প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যার্ড ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রুখানের অবস্থান গস্তাতপেন পর্বতশ্রেণির পাদদেশে। সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে সূর্যরশ্মি আর শহরটির মধ্যে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ওই পর্বতশ্রেণি। তাই ৫৬ বর্গফিটের তিনটি দানবীয় আয়না বানিয়ে শহরটি থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত একটি সেতুর উপর স্থাপন করেছেন এর বাসিন্দারা।
অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকে অনুসরণ করে আয়নাগুলো। আর আয়নাগুলো থেকে সৃষ্ট ১ হাজার ৪৭৬ ফুটের আলোর প্রতিফলন মধ্যদুপুরের মতো আলোকিত করে রুখান।
মজার ব্যাপার হচ্ছে সূর্য-আয়না তৈরির এই ভাবনাটি নতুন নয় শহরটির বাসিন্দাদের জন্য। ১৯০৫ সাল থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্থানীয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকরা। ১৯১৩ সালেই সূর্য-আয়নার স্বপ্ন দেখেছিলেন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম এইদা। সূর্যরশ্মি শ্রমিকদের মধ্যে নতুন কর্মউদ্যম সৃষ্টি করতে পারবে এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি।
আধুনিক রুখানবাসীদের চিন্তাটা একটু ভিন্নই বলতে হবে।
সূর্যরশ্মি ছিনিয়ে আনার পর শহরটির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে চাইছেন তারা। পর্যটকদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শহরটির ব্যবসা এবং অর্থনীতিতেও নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে বলেই আশা রুখানবাসীদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।