আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিঝুম দ্বীপের হরিণের আতঙ্ক কুকুর


কুকুরের উপদ্রবে বিপদের মধ্যে পড়েছে নিঝুম দ্বীপের চিত্রা হরিণ। প্রায় প্রতিদিন কুকুরের পাশাপাশি শেয়ালের খোরাকও হতে হচ্ছে হরিণকে। তবে এখানে বন্য শেয়ালের থেকে কুকুরের উপদ্রবটাই বেশি বলে জানালেন স্থানীয় লোকজন। গত সপ্তাহে নিঝুম দ্বীপের বেশ কয়েকটি বন ঘুরে এর প্রমাণও মিলেছে। হরিণ ফসল খেয়ে যায় বলে স্থানীয় লোকজনের কাছে এ প্রাণীটি এখন শত্রু।

তাই হরিণ ঠেকাতে কুকুর পোষায় আগ্রহী স্থানীয়রা। নিঝুম দ্বীপের বন্দর টিলার বাসিন্দা সত্তোরোর্ধ্ব মোয়াজ্জেম মোল্লা বললেন, "রাতের আঁধারে হরিণ এসে আমাদের ফসল খেয়ে ফেলে, আর কদিন বাদে দ্বীপের মাটিও খেয়ে ফেলতে শুরু করবে। " কুকুর পোষেন কেন- এ প্রশ্ন করা হলে নিশ্চুপ থাকেন তিনি। দ্বীপের বাসিন্দারা জানায়, হরিণের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। বছর দুয়েক যে পরিমাণ হরিণ দেখা যেত, এখন আর সে রকম দেখা যায় না।

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নিঝুম দ্বীপের। এক সময় দ্বীপটির নাম ছিলো চর ওসমান। নিঝুম দ্বীপকে ২০০১ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। এর আগে ১৯৭৪ সালে সেখানে একজোড়া হরিণ অবমুক্ত করা হয়েছিল। বনের গাছগাছালি আর অনুকূল পরিবেশের কারণে দিনে দিনে বাড়তে থাকে হরিণের সংখ্যা।

সরকারি হিসেবে এখন সেখানে হরিণের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। নামা বাজার এলাকার রকিবুল ইসলাম জানালেন, বনে ঢুকলে প্রতিদিনই মৃত হরিণ চোখে পড়ে। কুকুরের দলকে দেখা যায় মৃত হরিণ নিয়ে টানা হেঁচড়া করতে। বন ঘুরে সে চিত্রের দেখাও মিললো। নিঝুম দ্বীপের বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা নূরুন্নবী চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "কুকুর নিধনের জন্য আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বেশ কয়েকবার জানিয়েছি।

কিন্তু ফল পাইনি। কুকুরের সংখ্যা এখন অনেক বেড়ে গেছে। " হরিণের কথা ভেবে কুকুর নিধন করা খুব জরুরি, বলেন তিনি। নামাবাজার এলাকার আরেক বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, গৃহপালিত কুকুরগুলো হরিণ শিকার করতে করতে এখন বন্য হয়ে গেছে। কোনো কোনো কুকুর বেশিরভাগ সময়ই বনে কাটায়।

"এ সব কুকুরের শিকার হয় মূলত পুরুষ আর বাচ্চা হরিণ। বড় বড় শিং থাকায় পুরুষ হরিণ আর বাচ্চা হরিণগুলো তুলনা মূলকভাবে কম দৌঁড়াতে পারে বলে কুকুরেরা দল বেঁধে সেগুলোর ওপরই হামলা চালায়। " কুকুর নিধনের কথা বললেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও। ইউনিয়নের মর্যাদাসম্পন্ন নিঝুম দ্বীপের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, "কুকুরের উৎপাত এখন আগের থেকে অনেক বেশি। এখানে কুকুর নিধন করা জরুরি।

"
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।