আস্তাবলের গহ্বরে ফিরে গেছে সব রেসক্লান্ত ঘোড়া
এই শূন্য রেসের ময়দানে কার জন্য বসে আছো নি:সঙ্গ জুয়াড়ী!
কিছু সময় আগেও ছিলো করতালি আর উচ্ছ্বাসের ফেনা
কোলস্টরলে নিমজ্জিত দম্পত্তি আর সুধীসমাজ নামক দুরারোগ্য ব্যাধি।
অদৃশ্য হাতে ঘোরানো গোলটেবিলে - অযথায় মানুষের কোলাহলে
বমি করেছ অঢেল সঞ্চয় - জীবনের সাময়িক বাজিতে
সবাই গোলাকারে বসে ছিলে; শূন্যতার ডায়ালের গভীর রাতে।
অনন্তের হৃদকম্প বাড়ে অন্তের নাভিশ্বাসে - সবাই চলে তার সাথে
আত্মার ঘনীভূত আঁধারে মিলিয়ে যায় অতৃপ্ত দানবের ঘাম।
এই গোলাকার জুয়ার আড্ডায় সবাই যেন মড়কের বিভীষিকা।
দূরে আস্তাবলের মৌন আঁধারে জোৎস্নার অনাদি আলোয়
ক্লান্ত ঘোড়াদের কেশরে প্রেম; আগুন হ’য়ে জ্বলে।
নক্ষত্রের ইশারায় যে আগুন বেড়ে যায় - সে আগুন বাড়ে মৃত নক্ষত্রের হৃদয়ে।
যে দ্বীপ জাগেনি এখনো সাগরের অসীম কলোরলে
যে পাখি আগামীর গর্ভে তার ভ্র“ণ নিয় ডানা মেলে দেয়
যে দ্বীপ মানুষের মনে এখনও এল-দেরাদোর দুরাশা
সে দ্বীপ আর পাখি শাবকের মায়াডাকে -সাগরে ভাসে সমস্ত পাল।
পৃথিবীর সব শিশুর বদরক্তে নাবিকের নোনাঘ্রাণ
আর তাদের ভাসানো জাহাজের পাটাতনে সময়ের নি:শ্বাস ন’ড়ে যায়।
অমূল্য হৃদয় বাজিতে হেরে নিজেকে বিসর্জন দিয়ে
ও রেস উন্মাদ জুয়াড়ী - এখন নি:স্ব ভিখিরীর মত ঘুরে চলো এ কোথায়
এখানে আত্মাকে বাজি রেখে একদিন এসেছিলে জীবনের রেসে
নিজের ছায়ার পিঠে চেপে যেন ধরে রাখে লাগাম।
মুদ্রাদানবের কাছে মৃত্যুকে গচ্ছিত রেখে
নিজেকে খুঁজে পেলে অবশেষে রেসের ঘোড়ার পিছে
একদিন ভেবেছিল যে ঘোড়ায় চেপে যাবে অচেনা লোকত্তরে
সে ঘোড়া আজ তোমার ঠুন্কো জয়-পরাজয় বোধে
খুরের তলায় পিষ্ট মুদ্রার অহমিকা দে’খে - ক্লান্তিতে ঘাড় উঁচু করে তাকায় ধূলিধূসর আকাশের দিকে।
(এটি আমার ১ম কবিতার বই নৈঃশব্দের মৃত্যু হতে দেওয়া হলো)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।