আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অফিস ট্যুর ২০১০, সাগরকন্যা কুয়াকাটা


প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও অফিস থেকে ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছিল। এবারের ট্যুর ছিল কুয়াকাটাতে। সেখানকার কিছু তথ্য এবং ছবি তুলে ধরছি এখানে। সাগরকন্যা কুয়াকাটা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভূমি বাংলাদেশের পটুয়াখালি জেলা শহর থেকে ৭১ কি.মি. দক্ষিনে কলাপাড়া উপজেলায় অবস্হিত। যতদূর জানাযায় ১৭৮৪ সালে মুঘলদের দ্বারা বিতারিত হয়ে রাখাইন উপজাতির লোকেরা আরাকান (মায়ানমার ) হতে এখানে এসে বসতি স্হাপন করে।

এ অঞ্চলে তখন খাবার পানির ব্যবস্হা ছিলনা। খাবার পানি সংগ্রহের জন্য তাদের কুয়া কাটতে হয়েছিল। আর এই কুয়া কাটা থেকেই এ জায়গার নাম হয় কুয়াকাটা। সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার দৈর্ঘ্য ৩০ কি.মি. আর প্রস্থ ৬ কি.মি.। কুয়াকাটার একটা বিশেষত্ব আছে তা হল এখানে আপনি সূর্য্যদয় ও দেখতে পাবেন আবার সূর্যাস্ত ও দেখতে পাবেন।

নীল সাগরের তীরে বালুময় সৈকত আপনাকে মূগ্ধ করবে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানোগ্রোভ বন সুন্দরবনের একটা বড় অংশ রয়েছে এখানে। এর নাম ফাতরার বন। প্রকৃতি প্রেমিদের জন্য এ এক স্বর্গরাজ্য। এখানে দেখতে পাবেন কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, গড়ান, গোলপাতাসহ নানা রকম গাছপালা।

ভাগ্য ভালো হলে দেখতে পাবেন হরিন, বানর আর নানারকম পাখিতো রয়েছেই। লঞ্চ বা ট্রলার নিয়ে নীল সাগরের বুকে সুন্দরবন (ফাতরার বন ) যেতে যেতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, সাগর পারের সারি সারি নারিকেল গাছ আর গাংচিলের কলকাকলি আপনার হৃদয় ছুয়ে যাবে। বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্যও কুয়াকাটা এক বিশেষ স্হান। এখানে রয়েছে ২০০ বছরের পুরাতন গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। এখানকার বৌদ্ধ এবং হিন্দু মন্দিরগুলো দেখেও আপনি অভিভূত হবেন।

এখানে বছরে দুটি উতসবের আয়োজন করা হয়। একটি মাঘিপূর্নিমাতে অন্যটি রাসপূর্নিমাতে। এখানকার রাখাইন পল্লিতে গিয়ে আপনি দেখতে পাবেন তাদের জীবন প্রনালী। জেলেপাড়ায় ভ্রমন করে আপনি জেলেদের জীবনচিত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন। এবার আমাদের অফিস ট্যুরের কিছু ছবি তুলে ধরছিঃ ঢাকা থেকে লঞ্চ যাত্রা বরিশালে শেষ।

বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে বাস যাত্রা। মাঝপথে ফেরি পারাপার। সাগরের বুক থেকে উঠে আসা সূর্য্যকে স্পর্শ। সাগর তীরের নয়নাভিরাম দৃশ্য। দুই হাতে দুই লাল কাকড়া।

কুয়াকাটার কুয়া। কর্মব্যস্ত রাখাইন মেয়ে। কাজ করছে আরো একজন রাখাইন মেয়ে। বৌদ্ধ মন্দিরে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। ঝাকা ভর্তি শুটকি মাছ।

শুকাতে দেওয়া হয়েছে অসংখ্য শুটকি। ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরে বেড়ানো। সাগর তীরের অপরূপ দৃশ্য। সহকর্মীদের অন্তরঙ্গ মূহর্ত। ফুটবল খেলার প্রস্তুতি।

সাগর পারে চলছে ফুটবল খেলা। ফুটবল খেলা শেষে সাগরে গোসল। সী বার্ডে চরে সুন্দরবন যাওয়ার প্রস্তুতি। সাগরের মাঝে আনন্দঘন মূহর্ত। দূরে দেখা যাচ্ছে সুন্দরবন।

বনের ভিতরে ছোট খাল বেয়ে চলছে ট্রলার। স্বাগতম হে অতিথিবৃন্দ। শেকড় বের হওয়া ম্যানোগ্রোভ বৃক্ষ। হারিয়ে যেতে নেই মানা ঝাউবনে। সূর্য্যাস্তের আগে।

সূর্য্যাস্তের পরে। সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলা। সৈকতে রাতের পিকনিক। পিকনিকের আনন্দঘন মূহর্ত। রাতের পিকনিকে নাচগানে ব্যস্ত সবাই।

ফেরার পথে লঞ্চের ডেকে নাচ গানে ব্যস্ত সবাই।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.