শানিত কর সংস্কৃতির চেতনায় বিএনপি কি আস্তিকদের দল
বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূইয়াবে বহিষ্কারের সময় আমাদের ম্যাডাম বলিয়াছিলেন, উনি (ভূইয়া) নাস্তিক, মুরতাদ, আল্লাহ খোদা মানেন না। এমন একজন ব্যাক্তিকে মহাসচিব বানালেন।
১৯৭৬ সালে ন্যাপের (ভাসানি) নেতারা ঘোষণা দিয়ে বিএনপিতে যোগদেন। সেই সময় ফ-ই আলমগীর, তরিকুল ইসলাম, সাদেক হোসেন খোকারা বিএনপিতে আসেন। তারা কি সবাই নাস্তিক! এখন যদি কোন কারণে তারা বিএনপি ত্যাগ করেন ম্যাডাম কি বলিবেন?
এখন আবার একজন সম্পাদক, দুইজন প্রফেসর নিয়ে খুব উদ্বেগ আমাদের ম্যাডামের।
আওয়ামীলীগের সাবেক এক নেতাকে যিনি পঙ্গবীর বলে প্রচার করেন তার তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় প্রধান নায়ক চিত্কার করছেন। এই পঙ্গবীর যদি আওয়ামীলীগের থাকতেন তাকে কি এত বড় মুক্তিযোদ্ধা বলতেন?
যাদের নিয়ে ম্যাডামের উদ্বেগ তারা কি আস্তিক। ব্যাক্তিগত ভাবে তাদের যারা চেনেন তারা ভাল জানেন। ভাড়ামো এবং ভণ্ডামো কাহাকে বলে। এখন তাদের ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার, শফিক রেহমান তারা আস্তিকদের আইডল বুদ্ধিজীবী।
চমেত্কার!
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ২০০০ নারী ধর্ষণে ম্যাডাম কি কোন উদ্বেগ ছিল?
সেই বিএনপির লোকগুলো প্রচার করছে শাহবাগে ধর্ষণ হয়, নাস্তিকদের আড্ডা, বেহায়াপনা। রাজাকার জানোয়ারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নাস্তিকতার সম্পর্ক কি? এই জানোয়ারগুলো বাসে আগুন দেয় ইসলামের নামে। একই ভাবে হাসান হোসেনকে হত্যা করেছিল ইয়াজিদ বাহিনী। যারা হত্যা করেছিল তারা সবাই কি নাস্তিক ছিল? সেই ইয়াজিদের ভুত এই জামাত শিবির ওরফে বিএনপির ঘারে। তাদের রাজিব হত্যাকাণ্ডের শিকার হল আর বের করল তাকে সমর্থন করা যাবে না কারণ সে নাস্তিক।
তাকে সমর্থন করতে কে বলেছে? তার অর্থ পরিষ্কার এই হত্যায় বিএনপি উল্লসিত। ইসলামের কি নিকৃষ্ট ব্যবহার।
যারা জানোয়ারদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল তারা আবার বলে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক। ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯ সালের পর চুড়ান্ত পর্ব ১৯৭১।
এখানে কয়েক হাজার সামরিক অফিসার চিত্কার দিলেও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় কোন সার্থকতা নেই। ব্যাক্তিক হিসেবে অংশগ্রহণের বাইরে কোন ভুমিকা থাকতে পারে না। সারাদেশের মানুষ (কতগুলো জানোয়ার বাদে) মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক। দল হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বে ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।