দিনাজপুরে ছাত্রলীগ কর্মীর রগ কেটেছে ছাত্রলীগ
দু'গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দিনাজপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট অচল
দিনাজপুর: আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দিনাজপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে নূরুজ্জামান পাঠান টুকটুক নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর দুপায়ের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগেরই প্রতিপক্ষ গ্রুপ। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের চলতি পরীক্ষা বাতিল করে ইন্সটিটিউট বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দিনাজপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের ফরহাদ হোসেন সাগর ও আশিকুর রহমান লিমন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলে আসছে। কিছুদিন পূর্বেও উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়।
সর্বশেষ সংঘর্ষটিতে ফরহাদ গ্রুপের কয়েকজন প্রতিপক্ষের পিটুনীতে গুরুতর আহত হয়। প্রতিশোধের স্পৃহায় ফরহাদ গ্রুপ হন্যে হয়ে লিমন গ্রুপের সদস্যদের খুঁজতে থাকে। বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে লিমন গ্রুপ। গত এক সপ্তাহ থেকে উভয় গ্রুপের অস্ত্রের ঝনঝনানি ও মারমুখি মহড়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কে ভূগতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এসব ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে লিমন গ্রুপের কর্মী দিনাজপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের ৩য় বর্ষ ৫ম সেমিষ্টারের ছাত্র নুরুজ্জামান পাঠান টুকটুক পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কলেজের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে প্রস্তুত থাকা ফরহাদ গ্রুপের ক্যাডাররা তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও জনসম্মুখে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নুরুজ্জামান পাঠান টুকটুককে হাসুয়া দিয়ে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। এরপর তারা খুর দিয়ে তার দু'পায়ের রগ কেটে দেয়। ক্যাম্পাসে তার রক্তে প্রায় বন্যা বয়ে যায়। রক্ত দেখে বেশ কয়েকজন ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় নূরুজ্জামানকে প্রথমে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকগণ জানান, টুকটুকের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনও সে শংকামুক্ত নয়। এজন্য তার উন্নত চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
এদিকে খবর পেয়ে ছুটে আসে লিমন গ্রুপের সদস্যরা। অস্ত্রের ঝনঝনানি ও দৌড়াদৌড়িতে এ সময় কলেজের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী ও সাধারণ জনতা দিগ্বিদিক পালাতে থাকে।
পার্শ্ববর্তী পুলহাট বানিজ্যিক এলাকার সকল দোকান-পাট এসময় বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে উপশহরস্থ আবাসিক এলাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ইন্সটিটিউট ছুটি ঘোষণা ও চলতি পরীক্ষা স্থগিত করে। এ ঘটনার পর উভয় গ্রুপের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।