আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহীর গোদাগারী এলাকার পদ্মা নদীর থেকে উদ্ধারকরা বিলুপ্তপ্রায় ঘড়িয়ালের একটি বাচ্চা এখন রাজশাহী চিড়িয়াখানায়

যেখানে বাঁধ সেখানেই বিপর্যয়। তাই বাঁধ মুক্ত জীবনের জন্য চাই বাঁধ মুক্ত পৃথিবী

ছবির উৎস্যঃ উইকিপিডিয়া বাংলাদেশের চরমবিপদাপন্ন প্রাণীর তালিকার প্রথমদিকে অবস্থান করা ঘড়িয়ালের একটি বাচ্চা রাজশাহীর গোদাগারী এলাকার পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করার পর বর্তমানে রাজশাহী চিড়িয়াখানায় সংরক্ষিত আছে। এই খবরটি টেলিফোনে প্রথম পাওয়ার পর আমি সত্যিই খুউব অবাক হয়েছি। কারণ আমার জানা মতে এর আগে ২০০৪ সালে এরকম একটি শিশু ঘড়িয়াল পদ্মা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর এসম্পর্কিত আর কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।

দি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত খবর থেকে আরও জানা যায় উদ্ধার করা ঘড়িয়ালটি লম্বায় মাত্র আড়াই ফুট এবং বয়স এক মাসেরও কম। এ থেকে সহজেই ধারনা করা যায় রাজশাহীর গোদাগারীর এলাকার পদ্মা নদীতে মা-বাবা ঘড়িয়ালের অন্তঃত একটি জুটি এখনও শত প্রতিকূলতার মাঝেও বেঁচে আছে এবং তারা প্রজননে অংশ নিতে পারছে। প্রকৃতিকভাবে সফল প্রজননের পর প্রাপ্ত ডিম ফুটে বাচ্চা উৎপন্ন হওয়ার মতো পরিবেশ স্বল্প পরিসরেও হলেও এখনও এখানে রয়েছে। বিষয়টি প্রাণী প্রেমীদের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক খবর। উইকিপিডিয়া থেকে আরও জানা যায় ঘড়িয়ালের নামের অর্থ: নাক (তুণ্ড)-এর ডগায় ঘড়ার মত আকৃতি, যা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ঘড়িয়ালের ক্ষেত্রে বেশ বড় হয়ে থাকে।

আমাদের পদ্মা নদীতে বসবাসকারী ঘড়িয়ালের বৈজ্ঞানিক নাম Gavialis gangeticus আর ইংরেজী নাম Indian gharial বা Fish-eating Crocodile বা Gavial । কুমিরাকৃতির এই প্রাণীর তুণ্ড কুমির তুণ্ডের চেয়ে অনেক সরু এবং মাছ ধরার উপযোগী। এ কারনেই ছোটরা জলজ পোকা-মাকড় ও এর লার্ভা খেয়ে থাকলেও প্রাপ্তবয়ষ্করা মৎস্যভূক হয়ে থাকে। মূলত মৎস্যভূখ হওয়ায় এরা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবুও জেলেদের জালে ধরা পরার পর এদের খুব কম সংখ্যকই বেঁচে থাকার সুযোগ পায়।

অসচেতনার কারণের আতঙ্কিত জেলেরা এদের ক্ষতিকর মনে করে পিটিয়ে আহত করে এবং মেরে ফেলে। যেহেতু রাজশাহীর গোদাগারী এলাকায় এখনও ঘড়িয়াল ধরা পরার খবর পাওয়া যায় তাই বিশেষত এই এলাকার জেলে ও অন্যান্য জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো এবং একই সাথে এখানে ঘড়িয়ালের একটি অভয়াশ্রম তৈরি করতে পারলে তা হতে পারে এদেরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার একটি সময় উপযোগী প্রয়াস। এছাড়াও সংরক্ষিত অবস্থায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রজননের ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরর্তিতে উৎপন্ন বাচ্চাদের প্রকৃতিতে ছাড়ার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যে শিশু ঘড়িয়ালটি বর্তমানে রাজশাহী চিড়িয়াখানায় আশ্রয় পেয়েছে সেটি পুরুষ না স্ত্রী তা জানা সম্ভব হয়নি। এজন্য প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

প্রাপ্ত ঘড়িয়ালটি যদি পুরুষ হয় তাহলে তা হবে এ জাতীয় কার্যক্রমের জন্য একটি সুসংবাদ। কারণ রাজশাহী চিড়িয়াখানায় বর্তমানে দুটি প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী ঘড়িয়াল সংরক্ষিত আছে। - ঘড়িয়ালের আরও ছবি দেখুন এখানে - ঘড়িয়াল সম্পর্কে আরও জানুন এখান থেকে -

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.