আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লোকে বলে আমি নাকি চুরি করেছি গম,এইচ টি ইমাম কি ফ্রুটিকা খাইলেন?

কখনো ভাবিনি আগে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে ক্ষমতায় আনতে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দফায় দফায় গোপন বৈঠক হয়েছিল। এসব বৈঠকেই নির্বাচনে মহাজোটের বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনে আওয়ামী মনোভাবাপন্ন দলীয় লোকদের থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা নেয়া হয়েছিল। তাই এখন মুক্তিযোদ্ধাসহ বর্তমানে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসীন করতে প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী সাহায্য-সহযোগিতা করেছিলেন, তাদের প্রতিও সুনজর দেয়া হচ্ছে। এ ভূমিকার জন্য প্রশাসনে পর্যায়ক্রমে তাদের ন্যায্য সম্মান দেয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধা বিসিএস অফিসার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে গতকাল পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভার মুখ্য আলোচক প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন ও প্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এসব তথ্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এস কে হাবিবুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এ কে খন্দকার বীর উত্তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ও সমিতির মহাসচিব খান মোঃ বেলায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধসহ সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিসিএস অফিসার কল্যাণ সমিতির বেশ ক’জন নেতা ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক সহায়তায় কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বর্তমানে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

তারা জানতে চান প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন ও প্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এখন এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কিছু করবেন কি না। জবাব দিতে গিয়ে এইচ টি ইমাম প্রশাসনের সহযোগিতার কথা স্বীকার করেন। যে সে সময়ে কিভাবে (চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকার সময়) গোপনে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় গোপন বৈঠক করেছিলেন, তার বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ে আওয়ামী মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তাদের সাথে এসব বৈঠক গুলশানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান এইচ টি ইমাম। এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় খুবই গোপনে।

এইচ টি ইমাম বলেন, তিনি এসব কথা এখনো স্মরণ করেন এবং তাদের যথাযথভাবে সম্মান দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একই সাথে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদেরও যথাযথ সম্মান দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন­ জানান তিনি। তিনি প্রশাসনে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকর্তাদের তালিকা দেয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি জন্য আওয়ামী মনোভাবাপন্নদের তালিকা দেয়ার জন্যও কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে এইচ টি ইমাম বলেন, ’কী বলি নাই আপনাকে সে সময়ে কার বাড়িতে বৈঠক হচ্ছে, কার কাছে যেতে হবে, কে কিভাবে প্রশাসনের খবরাখবর দেবে? পাঠায়নি আপনাদের কাছে এসব নির্দেশ?’ তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা এসব করেছিলেন বলেই তো আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।

’ তিনি জানান, এসব কর্মকর্তাকে দিয়ে সে সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘ব্লাক-হোয়াইট’ তালিকা করা হয়েছিল। এসব তালিকা দেখে দেখে এখন প্রশাসনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের এসব কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে আরো সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, এসব সহযোগিতার কথা মনে রেখেই এখন চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যদিও আমরা সে দিন (জোট সরকারের আমলে) এসবের বিরোধিতা করেছি।

এইচ টি ইমাম আরো বলেন, দেশে এখন আর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার দরকার নেই। সরকার এখন রাজাকারের তালিকা করবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে গিয়ে অনেক অনুপ্রবেশকারী এতে ঢুকে পড়েছে। তারাই এখন মুক্তিযোদ্ধা সেজে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানে প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, কারো আহ্বানে বা ডাকে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে। তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অর্থ হয় না। এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এ কে খন্দকার বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসতে পারবে, এমন ধরনের চিন্তা যারা করেন তারা হঠকারিতায় বিশ্বাসী। তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে না পারলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আনবে না জনগণ। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর বঙ্গবন্ধুর বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি দায়মুক্ত হবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে বলে ঘোষণা দিয়েই আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে ভোট পেয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার গঠন করে সাড়ে তিন বছর ধরে আন্দোলন করতে হয়েছিল। তথ্যসূত্র:নয়াদিগন্ত

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.