রাকিবুল হক ইবন
এক.
প্রধানমন্ত্রীর মুখের চেয়েও নিকৃষ্ট নাকি
আমাদের
সিনেমার মুখ!
দুই.
বাংলাদেশের মুখের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর তোমার মুখ!
আমি করবো না
তা গোপন!
তিন.
একগ্লাশ বিশুদ্ধ জলের খোঁজে_ মধ্যরাতের শিশু
আমি, রান্নঘর থেকে
ছাদে
চার.
দিন দুপুরে চুরি করি
ঠিক-ই
কিন্তু রাত্রিবেলা কথা আছে
পাঁচ.
- 'এ শহর নিয়ে একটা বই লিখলে কেমন হয়'?
- 'এ শহর নিয়ে বই লিখলে অসুস্থ হয়ে
যেতে পারো তুমি'।
ছয়.
আমার হাস্যকর লাগে দেশে দেশে পতাকা (আবার তার মধ্যে সাংগঠনিক
ফ্লাগ!) ঘৃনা করি সব ধরনের জাতীয়তাবাদ। কোথাও কোনো জাতীয়সঙ্গীত
থাকবে-না : এবং এই মর্মে পৃথিবীর সব প্রধন-সঙ্গীতই আমার প্রাণ
সাত.
বিশ্বভারনত! আড়িয়াল বিলের শিশুরক্তমাখা জলে, ঘর-ভিতর
ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন একটি আকাশের বর্ণনাতে, জানা যাচ্ছে যে
_জোটের মানসিক সূত্র
আট.
সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক বলে নিজেদেরকে দাবী করে যারা
সেই সেনাবাহিনী আজো শুদ্ধ করে মাতৃভাষা লিখতে পড়তে জানে-না
আমি দিতে পারি_ এর প্রমান
নয়.
এবং এই মর্মে পৃধিবীর কোথাও কেনো
'উপজাতি' বলে থাকবে
না-কোনা-শব্দ
দশ.
আমাকে জাগিয়ে রেখে
ঘুমতে যায়
মানবরাত্রি
এগারো.
কীর্তনখোলার মতো সেক্সি যেই নারী
ভালো নামের অভাবে ডাকতে
পারি তাকে বলে 'অনুমতি'
বারো.
বনলতা সেনকে
শারীরিক অবয়ব দিতে চাই যে
তার মৃত্যু হোক বারেবারে
তেরো.
রাস্তার ধারে-পার্কে-টবে-আইল্যান্ডে
আটকে আছে
পৃথিবীর তাবৎ দোপাটি চেরী
চৌদ্দ.
আমি একটি ছবি আকবো
ছবিতে থাকবে
দাঁদি-গোফ-কমাহীন রবীন্দ্রনাথের একটি ন্যাড়া মাথা
পনেরো.
ইতিহাস পড়েছি আমি
কারো কোনো প্রধান নই তাই
আমি ইতিহাসের বাইরের কবি
ষোলো.
জলে ডুবানো পঁচা পাটের গন্ধ
তোমার নাভিমূলের ঘ্রাণ
পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ গন্ধ নিয়ে গোল্লায় যাই চল্
সতেরো.
তেলাপিয়া, ইলিশ না!
আপেল, কাঠাল না!!
দোপাটি, শাপলাও না।
আটারো.
আমি হারিয়েছি
আমার ছেলেবেলা
সবারই জন্য
ঊনিশ.
যে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকবে :
সে সঙ্-বিধান আমি
মানবো-না কোনো দেশে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।