বাঙালি জাতির ইতিহাস হাজার বছরের বলে শুনি। তারপরও বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের পর একজন পিতার সন্ধান পেয়েছে। এখন শুনছি ভাষা আন্দোলনেরও জনকের উদয় হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে একুশে চেতনা পরিষদ। ধানমন্ডিতে যে জাদুঘর করা হচ্ছে সেখানেই নাকি জন্মলাভ করছেন ভাষা আন্দোলনের জনক বা একুশের পিতা।
বাঙলা ভাষা সূদুর অতীত থেকেই অবহেলার শিকার হয়েছে। তবে প্রতিবাদও হয়েছে তাৎক্ষনিক। সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি নোয়াখালী জেলার সুধারাম পল্লীর আব্দুল হাকিম বহুপূর্বেই বাঙলা ভাষার প্রতি অবহেলা দেখে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে লিখেছেন,
মাত-পিতামহ-ক্রমে বঙ্গেতে বসতি।
দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি। ।
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে না জুয়ায়।
নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশে না যায়। ।
সুতরাং দেখা যায় বাঙলা ভাষা প্রতিষ্টার সংগ্রাম কেবল পাকিস্তান অর্জনের পর নয়, সূদূর অতীত থেকেই চলে আসছে এবং এই সংগ্রামের অগ্রথিক হচ্ছে আব্দুল হাকিম।
এখন সন্দেহ দেখা দিয়েছে একুশে চেতনা পরিষদের ভাষ্য নিয়ে।
এ পরিষদে আছেন আওয়ামী ঘরানার আহমদ রফিক, কামাল লোহানী, বিচারপতি গোলাম রব্বানী। তারা ভাষা আন্দেলনের জনকের উত্থানের বিরুদ্ধে একটা সভাও করেছেন মু্ক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। তাই সন্দেহ হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের জনকের পদটা হাইজ্যাক হচ্ছে না কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।