জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ডাকে গতকাল ™ি^তীয় দিনের মত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। তবে পুলিশী বাধাঁর কারণে ক্যম্পাসে ডুকতে পারেনি ছাত্রদল। তারা শাহবাগ এলাকায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বের করে। ক্যম্পাসে কোন কর্মসূচি পালন করতে না পারলেও কাস অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে পূর্ব নিধারিত কিছু পরীা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান পরীা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৈাধুরী।
এনিয়ে শিার্থীরা ভোগানতির সীকার হয়। অনেকে সময়মত পরীা হলে আসতে পারেনি।
এদিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইডি কার্ড দেখিয়ে শিার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হয়। ক্যাম্পাসে ঘুরে দেখা যায়, ধর্মঘটের কারণে ক্যাম্পাসে শিার্থীদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলতে দেখা গেছে। কার্জন,কলাভবন, বানিজ্য অনুষদ, সাইন্স এনেক্স ও ইনস্টিটিউটগুলোর অধিকাংশ বিভাগে কাস হয়নি।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধর্মঘটের সমর্থনে ছাত্রদল শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখালেও পুলিশ তাদেরকে ঢুকতে দেয়নি।
পরে নেতা-কর্মীরা পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে সমাবেশ করে। এতে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি হায়দার আলী লেলিন, দুলাল হোসেন, ওমর ফারুক সাফিন, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল, আনোয়ার হোসেন টিপু, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল মতিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক নাসির, আব্দুর রহিম সেতু প্রমূখ। যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক নাসির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আইডি কার্ড দেখানো সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সন্ত্রাসীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। ছাত্রদল সভাপতিসহ অন্য নেতাদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোল অব্যাহত থাকবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ থেকে কাঁটাবন দিয়ে নীলক্ষেত দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তা পুলিশী বাঁধায় ব্যর্থ হয়।
এদিকে ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাদের ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। তবে বিদ্রোহী নেতা (বহিস্কৃত) আহসান উদ্দিন শিপনের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন নেতা-কর্মী সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্তরে অবস্থান নেন।
ধর্মঘটের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিােভ মিছিল:
ধর্মঘটের প্রতিবাদে গতকাল বিােভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। দুপুরে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তারা ছাত্রদলের ধর্মঘটের প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রতিহতের ঘোষনা দেন।
নেতারা বলেন, ছাত্রদল নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলছে। সাধারন শিার্থীরা এ ধর্মঘটকে প্রতিহত করেছে যার প্রমান আজকে প্রায় প্রতিটি বিভাগে কাস ও পরীক্ষা হয়েছে। ভাবষ্যতে ছাত্রলীগ সাধারণ শিার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলকারীদের প্রতিহত করবে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়।
ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপুর সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা। বক্তব্য দেন কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় নেতা গোলাম সরোয়ার কবীর, হাসানুজ্জামান লিটন, সুজাদুর রহমান, অর্পনা পাল, জসীম উদ্দিন, আশরাফুর রহমান, শাহীনুর রহমান টুটুল, ইকবাল মাহমুদ বাবলু প্রমুখ। একই দাবিতে জাসদ ছাত্রলীগও মিছিল বের করে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাফসীর হোসেনের নেতৃত্তে মধুর ক্যান্টিন থেকে তারা মিছিল বের করে।
উল্কেèখ্য,গত সোমবার ছাত্রদলের পদপ্রাপ্ত ও 'পদবঞ্চিত' নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শাহবাগ থানার ওসি, ছাত্রদলের সভাপতিসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
তবে সংঘর্ষের সময় মতাসীন দল সমর্থিত ছাত্রলীগের কর্মীদেরও সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে। ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ওপর প্রশাসনের মদদে ছাত্রলীগ হামলা করেছে এ দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদিনের ধর্মঘট ডাকে ছাত্রদল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।