পানি ও বিদ্যুতের অপচয় রোধে এগিয়ে আসুন!
ওয়াইল্ড কট, ফ্রেশ, নেভার ফ্রোজেন, হেড অন শ্রিম্প, অন সেল। দেখেই মনটা নেচে উঠল। এখানে সাধারণত যে চিংড়িগুলো খাই, সবই চাষের চিংড়ি, মাথা ছাড়া, এবং হয় ভিয়েতনাম না হয় ফিলিপাইনের, আর স্বাদও এ্যাভারেজ। তাই যখন দেখলাম বেশ বড় সাইজের নাদুস নুদুস, সামুদ্রিক, মাথা-সহ-চিংড়ি সেলে পাওয়া যাচ্ছে, তখনই ভাবলাম "চিংড়ি মালাইকারী"!
সব উপকরণ নিয়ে বসে গেলাম---আধা কেজি চিংড়ি, ১টা পেঁয়াজ, ২ টো মাঝারি আলু, আদা-রসুন বাটা, ১ টা টমেটো, হলুদ-মরিচ, আর অবশ্যই, ১ ক্যান নারকেলের দুধ।
এবার সবচেয়ে কষ্টকর কাজ, চিংড়ি পরিষ্কার করা।
প্রথমেই মাথার সামনের অংশ কেটে ফেলে দিলাম।
পা গুলো বাদ দিলাম।
এবার ভেইন ফেলার পালা। পিঠ বরাবর চিরে ফেলতেই দেখা মিলবে কালো রংএর ভেইনের, সেটা টেনে ফেলে দিলাম।
চিংড়ি পরিষ্কার শেষ!
আমার সবচেয়ে খানদানী কড়াইটায় তেল গরম করে ২/৪টা গরম মশলা ফেলে দিলাম।
মিনিট খানেক পর পেঁয়াজ আর টমেটো দিয়ে নাড়তে থাকলাম। সাথে লবণ দিলাম, কারণ তাতে পেঁয়াজ গলবে তাড়াতাড়ি।
আধা চামচ হলুদ-মরিচ গুঁড়ো আর অল্প একটু আদা রসুন পেস্ট দিয়ে ক-ষা, ক-ষা, ক-ষা.....
আলু দিয়ে ৩ মিনিট আবার ক-ষা, ক-ষা, ক-ষা....
চিংড়িগুলো খুব আদবের সহিত চুলায় ছেড়ে দিলাম। অনেক সাধের চিংড়ি
৩/৪ মিনিট নাড়াচাড়া, তারপর আধা ক্যান নারকেলের দুধ দিয়ে ভাসিয়ে দিলাম।
১০ মিনিট পর চেহারাখান দেখেন, পুরা নূরানী (একজন লোভ সামলাইতে না পেরে খাওয়া শুরু করে দিছে)
আধা চামচ চিনি, ৪/৫ টা কাঁচামরিচ ফালি আর ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে নামিয়ে নিলাম।
এইবার "ইয়া আলী/জয় মা কালী" বলে ঝাঁপিয়ে পড়লাম।
(এইটার ছবি নাই, আফসোস)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।