সম্প্রতি ওয়াশিংটনের লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে একটি ঐতিহাসিক মানচিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। মজার বিষয় হলো, এই মানচিত্রের কেন্দ্রে দেখানো হয়েছে চীনের অবস্থান। খবর বিবিসির।
জানা গেছে, ১৬০২ সালে মানচিত্রটি চীনে অবস্থানরত ইতালীয় ধর্মযাজক মাটো রিচি তৈরি করেছিলেন। মানচিত্রের দুটি অনুলিপির মধ্যে একটি অক্ষত অবস্থায় আছে এখনও।
মানচিত্রটির দুষ্প্রাপ্যতার কারণেই কাগজে এর প্রতিলিপি বের করা হয়। বলা হচ্ছে, মানচিত্র বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি অসম্ভব দুষ্প্রাপ্য এক নিদর্শন। আর এই প্রথমবারের মতোই এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দর্শকদের সামনে আনা হলো। চীনের সম্রাট ওয়ানলির অনুরোধে রিচি মানচিত্রটি তৈরি করেছিলেন যাতে সম্রাট জ্ঞানপিপাসু ও অভিযাত্রীদের সাহায্য করতে পারেন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ব্যয়বহুল মানচিত্র হিসেবে একে জেমস ফোর্ড বেল ট্রাস্ট ২০০৯ এর অক্টোবর মাসে এক মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়।
অবাক ব্যাপার হচ্ছে- এই মানচিত্রটিতে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার কিছু জায়গার নাম বলা যায়। মানচিত্রটিতে দেখানো সেসময়কার কিছু নাম এখনকার আধুনিক নামের সঙ্গে প্রায় মিলে যায়, যেমন চিন-লি (বর্তমানের চিলি), ওয়াটিমালা (বর্তমানের গুয়েতেমালা) এবং কা-না-তা (কানাডা) এবং ল্যান্ড অব দি ফ্লাওয়ারস যা আজকের ফোরিডা।
জেমস ফোর্ড বেল ট্রাস্টের কর্মকর্তা ফোর্ড ডব্লিউ বেল পিটার্সবার্গ ট্রিবিউন পত্রিকায় বলেছেন, তাদের জানামতে, এই মানচিত্রটি কারিগরি মানের দিক থেকেও উন্নত ছিলো। তিনি আরো বলেন, রিচি অনেক বুদ্ধিমান ছিলেন।
তিনি চীনকে মানচিত্রের কেন্দ্রে রেখে বিশ্বে দেশটির গুরুত্বকেই তুলে ধরে ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পশ্চিমা অভিযাত্রীদের মধ্যে রিচিই সম্ভবত প্রথম বেইজিংয়ে প্রবেশ করেছিলেন। চীনের সম্রাট তাকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেন। জানা গেছে, মৃত্যুর পর তাকে সেখানেই সমাহিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি টি বান ঝাং সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মানচিত্রটি পূর্ব ও পশ্চিমা সংস্কৃতিকে এক করেছে।
লিংক: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।