নেয়। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, ক্ষুদ্র জোনাক পোকার চেয়েও তার কর্ম দক্ষতা/বুদ্ধি আরো উচুঁ। মানুষ জানে কিভাবে কৃত্রিম আলো সৃষ্টি করতে হয়।
তোমার চোখের মণিতে সূর্যকে বেঁধে রেখো আর গলায় জড়িয়ে রেখো নিয়ন আলোর হার।
২.
একজন ব্যার্থ মানুষের তিনটা হাত থাকে: ডান হাত, বাম হাত, এবং অজুহাত। কোন অজুহাত বানানোর পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়াই ভালো।
লতানো পেচানো কোন স্বর্নলতার মত হলো অজুহাত, যার জন্য বার বার হোঁচট খেতে হয়।
শিশুরা হোঁচট খেতে খেতেই হাঁটা শিখে, কিন্তু যারা হাঁটতে জানে তাদের জন্য হোঁচট খাওয়া উচিত না(তাদের জন্য হোঁচটা জিনিসটা কোন সফল বয়ে আনে না)।
৩.
বেঁচে থেকেও মৃত মানুষের মত বসবাস করার কোন মানে হয় কি? গাছেরও যে প্রাণ আছে তা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। গাছের সবুজ পাতাকে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে নিতে ফুলে ফেঁপে উঠতে দেখি না আমরা। তোমার ভারী নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আমাদের কানে ঝংকার তুলুক। তোমার অস্তিত্ব যেনো হাতের তালুর রেখা হয়ে থাকে।
৪.
পেঙ্গুইন, এক ধরনের পাখি।
তাদের পাখা থাকার পরও তারা উড়তে পারে না।
আমার ডানা নেই, তবুও আমি পাখি। কারণ আমি উড়তে জানি। আকাশ ছোঁয়ার অদম্য ইচ্ছা আমার আছে আর আছে জয় ছিনিয়ে আনার বাসনা।
সব মানুষের বুকেই একটা পাখি ঘুমিয়ে থাকে।
তাকে আদর করে ঘুম পাড়ানীয়া গান শুনালে পাখি একদিন নৌকো হয়ে যায়। নৌকো উড়ে না, সে ভেসে বেড়ায়। সেই নৌকো নিজে নিজে ভাসতেও জানে না, সে জলের স্রোতের কারণেই ভেসে যায়।
আমি বেছে নেই পাখিকে। ডানাহীন পাখির উড়তে পারার কথাও না।
তবে উড়তে চাওয়ার ইচ্ছাটাতে পানি দিতে হয়। একদিন এই ইচ্ছাটাই পাখির মত উড়তে পারে।
http://www.youtube.com/watch?v=c71-VVrbB4w
৫.
মুগ্ধ করা অন্ধকারের গান তোমার খোলা জানালা দিয়ে কখনো ভেসে আসতে পারে। সেই গান বুকের পাজরে আটকে ফেলো না। সে ক্রমশ তোমার হাতে পায়ে সোনার শিকল পড়িয়ে দিবে।
চোখ বেঁধে দিবে নরম মখমলের ওড়নাতে।
এত সহজে অন্ধকারের গানকে তোমার নিজের উপর কর্তৃত্ব করতে দিও না।
ভাবো না। সূর্য তোমার জানালার পর্দা চুঁয়ে চুঁয়ে নেমে আসবে এক সকালে।
উৎসর্গ: সাইফ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।