ইউরোপসেরার খেতাব জয়ের পর এ বছর ফিফার বিশ্বসেরা খেতাবও নিজের করে নিয়েছেন লিয়োনেল মেসি।
সোমবার জুরিখে ২০০৯ সালের ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দি ইয়ার ট্রফিটি বার্সেলোনা তারকার হাতে তুলে দেয় ফিফা।
১৯৯১ সালে এ ট্রফি প্রবর্তনের পর মেসিই প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় যিনি এ পুরস্কার পেলেন।
এ মাসেই ইউরোপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছিলেন ২২ বছরের মেসি। ফিফা পুরস্কার জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এটি খুবই আনন্দের মুহূর্ত।
সম্ভবত এক বছরে এর চেয়ে বেশি আর কিছু করা সম্ভব নয়।
ফিফার সদস্য ১৪৭টি দেশের কোচ ও অধিনায়কের ভোটে নির্বাচিত হন ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দি ইয়ার।
গতবারের পুরস্কারজয়ী পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে অনেক দূরে রেখেই এবার পুরস্কার জিতলেন গত দুবারের রানার্স আপ।
এবার মেসি পেয়েছেন ১ হাজার ৭৩ পয়েন্ট; অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের রোনালদো পেয়েছেন ৩৫২ পয়েন্ট। ১৯৬ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ জাভি হারনানদেজ।
বার্সেলোনা এবার চারটি শিরোপা জিতেছে, যার মূল অবদান মেসির বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে সমালোচনা রয়েছে, বার্সেলোনার মেসি আর্জেন্টিনার মেসি হয়ে উঠতে এখনো পারেননি।
এটা স্বীকার করলেন পরিচিত মেসিও; যাকে ফুটবল কিংবদন্তি এবং আর্জেন্টিনার এখনকার কোচ ডিয়াগো ম্যারাডোনাই দিয়েছেন এ যুগের 'ম্যারাডোনা'র স্বীকৃতি।
মেসি বললেন, "আমি বুঝতে পারছি না, কেন এমন হয়, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। অবশ্য বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণী খেলাগুলো আসলেই খুব কঠিন।
"
"তবে বিশ্বকাপ অন্য বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমি আমাকে ফিরে পাবো। ভালো খেলবে আর্জেন্টিনাও", বলেন তিনি।
এদিকে মেসির মতো এবারের বিশ্বসেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কারও গেছে দক্ষিণ আমেরিকায়। এনিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এ স্বীকৃতি পেয়েছেন ২৩ বছর বয়সি ব্রাজিলিয়ান মার্তা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।