মিথ্যাচার এবং ইতিহাস বিকৃতির যে জঘন্য প্রতিযোগিতা বর্তমানে পরিলতি হচ্ছে ঐ সমস্ত ব্যাক্তিবর্গের মদ্ধে যারা জনমত গঠন প্রক্রিয়ার সাথে ঘনিষ্ট এবং সক্রিয়ভাবে জড়িত এতে যেকোন বিবেকবান সচেতন নাগরিকই আতংকিত হবেন দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
গত ১লা সেপ্টেম্বর বেগম জিয়া লিখিত ”ডানপন্থির বামে বামপন্থির ডানে” শিরনামে একটি প্রতিবেদন ছাপিত হয়েছে নয়া দিগন্ত সহ আরও কয়েকটি দৈনিকে। প্রতিবেদনটির বিষয়বস্তু কতটা সত্য সেটা যাচাই করবেন পাঠকবৃন্দ এবং দেশের জনগন ইতিহাসের কষ্টিপাথরে। একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ জিয়ার ঘনিষ্ট সহকর্মী হিসেবে সত্যমিথ্যার যাচাই এর সুবিধার্থে বস্তুনিষ্ঠ একটি নাতিদীর্ঘ সমালোচনা ছাপাতে বাধ্য হলাম।
খারেদা জিয়া লিখেছেন- দেশের সার্বিক পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং একদলীয় বাকশালী স্বৈরশাসনের সুযোগ গ্রহন করে তারই একজন আস্থাভাজন সহকর্মী খন্দোকার মোশতাক আহমদ সেনা বাহিনীর একটি অনুগত অংশকে ব্যাবহার করে এক রক্তয়ী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মতা গ্রহন করেন।
তার এই বক্তব্যই যদি সত্য বলে মেনে নিতে হয় তবে যুক্তিসঙ্গত কারনেই বলতে হয় সেনাবাহিনীর অনুগত ঐ অংশের তালিকায় যে নামটি সর্বপ্রথম নিতে হয়, সেটা হচ্ছে জেনারেল জিয়াউর রহমানের। কারন ১৫ই আগষ্ট বৈপ্লবিক পট পরিবর্তনের পর খন্দোকার মোশতাক আহমদ যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহন করেন তখন শেখ ভক্ত জেনারেল সফিউল্লাহ সেনাপ্রধান হিসাবে রাষ্ট্রপতি মোস্তাক এবং তার সরকারের প্রতি পূর্ন সমর্থন প্রদান করলেও রাষ্ট্রপতি খন্দোকার মোশতাক সফিউল্লাহকে সড়িয়ে জেনারেল জিয়াকে সেনা প্রধান হিসেবে নিয়গদান করে তাকে বিশেষভাবে পুর®কৃত করেছিলেন। কেন রাষ্ট্রপতি মোস্তাক জেনারেল জিয়াকেই বেছে নিয়েছিলেন সেনা প্রধান হিসেবে? এর কি জবাব দেবেন বেগম সাহেবা?
মেড্যামের দাবি, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়া এসেছিলেন আকস্মিকভাবে।
৭ই নভেম্বর সৈন্যদের মুর্হুমুর্হু স্লোগান আর পুষ্পবৃষ্টির মধ্যেই নাকি জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছিল। কিন্তু ঐতিহাসিক সত্য হল, ৭ই নভেম্বরের সিপাহী জনতার সফল বিপ্লবের পরিনামে প্রতিবিপ্লবী ব্রিগেডিয়ার খালেদ চক্রের পতনের পর বিজয়ী বিপ্লবী সৈনিকেরা রাষ্ট্রপতি মোস্তাকের নিয়জিত সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করে সেনা প্রধান হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিল।
মুর্হুমুর্হু স্লোগান আর পুষ্পবৃষ্টি ছিল তাদের বিজয় উল্লাসের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এর সাথে জিয়ার রাজনৈতিক অভিষেকের কোন সম্পর্কই ছিল না।
বেগম জিয়া প্রতিবেদনে লিখেছেন, ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ এর সফল বৈপ্লবীক পট পরিবর্তনের পর যে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয় তা নাকি রাষ্ট্রপতি মোস্তাকের পে সামাল দেয়া সম্ভব ছিল না! এর ফলেই নাকি কুচক্রিরা ব্রিগেডিয়ার খালেদ এবং কর্নেল সাফায়েত জামিলের নেতৃত্বে ২রা-৩রা নভেম্বরের প্রতিবিপ্লবী অঘটন ঘটিয়ে তাকে মতাচ্যুত করতে সম হয়। তার এই দাবির পরিপ্রেেিত আমার প্রশ্ন- অযোগ্য খন্দোকার মোস্তাকের কাছেই কেন মুক্তির পর জেনারেল জিয়া ছুটে গিয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছিলেন পুনঃরায় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহনের জন্য? এছাড়াও খালেদা জিয়ার জানা উচিত ২রা-৩রা নভেম্বরের নাটের গুরু ব্রিগেডিয়ার খালেদ এবং কর্নেল সাফায়েত যোগ্যতার বিচারে খন্দোকার মোস্তাককেই রাষ্ট্রপতি হিসাবে বহাল থাকার সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছিলেন কিন্তু জনাব মোস্তাক আহমদ তাদের সেই প্রস্তাব ঘৃনার সাথে শুধু প্রত্যাখ্যানই করেছিলেন তাই নয়, তিনি রূঢ় ভাসায় তাদের হুশিয়ার করে দিয়ে নসিহত করেছিলেন কালবিলম্ব না করে জাতিয় স্বার্থবিরোধী সব কর্মকান্ড বন্ধ করে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে তার নিয়জিত বাহিনী প্রধানদের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করে তাদের অবিলম্বে বঙ্গভবনে পাঠিয়ে দিতে, তা না করলে তাদের পরিনতি হবে ভয়ংকর সে কথাটাও স্পস্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মোস্তাক। তার বক্তব্যে সাড়া না পওয়ায় খন্দোকার মোশতাক রাষ্ট্রপতির পদে সেচ্ছায় ইস্তফা দিয়ে আগামসি লেইনে চলে যান।
খন্দোকার মোস্তাককে বশ করতে ব্যার্থ হবার পরই জাষ্টিস সায়েমকে খালেদ চক্র রাষ্ট্রপতির পদে বহাল করতে বাধ্য হয়।
খন্দোকার মোস্তাক আহমদ কত বড় মাপের রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন আর্ন্তজাতিকভাবে খ্যতিসম্পন্ন রাজনৈতিক বিষারদ, কলামিষ্ট এবং সাংবাদিকদের চোখে তা জানতে হলে ১৫ই আগষ্ট সফল সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিশ্ব বিখ্যাত TIME কতৃক প্রকাশিত বিশেষ সংখ্যাটির উল্লেখ করতে হয়। ঐ সংখ্যার প্রচ্ছদ জুড়ে ছিল খন্দোকার মোস্তাকের ছবি, ভেতরের সম্পাদকীয়তে বিষদভাবে লেখা হয়েছিল তদকালিন বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ১৫ই আগষ্টের সফল অভ্যুত্থানের প্রোপট, বাকশালী সরকারের পতন, শেখ মুজিবের মৃত্যু, জনসাধারনের প্রতিক্রীয়া, সামরিক অভ্যুত্থান ও মোস্তাক সরকারের প্রতি সতঃস্ফুর্ত জনসমর্থন এবং রাষ্ট্রপতি মোস্তাকের মূল্যায়ন সম্পর্কে। উপসংহারে লেখা হয়েছিল- ুরধার বুদ্ধিমত্তা, অবিশ্বাস্য উপস্থিত বুদ্ধি, ত্মি পর্যবেন মতা, প্রশাসনিক যোগ্যতা, রাজনৈতিক বিচনতা ও প্রজ্ঞার বিচারে খন্দোকার
মোস্তাকের স্থান তুলনামূলকভাবে বিবেচনা করতে হয় ভারতের লালবাহাদুর সাস্ত্রীর অনেক উপরে। এরপরও যদি খালেদা জিয়া খন্দেকার মোস্তাকের যোগ্যতা সম্পর্কে তার উক্তিতে অটল থাকেন তবে সেটা হবে নেহায়েত অযুক্তিক গোর্য়াতুমি।
এতদিন আওয়ামিলীগ প্রচার করে এসেছে ১৫ই আগষ্টের সফল সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল সেনাবাহিনীর কিছু বিশৃঙ্খল বিপথগামী তরুন অফিসারদের নেতৃত্বে! এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। আওয়ামি লীগের ডাকসাঁইটে প্রভাবশালী নেতা শেখ সেলিম প্রকাশ্যে দাবি জানিয়েছেন, ১৫ই আগষ্টের অভ্যুত্থানে বাকশাল সরকারের পতন এবং অভ্যুত্থানকালে সসস্ত্র সংর্ঘষে শেখ মুজিব ও অন্যান্যদের মৃত্যুর সব দায়দায়ীত্ব যুক্তিসঙ্গতভাবেই বর্ত্যায় তদান্তিন সেনা প্রধান জেনারেল সফিউল্লাহ(বর্তমানে আওয়ামিলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা) এবং তার অধিনস্ত পদস্থ সামরিক নেতৃবৃন্দের উপর। একই যুক্তিতে বলা যায় ২রা-৩রা নভেম্বরের অঘটনও ঘটেছিল রাষ্ট্রপতি মোস্তাকের গাফিলতির কারনে নয় সেটা সম্ভব হয়েছিল সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানের দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারনেই। কুচক্রীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্বেও তিনি তাদের বিরুদ্ধে সময়োচিত উপযুক্ত পদপে নিতে ব্যার্থ হন। এ বিষয়ে বিষদ বিবরন পাওয়া যাবে রাষ্ট্রদূত লেঃ কর্নেল(অব)শরিফুল হক ডালিম বীরউত্তম এর লেখা ’যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি’ বইতে।
এর জবাবে কি বলবেন বেগম সাহেবা?
খালেদা জিয়া লিখেছেন, ’৭ই নভেম্বরের সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক সংহতির মধ্যদিয়ে সংগঠিত হয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সেই পরিবর্তন ছিল স্বাধিনতা ও সার্বভৌমত্বের প,ে উন্নয়ন ও উৎপাদনের প। ে এই পরিবর্তন ছিল সামরিক শাসন থেকে বহু দলিয় রাজনীতির প,ে মানুষের মৌলিক অধিকার, বাক-ব্যাক্তি, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধিনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আইনের শাসন কায়েম করে পর্য্যায়ক্রমে একটি সুসম সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তোলা। এতে কোন দ্বিমত নেই। কারন, এই মূল্যবোধগুলোই ছিল সেনা পরিষদের নীতি-আদর্শ এবং কর্মসূচি।
যে কারনে বাকশালী একদলীয় সৈরশাসনের বিরুদ্ধে সেনা পরিষদের নেতৃত্বে ১৫ই আগস্ট সফল সামরিক অভ্যুত্থানের পর খন্দোকার মোস্তাক আহমদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহন করেই কালবিলম্ব না করে জাতির উদ্দ্যেশে তার ভাষনে স্পষ্টভাবে ব্যাক্ত করেছিলেন দিননসহ এই কর্মসূচি পয্যায়ক্রমে কি করে বাস্তবায়ন করা হবে সেই রূপরেখা। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল তার আমলেই। রাজবন্দিদেও মুক্তিদেয়া হয়েছিল, সংবাদপত্রগুলো মালিকদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল, অনুমতি দেয়া হয়েছিল ঘড়োয়া রাজনীতি শুরু করার। সমাজের বিভিন্নেেত্রর শীর্ষস্থানিয় র্দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছিল তার আমলেই।
খালেদা লিখেছেন, ’৭ই নভেম্বরের যুগান্তকারি সফল বিপ্লবের নেতৃত্বে ছিলেন স্বাধিনতা যুদ্ধের মহান ঘোষক জিয়াউর রহমান।
’ তার এই দাবি কি ধোপে টেকে? গৃহবন্দি অবস্থায় জিয়া কি করে ৭ই নভেম্বরের বিপ্লবের নেতৃত্ব দিলেন! তার এই অদ্ভুত দাবি কি যুক্তিসঙ্গতভাবে গ্রহনযোগ্য?
এবার কিছু হক কথা বলতে চাই।
৭ই নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব, খালেদ মোশাররফ এবং সাফায়েত জামিলের নেতৃত্বে সংগঠিত ২রা-৩রা নভেম্বরের প্রতিক্রীয়াশীল ক্যুদাতা কোন বিচ্ছিন্ন অথবা অপরিকল্পিত ঘটনা নয়। এই ঘটনা দুটির মধ্যে রয়েছে একটি যোগসূত্র, রয়েছে একটি প্রোপট। সেনা পরিষদের নেতৃতে সেনা বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যদের উদ্দ্যোগে সংগঠিত বৈপ্লবিক সেনা অভ্যুত্থানের সফলতায় পতন ঘটে স্বৈরচারি মুজিব ও তার একদলীয় বাকশাল সরকারের। রাজনৈতিক এই পট পরিবর্তনের পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি সেনা পরিষদের মনোনিত প্রার্থী খন্দোকার মোস্তাক আহমদকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্টিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতির দাযিত্বভার গ্রহনের পর সেনা পরিষদের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনা প্রধানের পদে নিয়োগ দিতে হয়েছিল রাষ্ট্রপতি মোস্তাক আহমদকে মুজিবভক্ত জেনারেল সফিউল্লাহকে সড়িয়ে। বিমান বাহিনী এবং নৌ বাহিনীর নব নিযুক্ত প্রধানগনও ছিলেন সেনা পরিষদেও মনোনিত প্রার্থী। ১৫ই আগষ্ট বিপ্লবের প্রোপটে পরবর্তি রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহেই সংগঠিত হয়েছিল ২রা-৩রা নভেম্বরের প্রতিক্রীয়াশীল ক্যুদাতা এবং যুগান্তরকারি ৭ই নভেম্বরের সিপাহী-জনতার সফল বিপ্লব। ১৫ই আগষ্ট বিপ্লব সংগটিত হয়েছিল সেনা পরিষদের একক নেতৃত্বে কিন্তু ৭ই নভেম্বরের বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল সেনা পরিষদ এবং কর্নেল তাহেরের অধীনস্ত গনবাহিনীর যৌথ নেতৃত্বে। সেনা পরিষদ ও গনবাহিনী নামক গোপন সংগঠন দুইটির সুতিকাগার ছিল ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতার সংগ্রামকাল।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ১৫ই আগষ্ট বিপ্লবের নেতৃত্বের অন্যতম রাষ্ট্রদূত লেঃ কর্নেল শরিফুল হক ডালিম বীরউত্তমের লিখিত এবং ছাপিত বাংলায় ’যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি’ কিংবা এর ইংরেজি অনুবাদ ’UNTOLD FACTS’ বইটি পড়ে দেখার জন্য ম্যাডাম সহ সবাইকে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। এর প্রধান কারন, পাকিস্তানের সৃষ্টিকাল থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরের যুগান্তরকারি সিপাহী-জনতার বিপ্লব পর্য্যন্ত দীর্ঘ্য সময়ের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের উপর এমন বস্তুনিষ্ঠ তথ্যবহুল দ্বীতিয় কোন বই আজঅব্দি আমি পাইনি। বাজারে বই দুটি পাওয়া না গেলে http://www.majordalimbangla.net কিংবা http://www.majordalim.com ((ইংরেজিতে) ওয়েব সাইট দুটোর যেকোনটির থেকে অতি সহজেই পছন্দমত বাংলায় অথবা ইংরেজিতে পুরো বইটিই ডাউনলোড করে নেয়া সম্ভব। ওয়েব সাইট দুটোতে লেখকের লিখিত এবং ছাপিত অন্যান্য পু¯তকাদি সংক্রান্ত তথ্যসামগ্রী এবং দেশের চলমান রাজনীতি সর্ম্পকিত প্রতিবেদনগুলোও পাওয়া যাবে।
বেগম জিয়া তার প্রতিবেদনে মনগড়া কাহিনীকে ঐতিহাসিক সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার যে অপচেস্টা করেছেন সে সর্ম্পকে তাকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলতে চাই- কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেড়িয়ে আসার সম্ভাবনা যেমন থাকে ঠিক তেমনি মিথ্যের বেসাতি দিয়ে সত্যকে চিরকাল ধামাচাপা দিয়ে রাখা কোনক্রমেই সম্ভব নয়নি কারো প।
ে
১৫ই আগস্ট, ২রা-৩রা নভেম্বর এবং ৭ই নভেম্বরের ঘটনা তিনটি ঐতিহাসিকভাবে একই সূত্রে গাঁথা। আগস্ট বিপ্লবের ধারাবাহিকতায়ই ঘটেছিল ২রা-৩রা নভেম্বর ও ৭ই নভেম্বরের ঘটনা দুটো। এই সত্যকে কি করে অস্বিকার করতে চান ম্যাডাম জিয়া?
খালেদা জিয়ার মনে রাখা উচিৎ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর রাষ্ট্রিয় মতা গ্রহন করেই প্রতিহিংসা পরায়ন শেখ হাসিনা সংবিধানকে সম্পুর্ন অবজ্ঞা করে ’মুজিব হত্যা’ এবং ’জেল হত্যা’ নামে যে দুটি ফৌজদারি মামলা দয়ের করান সেখানে আসামীদের তালিকায় প্রথম নামটি ছিল প্রয়াত রাষ্ট্রপতি খন্দোকার মোস্তাক আহমদের এবং দ্বিতিয় নামটি ছিল শহিদ জেনারেল জিয়াউর রহমানের। পরবর্তি সময়ে মৃত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কোন আইনগত বিচার সম্ভব নয় বিধায় নামদুটি আসামিদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
সমাপ্ত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।