শেষ পর্যন্ত প্রথম লেগে নেইমারের ওই ম্যাচ বাঁচানো গোলটিই গুরুত্বপূর্ণ প্রতীয়মান হলো। ন্যু ক্যাম্পে কাল অনুষ্ঠিত স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় লেগের খেলাটি গোলশূন্য ড্র হওয়ায় ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের ওই ‘অ্যাওয়ে’ গোলের সুবাদেই মৌসুমের প্রথম ট্রফিটা ঘরে তুলল বার্সেলোনা। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা লিওনেল মেসির পেনাল্টি মিস, অ্যাটলেটিকোর ফিলিপে ও তুরানের লালকার্ড—ঘটনাবহুল ম্যাচে কাল সবই হয়েছে, কেবল গোল ছাড়া। বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর কালই প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন নেইমার। সেই সুবাদে মেসি-নেইমারের জুটিটাও কাল একঝলক দেখা হয়ে গেল দর্শকদের।
খেলার পুরো সময়ই বল ছিল বার্সা খেলোয়াড়দের পায়ে পায়ে। চোট সেরে মাঠে নামা মেসি অ্যাটলেটিকোর রক্ষণে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও বার্সেলোনা যথেষ্ট চাপে রেখেছিল ডিয়েগো সিমিওনির অ্যাটলেটিকোকে। চাপে থাকলেও খেলার প্রথম বলার মতো সুযোগটি কিন্তু পেয়েছিল অ্যাটলেটিকোই। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ লগ্নে লেফটব্যাক ফিলিপে লুইস দারুণ এক বল বাড়িয়েছিলেন বার্সার রক্ষণব্যূহে। সেখানে বল ধরে তুর্কি ফরোয়ার্ড আরদা তুরান জেরার্ড পিকেকে বোকা বানিয়ে ফাঁকা গোলে শটও নিয়েছিলেন।
কিন্তু আস্থায় অবিচল বার্সেলোনার গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেস অপূর্ব রিফ্লেক্সে তা থেকে গোলবঞ্চিত করেন অ্যাটলেটিকোকে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বিপুল উদ্যমে ঝাঁপায় একে অন্যের রক্ষণ ভাঙতে। সে জন্য দ্বিতীয়ার্ধের খেলা কিছুটা উত্তেজনাও ছড়ায়। পর পর দুটো লালকার্ড দেখে এ সময় মাঠ ছাড়েন অ্যাটলেটিকোর ফিলিপে ও তুরান। ফিলিপে লালকার্ড দেখেন দানি আলভেসকে বল ছাড়াই কনুই দিয়ে আঘাত করে।
রেফারির অগোচরে ঘটনাটি ঘটে বল থেকে অনেক দূরে। তুরান লালকার্ড দেখেন সাইড বেঞ্চে বসে। ডাগ আউট থেকেই রেফারিকে কটু বাক্য শোনানোর দায়ে তাঁর এই লালকার্ড। লালকার্ড দেখার ২০ মিনিট আগেই তুরানকে বসিয়ে দিয়েছিলেন কোচ ডিয়েগো সিমিওনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।