আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।
"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"
লুঙ্গি, পায়জামা, প্যান্ট ইত্যাদি কাপড় যদি পায়ের টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে
পরিধান করা হয় এবং তার উদ্দেশ্য হয় অহংকার করা, তবে তার শাস্তি হল
কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা"আলা তার দিকে তাকাবেন না, তার সাথে কথা বলবেন না,তকে পবিত্র করবেন না এবং তার জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। আর যদি অহংকারের সাথে নয় বরং সাধারনভাবে কাপড় ঝুলিয়ে পরে, তবে তার জন্য শাস্তি হল - তার টাখনুদ্বয়কে জাহান্নামের আগুনে পোড়ানো হবে।
রসুল (সঃ) বলেছেন, "কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা"য়ালা তিন ব্যক্তির দিকে তাকাবেন না,তাদের সাথে কথা বলবেন না,তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। সেই তিন ব্যক্তি
হল -১)পায়ের টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধানকারী্ (২) দান করে খোটাদানকারী এবং (৩)মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রয়কারী।
" সহীহ মুসলিম
অনেকে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে এবং যুক্তি দেখায় যে আমিতো
অহংকারবশতঃ কাপড় টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরি নাই, সুতরাং এতে তেমন কোন অসুবিধা নেই। উল্লেখিত হাদিস থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এ ব্যক্তির যুক্তি সম্পূর্ণ অসার ।
অতএব অহংকারের উদ্দেশ্য ব্যতীত এমনিই সাধারনভাবে কাপড় টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরলেই জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে । আর
তার সাথে যদি অহংকারযুক্ত হয় তবে তার শাস্তি আরও কঠিন, আর তাহল - আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন না, তার দিকে তাকাবেন না,
তাকে পবিত্র করবেন না এবং তার জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
এ প্রসংগে অনেকে হযরত আবু বকর (রাঃ) এর হাদীস দ্বারা দলীল দিতে চান ।
দুদিক থেকে তাদের যুক্তি ভিত্তিহীন ।
প্রথমতঃ আবু বকর (রাঃ) বলেছেন , "আমার কাপড়ের এক পার্শ্ব(অনিচ্ছাকৃত) ঝুলে পড়ে কিন্তু আমি তা বারবার উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। "
(আহমাদ, আবু দাউদ)। অতএব তিনি ইচ্ছাকৃত একাজ করতেন না। বরং তার শরীর অধিক ক্ষীন হওয়ার কারনে অনিচ্ছাকৃত কাপড় খুলে যেত।
তা
ছাড়া তিনি তা উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন । কিন্তু যারা কাপড় ঝুলিয়ে
পরে এবং ধারনা করে যে, তারা অহংকার করেনা, তারা তো ইচ্ছাকৃত এ
কাজ করে ।
দ্বিতীয়তঃ রসুল(সঃ) নিজেই আবু বকর (রাঃ)কে পরিশুদ্ধ করেছেন এবং সাক্ষ্য দিয়েছেন যে,তিনি সেই সকল লোকদের অর্ন্তভুক্ত নন, যারা অহংকারবশতঃ একাজ করে থাকে। অতএব বর্তমানের এরা কি নবীজীর
এ পরিশুদ্ধি লাভ করেছে? কিন্তু শয়তান প্রবৃত্তির অনুসারী লোকদেরকে
কুরাআন-সুন্নাহ থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ উক্তিসমূহকে খেয়াল-খুশির উপর ব্যবহার করতে উদ্ধুদ্ধ করে। তখন তারা বিভ্রান্ত হয়।
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করে থাকেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।