চলতে এখনও করিনি শুরু, খাঁচার ভেতর কেবল উড়ুউড়ু!!
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শুক্রবার পুলিশ ও ছাত্র সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নামে ঘটনার ইন্ধন যোগানোর দায়ে মামলা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্ভূত অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আগামী ০৪.০২.২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সকল বিভাগের বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার প্রথমটি স্থগিত করেছে। বাকি পরীক্ষা গুলো আগের সূচী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
ঘটনার দিন যা হয়েছিল তাতে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ঠতা ছিল বলে আমার মনে হয় না। ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের কর্মীরা ঐ ঘটনায় সংশ্লিষ্ঠ ছিল কারন তারা সর্ব প্রথম রুয়েটের ছাত্র।
সেদিন যা হয়েছে তা হল ছাত্রদের আবেগ, অনুভূতির ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পুলিশের হাতে লাঞ্চিত হয়েছে, মার খেয়েছে, স্যারে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়েছে এই ব্যাপারটা কোন ছাত্রই মেনে নিতে পারে নি। আমি নিজে অনেক ছাত্রকে দেখেছি যারা কখনও কোন অনুষ্ঠানে যায় না, সারাক্ষন নিজের রুমে (রুয়েটের ভাষায় kl2)থাকে তারাও গিয়েছে। কোন ছাত্রলীগ বা ছাত্রশিবিরের কর্মীর পক্ষে তাদেরকে রুম থেকে বের করা দুরূহ ব্যাপার কিন্তু তারাও ছিল।
ছাত্রলীগ ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু তারা পারে নি কারন অবশ্যই ছাত্র শিবিরের ইন্ধন নয়(আমার মতে)।
কারন ছাত্রদের আবেগ, অনুভূতি, উত্তেজনা এবং সেলিম স্যারের জনপ্রিয়তা।
এই ঘটনায় আহতদের অধিকাংশই ছাত্রলীগ কর্মী, ছাত্রলীগের কারনে অনেক সাধারন ছাত্ররা বেঁচে গেছে এটা সত্যি। ছাত্র শিবিরের অনেক ব্যাপার আছে যা হয়ত আমরা সাধারন ছাত্ররা জানি না। যেমন তাদের গোপনীয়তাঃ আজ বিকেলে তারা কি করবে এই ঘটনা ছাত্রশিবিরের কর্মীরা ছাড়া কেউ জানবে না। তেমনই তাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা, ছাত্রলীগের সাথে বিরোধ তার কিছুই সাধারন ছাত্ররা জানেনা।
তবুও এই ঘটনার জন্য আমার মনে হয় ছাত্র শিবিরকে কোন ভাবে দায়ী করা যায় না। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাবে কারন সরকার এখন আওয়ামী লীগ।
ঘটনা যদি তিন বছর আগে ঘটত। তখন সংবাদ পত্রে এই ভাবে আসত যে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক পুলিশ ও ছাত্রলীগ ক্যাডার আহত। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
কারন তখন সরকার ছিল ৪দলীয় ঐক্যজোট। হায়রে আমার দেশের রাজনীতি!! শুধু তারা আমার বিরোধী বলে যে ঘটনা সত্য নয় তা তাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে আমি ফায়দা লুটব। প্রকৃত ঘটনা পড়ে থাকবে সবার অন্তরালে। তারা আমার বিরোধী তাই যে ভাবেই হোক তাদেরকে দমন করতে হবে। এই মিথ্যা-নোংরা কাদা ছুড়াছুড়ি আর কতদিন দেখতে হবে?? আমাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা কি একটু উন্নত হবে না?? আমরা কি মনে রাখব না....
গোলাগুলি নাই, গালাগালি আছে তাই দিয়ে তার লড়ে
বোঝেনাক’ থুথু উপরে ছুড়িলে আপনারই মুখে পড়ে।
বিঃদ্রঃ আমাদের রাজনীতিতে গোলাগুলিও আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।