যুগান্তরের রিপোর্ট। প্রথম পাতায়
বগুড়া মহিলা কলেজে ছাত্রীদের চুলাচুলি (সমকালের রিপোর্ট। শেষ পাতায়)
বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজআধিপত্য নিয়ে মারপিট হল ছাড়ার নির্দেশ (কালের কণ্ঠ। পাতা ১৮)
অন্যকোন পত্রিকায় দেখিনাই। সমকালের রিপোর্টটা এরকম:
বগুড়ায় সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ হোস্টেলের ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ সমর্থক দু'গ্রুপের ছাত্রীদের মধ্যে গতকাল বুধবার বিকেলে চুলাচুলি, মারপিট ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা
গেছে। একটি সূত্র জানায়, তামান্না ও কুইন নামে ছাত্রলীগের দুই কর্মী হোস্টেলের
ক্যান্টিনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পায়। এ নিয়ে কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী এবং একই সংগঠনের সিনিয়র কর্মী রিক্তার সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে।
উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। রিক্তা সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়ায় দ্বন্দ্ব সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধে রূপ নেয়।
বুধবার বিকেলে রিক্তার সর্মথক সিনিয়র ছাত্রীরা হোস্টেল চত্বর ও প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে । এক পর্যায়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা চালিয়ে চুল ধরে টানাটানি ও মারপিট করে। পরে এ নিয়ে ধাওয়া ও বিক্ষোভ হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিক্তা গ্রুপ অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন দাবি করেছেন, মহিলা কলেজে তাদের কোনো কমিটি নেই। সাধারণ ছাত্রীরাই এসব করেছে। তিনি বলেন, 'আমরা বিরোধ মীমাংসার উপায় নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম।
'
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু করে। (সমকালের রিপোর্ট)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।