আল বিদা
ঠিক সন্ধ্যা ৬টায় মতিঝিলে আমার কাজ শেষ হল। খুব আনন্দের কিছু কাজ করলাম। বন্ধুরা মিলে একটা ট্যুরের প্ল্যান করছি। তার কিছু এরেজ্ঞ কালকে শেষ করলাম। কি মনে করে মতিঝিল থেকে রিকশা নিয়ে বাড্ডায় আমার বাসার দিকে রওনা হলাম।
রিকশায় বসে বসে বন্ধুদের এসএমএস করলাম কারন তাদেরও খুশির খবরটা দিতে হবে।
শাহজাহানপুর পেরিয়ে খিলগাও রেলক্রসিং এ গেলাম। রিকশাওয়ালা বামে বাক নিতেই এক ভদ্রলোকের পায়ের উপর তুলে দিল। এতে ঐ লোক তেড়ে এসে রিকশা থামাল। আমি আর রিকশাওয়ালা দুজনেই তাকে দু:খিত বললাম।
এতে ঐ লোক খুশিই হল। খুশি হয়ে আমার কাছে মিষ্টি খেতে চাইল। আমিও বুঝলাম কার খপ্পরে পড়লাম। দেখি অন্য পাশে আরও ২জন ছেলে এসে দাড়িয়েছে। পকেটে যা কিছু আছে তা দিয়ে দিলাম আর সাথে মোবাইল ফোনটা।
পকেটে আর মানিব্যাগে আরও কিছু কাগজ, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এমনকি একটা চেক ছিল। আমার ভাগ্য আর কিছু নেয় নি। এমনকি গায়ে হাত তোলা বা মলম লাগানো কিছুই করে নি।
বাসার কাছে গিয়ে এক দোকান থেকে টাকা নিয়ে রিকশা ভাড়া দিলাম। কিন্তু রিকশাওয়ালা ভাড়া নিবে না।
সে বলল, আপনার এত বড় ক্ষতি হল আমার না হয় একটু কষ্টই হল। তবুও টাকাটা তার পকেটে গুজে দিয়ে বাসায় চলে গেলাম।
আমি রাস্তাঘাটে সাধারনত দোয়া দুরুদ পড়ি। কালও পড়েছিলাম। বাসায় যখন বললাম দোয়াতে কাজ হয় নি তখন সবাই আমাকে বুঝালো, দোয়া পড়ি বলেই নাকি আমার অন্য কোন ক্ষতি হয় নি।
সবাই নিরাপদে থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।