১।
আমরা ও শত সহস্র্ ভারতবাসী যখন শীতে, কুয়াশায় ঠুর ঠুর করে কাঁপছি
যখন পাহাড়ে পাহাড়ে আবার জাগরণ বিহার থেকে অন্ধ্র পর্যন্ত রজোবীজে নতুন প্রসব যন্ত্রণায় বৈপ্লবিক উদয়ন উত্থান.......
তখন কী উষ্ণ সম্বর্ধনা.......
যখন সূর্য অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে লাল
যখন পাহাড়ের বুনো ফুলে ছোপ ছোপ লহুর লক্ষণ, ফুলেরা অপেক্ষায় আছে সফল সংগ্রামের শেষে ফিরে আসা বিপ্লবীর জন্য
ফুল তার সুবাস রেখেছে বুকে, ছড়াবে আসলে বিপ্লব
যখন উত্তর-পূর্বাচলের দিকে তাকাই
আমি আমার মিত্র দেখতে পাই
কখনো কখনো কক্সবাজার গিয়ে সোজা পশ্চিম দিগন্তে তাকাই
আমি সুজা বাদশাহকে দিল্লীর দিকে যেতে দেখে, ওনাকে থামাই এবং বলি:
রোখ হে দার্শনিক রাজা ! সহি সালামতে আমাদের চাকলা রোশনাবাদ স্টেটে থাকবেন আপনি! শত বর্ষ আগে এই গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড ধরে
অতিথিপরায়ণ বঙ্গের বাম পাশ ধরে গি্যেছেন যে বর্মায়
সেখানে মৃত্যুর আতিথ্য গ্রহণ, একটি নিষ্ঠুর কূটনীতি
পরে আমরা ভারতীয় বিপ্লবী আর রোসাং রাজার কারণে সব ক্ষমা করে দিয়েছিলাম
আমার পুর্বদিকের কূটনীতির সারকথা জানেন শরৎ বাবু
আমার পূর্ব ফ্রন্ট রক্ষার শিক্ষা নেতাজী দিয়ে গেছেন
আমার পূর্ব দিগন্তের সর্বত্র তিনি বিরাজ করেন
আমার পূর্ব দিগন্তের কূটনীতির মানচিত্র তার কাছ থেকে শুনে শরৎ মুসাবিদা করেছেন !!
আপনি যাবেন না সূজা, আপনাকে ভুল ভাববে
ভাববে এটি আপনার জিহাদী যাত্রা
রাজাকে গণতন্ত্র পছন্দ করে না
যদি না পুঁজিতন্ত্র আপনাকে পামক না নেয়
ভারত জেনে যাক, আপনি শুধু মাতৃভূমি দেখতে চান
কিন্তু কূটনীতির ভাষা হলো, রাজার কোনো মাতৃভূমি নেই
দখল মাতৃধারা পরিপন্থী
দিল্লি থেকে ইসলাম নেমে এসেছে বঙ্গে
নদী কখনো ফিরে যায় না তার উৎসে
উজানের টান তার যতই থাকুক
ভাটির দেশতে তার সৃষ্টির উল্লাস
২।
মাসুম পলির বুকে আমরা বঙ্গবাসী
সকল ভারতবাসীর দুর্গতি নাশি
সিন্দ্ধু সংকল্প মনে, আমি হিন্দু তাপস
এক উৎসে নাচি গাই, দরবেশ মানস
আমাদেরই গোপন কথা আজ শোন সবে। ।
যতই রক্তাক্ত করো সহি নীরবে
যতই দুষ্ক দাও চন্ডালিনী হই না ভৈরবে
ছিদ্দতে থাকি বঙ্গ, সহি সালামতে থাকো তুমি
আমার মাজার শরিফে, তুমি আমি, আভূমি চুমি
আচমকা আমরা বুঝি, আমারাই আমাদের আগামী
ভান্ডারে যত সত্য মাইজভান্ডারে আছে
অতীত ঘুরিয়া ফেরে আগামীর পাছে
আসমানে জমিনে যত ছিদ্দতের কারণ
মানুষের তরফে সব প্রত্যাবর্তন বারণ ।
।
ইসলাম ডাক নাম মানব মুক্তির
এখন ডাকি্যা যাই, জানি কাল সুষুপ্তির । ।
৩।
আজকাল কূটনীতি মানে, কৌটিল্যের পৌরনীতি
আসল কথার নীচে মূলকথা থাকে,
কিছু কিছু বুড়োদের দ্ন্ত-নাই হাসি
কিছু কিছু জোয়ানের দাঁতাল তেলেসমাতি
বেরুবাড়ী দি্যে দাও, তিন বিঘা? দেবো না কখনো
নিয়ে নেবো, সাগর, পাহাড়, ঠাকুরের কবিতা পড়ি পুনঃ পুনঃ
৪।
সাগরের কী করলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী !
আমার ছেলেরা সাঁতার কাটতে চায়
ওদের জন্য খুব ছোট একাটা পুষ্করিণী দরকার
ওটাই সাগর, আমাদের মাঝিরা ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তার দায়িত্বে
আমাদের সাবমেরিন নাই, ইলিশ আছে । ।
৫।
কতবার তালাক হয়, তিন তিরিক্কা নয় বার
সাবধানে চালাও বোন তোমার সংসার
ভাই তো অভাগা জানো, রাজনীতি করে
সন্তান পালক দেয় বিধর্মির সংসারে
সারাদিন শোলক বলে, বঙ্গ পাঁচখানা
পঞ্চভূত পরাভব স্বদেশ একখানা । ।
কি নাম তাহার বলো, কি তার সাকিন
বাংলাদেশে কেটে যায় অভাগার দিন।
৬।
আমাকে বেড় শিকারের মত ঘিরে ফেলা হচ্ছে
আমরা সীমান্তের মানুষ বড়ো ছিদ্দতে আছি
কি খেলা খেলিবে বল, আমিও আদতে হিন্দুস্তানী
এক্ই সাথে মনোবলে আলী
কুতুব মিনার থেকে ডাক দিয়ে যাই
আমার সীমান্ত বাংলার সীমান্ত
ভারতের জামাই আলেক্সজান্ডার যেখানে এসে থমকে দাঁড়ায়
কূটনীতি সবসময় লেনদেনের বিষয় নয়, কিছু না নিয়ে আসলেও অনেক কিছু দেয়া হয়ে যায় । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।