আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রথম দেশে ফেরার অভিজ্ঞতা

When a man has put a limit what he will do, he puts a limit in what he can do

বেশ ভাল লাগছিল, ছ’মাস পর দেশে ফিরছি। পড়ালেখার উদ্দেশ্যেই আমার বিদেশ যাওয়া এবং এটাই ছিল আমার প্রথমবারের মত বিদেশ থেকে দেশে ফেরা। দেশে ফেরার এই সময়টুকুতে জীবনের কিছু চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে বলা চলে। বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে, যেগুলো শুনে আমার প্রচণ্ড হাসি পেয়েছে , আবার ভীষণ কষ্টও লেগেছে । আমার এই অভিজ্ঞতা গুলোই প্রকাশ পেয়েছে আমার এই লেখাটিতে।

১ম বিদেশ গমন বলে প্রতিটা মুহুর্ত কাটত খুবই কষ্টে। এ জন্য মাত্র ২০ দিনের সেমিস্টার ব্রেক পেয়েই টিকেট কেটে ফেললাম, আব্বু-আম্মুও বেশ জোর করছিলেন আসার জন্য। পরীক্ষা যেদিন শেষ, তার পরের দিনই ছিল ফ্লাইট, একটা মুহুর্তও নষ্ট করতে চাচ্ছিলামনা। দেশে আসব, এই আনন্দে আমার শেষ পরীক্ষাটার প্রস্তুতিই নিতে পারলামনা ভালভাবে। পড়ার টেবিলে বসে শুধু মাথায় ঘুরত দেশে গিয়ে কিভাবে সময়কাটাব? কোথায় কোথায় ঘুরব? ছোট ভাই দু'টোর সাথে কিভাবে সময় কাটাব? আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কতক্ষণ কাঁদব? এসব ভাবতে ভাবতে আমার শেষ পরীক্ষার প্রস্তুতি সবচাইতে বাজে হল।

যদিও পরীক্ষা আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালই হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাম্প্রতিককালে "এয়ার এশিয়া" নামক এক এয়ারলাইন্সের আবির্ভাব ঘটেছে এবং এই এয়ারলাইন্সের ভাড়া অন্যান্য এয়ারলাইন্সের তুলনায় খুবই কম। যার কারণে সুযোগ-সুবিধাও কম। যেমন- এই এয়ারলাইন্সে কোন খাবারসরবরাহ করা হয়না। তবে যাত্রী যদি আগে থেকেই টিকেটের সাথে খাবারের অর্ডার দিয়ে রাখেন, তাহলে খাবার সরবরাহ করা হয়।

এই এয়ারলাইন্সের ভাড়া অনেক কম বলেই যেন এখন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের দেশে যাবার হার আগের চাইতে অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই এয়ারলাইন্স আসার পরই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী ভাইয়াদের মধ্যেও এখন প্রতি সেমিস্টার ব্রেকে দেশে যাবার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। আর তাছাড়া এই অঞ্চলে বিশাল বাংলাদেশী শ্রমিক জনগোষ্ঠী আছে, তাদের মধ্যেও যেন এখন কম খরচে দেশে যাবার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। এজন্য দেখা যায়, একটিফ্লাইটের যাত্রীর মধ্যে ৮০%-৯০% ই হল শ্রমিক। এবং এই বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিয়েই হল আমার প্রথম অভিজ্ঞতাটি।

ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি যে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে যায় আয়-রোজগারের জন্য। এ কারণে বাংলাদেশ সরকারেরও প্রতি বছর প্রচুর রেমিটেন্স আয় হয়ে থাকে, যার কারণে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে বাংলাদেশ সরকার। আবার এই ঘটনার বিপরীত ঘটনাও শুনেছি- প্রতি বছর দালালের খপ্পরে পড়ে বহু বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশে অবৈধ হিসেবে ধরা পড়ে, আবার কাউকে ভাসিয়ে দেয়া হয় সমুদ্রে, কুল-কিনারাবিহীন সাগরে দানা-পানির অভাবে ধুঁকে ধুঁকে তারা মৃত্যুবরণ করে। কেন বাংলাদেশী শ্রমিকদের আজ এই অবস্থা? তার প্রধান কারণ দেখলাম তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অশিক্ষিত। আমি যে ফ্লাইটে বাংলাদেশ এলাম, তার একটি ঘটনাই বলি।

প্লেনে উঠার পর আমি গিয়ে যখন আমার সিটে বসলাম, তার কিছুক্ষণ পরই আমার পাশে আরেকজন যাত্রী এসে বসল। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে সে একজন বাংলাদেশী শ্রমিক। আমার সিট নং ছিল 22B। সে আমাকে তার বোর্ডিং পাস দেখিয়ে বলল-- -ভাইসাব দেহেন তো আমার সিড কুনডা? আমি দেখিয়ে দিলাম ওনার সিট। ওনার সিট হল 22C আমার পাশের সিট।

উনি বসে গেলেন আমার পাশে। কিছুক্ষণ পর আরেক ব্যক্তির আগমন এবং সে ব্যক্তিরও সিট নং হল 22C! আমি তো যেন আকাশ থেকে পড়লাম! এ কিভাবে সম্ভব? এক সিটে দু’জনের বুকিং হওয়াতো অন্তত এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে সম্ভব না! কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকার পর, 22C নং সিটের দুই দাবীদারের কাছ থেকে তাদের বোর্ডিং পাস দেখতে চাইলাম। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে এই দু’জনই লেখাপড়া জানেননা এবং তাদের অবস্থা এতই করুণ যে, তাদেরকে যদি বলে দেয়া হয় যে তাদের সিট নম্বর 22C, তাহলে তারা নিজ থেকে তা খুঁজে বের করতে পারবেননা। দু'জনের বোর্ডিং পাস পাশাপাশি রেখে মিলিয়ে দেখলাম যে, দু' জনেরই সিট নং 22C। এরপর খেয়াল করলাম প্রথমে যে ব্যক্তি এসেছিল তার বোর্ডিং পাস হল গতকালের।

অর্থাৎ আজ হল ১৫ নভেম্বর, কিন্তু তার বোর্ডিং পাসে লেখা ১৪ নভেম্বর!!! আর তাছাড়া আমাদের অন্যান্য সকল যাত্রীর গেট নাম্বার হল T18, কিন্তু ওনার গেট নাম্বার হল P8!!! উনি দেখি গতকালের টিকেটের বোর্ডিং পাস নিয়ে এসেছেন! এ কিভাবে সম্ভব? বিমানবন্দরে এত চেকিং সত্ত্বেও তিনি কিভাবে গতকালের বোর্ডিং পাস নিয়ে চেকিং করে প্লেনে উঠলেন? আজকের টিকেট ছাড়া তো ওনার প্লেনে উঠতে পারার কথা নয়, এতজন সিকিউরিটি ফাঁকি দিয়ে তো তার প্লেনে উঠে পড়া সম্ভব না। যাত্রীকে সাথে সাথে জিজ্ঞেস করলাম-- -এটাকি আপনার টিকেট? এটাতো আজকের টিকেটের বোর্ডিং পাস না। এখানে দেখছি গতকালের তারিখলেখা। আপনার আজকের টিকেট আর বোর্ডিং পাস কোথায়? উত্তরে লোকটি যা বলল, তাতে আমি যতটা না অবাক হয়েছি, তার চাইতেও শত শতগুণ বেশি কষ্ট পেয়েছি। লোকটি তার উত্তর দিল এভাবে-- -আমার ভাই গতকাইল আইছে দেশ থেইকা।

হের টিগিড এইডা। আমার টিগিড আমি আমার ব্যাগে রাইখাদিছি। এ কথা বলে উনি ওনার কোমড়ে লাগানো ব্যাগটি দেখালেন। আমি বুঝতে পারছিলামনা ওনার এই কথা শুনে আমি কি হাসব? নাকি কাঁদব? আমি বললাম-- -আপনি আপনার বোর্ডিং পাস দিয়ে আপনার সিট নম্বর না খুঁজে আপনার ভাইয়ের বোর্ডিং পাস দিয়ে কেন আপনার সিট নম্বর খুঁজছেন? লোকটি এবার এর পিছনে যে কারণ দেখাল তাতে আমি নির্বাক হয়ে গেলাম! লোকটি হাসতে হাসতে বলল-- -আরে আইজকের টিগিডের কাম তো শেষ। অহন বিমানে ঢুইকা গেছি, অহন কি আর আমার টিগিড কোনকামে লাগব? হেল্লাইগা আমার ব্যাগের ভিতরে রাইখা দিছি।

আমি অবাক হলাম লোকটার কাণ্ড-জ্ঞান দেখে। এতই অবাক হলাম যে কিছুক্ষণের জন্য মনে হয় কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি ভাবি, মানুষ হয়তো নিরক্ষর হতে পারে, কিন্তু তাই বলে এত্তো কাণ্ডজ্ঞানহীন হওয়াও কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে? যে ব্যক্তি এতক্ষণ ধরে সব কাজ করলেন নিজের টিকেট দিয়ে, প্লেনে ওঠার পর কোন যুক্তিতে তিনি গতকাল আসা তার ভাইয়ের টিকেট বের করলেন? পরে ওনার বোর্ডিং পাসে দেখি সিট নম্বর 20A। ওনাকে সিট দেখিয়ে দেবার পর তিনি বেশ খুশিমনে নিজের সিটে গিয়ে বসলেন। শুধুমাত্র এই একজন ব্যক্তি নয়, এমন আরো বেশ কয়েকজনের দেখা পেলাম আমি।

যারা নিজের সিট নং কোনটা জানেনা, আরেকজনের সিটে গিয়ে বসে আছে! তাদের সকলকে যার যার নির্দিষ্ট সিটে বসিয়ে দিতে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা চলে গেল, প্লেন ছাড়ল আধা ঘণ্টা পরে। এরপর ঢাকা পৌঁছানোর পর, প্লেন থেকে নামতে যেন হুলুস্থুল কারবার!!!! কে কার আগে নামতে পারবে তার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। মনে পড়ে গেল ঢাকার ৭ নম্বর রুটের “গাবতলী-সদরঘাট”, ১৩ নম্বর রুটের “ধুপখোলা-মোহাম্মদপুর” বাসের কথা…। যে বাসে চড়ে আমার সবচাইতে প্রিয় মোবাইলটি খোয়া গিয়েছিল অতি দক্ষ পকেটমারের মাধ্যমে… বিমানবন্দরে যে Arrival Form পূরণ করতে হয়, তা নিয়ে দেখলাম আরেক হুলুস্থুল কারবার! তারা বেশিরভাগই ফরম পূরণ করতে জানেননা, দেখলাম তাদের এই ফরম পূরণের জন্য একজন পুলিশ নিযুক্ত আছে!!! কে কাকে ধাক্কা দিয়ে নিজের ফরম এবং পাসপোর্ট পুলিশকে দিতে পারবে সে প্রতিযোগিতা চলছেযেন। আমি আমার ফরম তুলে এনে একপাশে এসে ফরম পূরণ করতে লাগলাম, দেখি আমার পিছে পিছে কয়েকজন এলেন তাদের ফরম পূরণ করে দেবার জন্য।

আমি আমার ফরম পূরণ করার পরে তাদের কয়েকজনের ফরম পূরণ করে দিলাম তাদের পাসপোর্ট দেখে। তখনও আব্বু-আম্মুর দেখা পাইনি এবং আমার লাগেজ তখনো বেল্ট থেকে সংগ্রহ করা হয়নি বলে স্বভাবতই আমি বেশ তাড়াহুড়া করে ফরম পূরণ করছিলাম। তা দেখে একজন বলল, ভাই আপনে এত্তো তাড়াতাড়ি ল্যাকবার ফারেন!? আমি খুব অবাক হলাম তার এই প্রশ্নে, এটা কোন ধরনের প্রশ্ন? পরে আমি বুঝতে পারলাম যে লিখতে জানেনা বলে হয়তো তাদের কাছে এটা বেশ বিস্ময়কর একটা ব্যাপার। আমি তার এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর খুঁজেপেলামনা, কি বলব আমি? যে প্রশ্নটা এখন আমার মনে জাগে তা হল, এই যে এতজন শ্রমিক বিদেশের মাটিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে, তাদের অবস্থা যদি এমন হয়…… যারা নিজের সিট নম্বর খুঁজে বের করতে পারেনা, যারা আরেকজনের বোর্ডিং পাস দিয়ে নিজের সিট নম্বর খুঁজে, তাদের মতন এমন মানুষদের ঠকিয়ে তাদের পয়সামেরে খাওয়া তো মালিক পক্ষের কাছে কোন ব্যাপারই না! এ ধরনের অশিক্ষিত মানুষদের পক্ষেই দালালের খপ্পরে পড়া সম্ভব। আমি এই সমস্যার সমাধানও খুঁজে পেলামনা।

সমাধান কোথায় এই সমস্যাটির? সরকার কি এই ব্যবস্থা নিতে পারতোনা? অন্তত চলার জন্য যতটুকু জ্ঞানলাগে, নিজের নাম লেখা, সাধারণ গণনাসহ যে সকল বিষয় জানতে পারলে অন্তত তারা সচেতনভাবে নিজের কাজ করে যেতে পারবে, ঠকবেনা। আরেকটি যে বিষয় আমার চোখে বেশ বড় করে ধরা পড়ল, তা হল জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এ দেশের আরো কিছু পরিস্থিতি। প্লেন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার পর আমার কাছেমনে হল এটা কি আমাদের সেই জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর? এত্তো ছোট্ট কেন? অথচ দেশে থাকার সময় যখন এই বিমানবন্দরে আসতাম তখন মনে হত এটা কি বিশাল একটা বিমানবন্দর! পরে আবিষ্কার করলাম কুয়ালালামপুরের Kuala Lumpur International Airport এবং LCCT Airport দেখে এখন আমার কাছে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটা খুবই ছোট ছোট মনে হচ্ছে। সকল ফর্মালিটিস শেষ করে যখন এয়ারপোর্ট থেকে বের হলাম ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেল। তখন আমার চোখে পড়ল এখানকার আবহাওয়া।

যেদিকে তাকাই শুধু ধুলো-বালি ছাড়া আর কিছুই দেখিনা! চারদিকের পরিবেশ হলুদ হয়ে আছে এই ধুলো-বালির কারণে। আমি অবাক হলাম, এই আমিই তো এই পরিবেশেই বড় হয়েছি, এই পরিবেশেই আমার জন্ম, এ পরিবেশ তো এর আগে আমার কাছে স্বাভাবিকই ছিল। এখন কেন এমন লাগছে? এরপর এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে দীর্ঘদীন পর ট্রাফিক জ্যাম উপভোগ করার অভিজ্ঞতা হল, বহুদিন পর রাস্তার ধারে ট্রাফিক পুলিশ দেখার অভিজ্ঞতা হল, যে বিচিত্র ভঙ্গিতে তার দু’হাত নাড়িয়ে গাড়িগুলোর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছিল এবং গাড়ির প্রচণ্ড শব্দের হর্ণ শুনলাম, যা প্রবাসে শেষবারের মত কবে শুনেছিলাম আমার ঠিক জানা নেই। অভিজ্ঞতা হল ছোট ছোট শিশু দেখার, যারা ঘুমিয়ে আছে এয়ারপোর্টের ফূটপাতে; অভিজ্ঞতা হল বিভিন্ন ধাঁন্দাবাজ ট্যাক্সি ড্রাইভার দেখার, যারা যাত্রীদের মালামাল লুট করার ধাঁন্দায় ওঁত পেতে আছে; অভিজ্ঞতা হল আমার ছোট ভাইর বয়সী ছোট ছোট শিশুদের ভিক্ষা করতে দেখার, যারা বলছে তার মা অসুস্থ তার জন্য কিছু টাকা লাগবে। কথাটি মনে হয় মিথ্যা, কিন্তু এইটুকু শিশু ভিক্ষা করছে দেখে খারাপ লাগল অনেক… আগে দেশে থাকার সময় এত্তো খারাপ লাগতোনা।

অভিজ্ঞতা হল কারেন্ট চলে যাওয়া উপভোগ করার এবং এরপর প্রচণ্ড গরমে ঘেমে যাওয়ার……… ৫ ডিসেম্বর চলে যাবার পর যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আসার পরদিন কিছু কেনাকাটা করারজন্য এক মার্কেটে গিয়েছিলাম বাসে করে। সেই বাসে চড়ার পর মনে হচ্ছিল আমি যেন পঙ্খীরাজে উড়েবেড়াচ্ছি!!! ৭ অথবা ১৩ নম্বর বাসের মত ধাক্কাধাক্কি নেই, মোবাইল চুরি হবার ভয় নেই…….. আমার জীবনের সবচাইতে প্রিয় বাস ভ্রমণ মনে হয় সেটাই ছিল....... তবে এই ভ্রমণটা প্রিয় হবার প্রধান কারণ মনে হয়, তার কিছুদিন আগে দেশে ৭ নম্বর বাস চড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে....... নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয় এখন…….আগে ছোটবেলায় শুনতাম, ঐ ছেলেটা বিদেশ গিয়ে দেশকে ভুলেগিয়েছে। সে এখন আর দেশে আসেনা। আমার ছোট্ট মনে তখন এই প্রশ্ন জাগত যে, ঐ ছেলে যে দেশে থাকেতা কি আমার দেশের চাইতে এত্তোই সুন্দর যে সে বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দিয়েছে? কিন্তু আজ সেই প্রশ্নেরবাস্তব উত্তর আমি পেয়ে গিয়েছি।

আমি চিন্তা করি এটাই, এমন বাংলাদেশ কি আমরা গড়তে পারবনা? যেই বাংলাদেশে প্রবাসীরা ফিরে আসলেওরা দেশে থেকে যাবে, বিদেশে ফেরত যাবার চিন্তা বাদ দিবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.