প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভারতের সাথে বাংলাদেশ তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করছে। এ নিয়ে গত তিন-চার মাস ধরে চলেছে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা। এসব আলোচনায় পারস্পরিক নানা বিষয়ে সহযোগিতা করার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহনের সাথে তিনটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এগুলো হলো- দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রত্যাবর্তন, সন্ত্রাস ও মাদক চোরাচালান রোধ এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ
রোধে আইনি সহায়তা চুক্তি। জানা গেছে, উভয় দেশের বিভিন্ন জেল হাজতে দীর্ঘ দিন ধরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা বন্দি রয়েছে।
তাদের বিনিময় করতে করা হচ্ছে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রত্যাবর্তন চুক্তি। সন্ত্রাস ও মাদক চোরাচালান রোধ করতে উভয় দেশই সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতি গুরুত্ব দিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ রোধ করতে ভারত ও বাংলাদেশ কেউই নিজেদের ভুখণ্ড সন্ত্রাসিদের ব্যবহার করতে না দেয়ার ব্যাপারে একটি চুক্তি হচ্ছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই কয়েকটি ক্ষেত্রে সুবিধা আদায়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আদান-প্রদানের বিষয়টি চুড়ান্ত করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়।
এ ক্ষেত্রে ভারতের চাওয়া হলো বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফাসহ তাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর যেসব জঙ্গি বাংলাদেশে লুকিয়ে আছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত তাদের হাতে তুলে দেয়া, আশুগঞ্জ ও চট্রগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি এবং ইছামতি নদীতে ড্রেজিং করার কাজে সহযোগিতা করা।
এসবের বিনিময়ে নেপাল ও ভুটানের সাথে রেল যোগাযোগে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে বাংলাদেশকে। বিদুৎ ঘাটতি কমাতে ভারতের কাছ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদুৎ কেনার সুযোগ প্রদান এবং কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার এবং ভারতের বিদুৎ গ্রিডের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ লাইন সংযোজনের কাজ সম্পন্ন করতে ২৫ কোটি ডলার দেয়া হবে। জানা গেছে, পাঁচ বছরের জন্য আরও ১শ কোটি ডলার বাংলাদেশকে দেয়ার কথা ভাবছে ভারত সরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।