ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম সমাবর্তনে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রাপ্ত ৩জনের মধ্যে ২জনই আসেননি। যা সমার্বনের আনন্দকে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে। তবে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের কমতি ছিলনা। তারা ক্যাম্পাসে নেচে-গেয়ে,ফটোসেশন করে অনেক আনন্দ করেছে।
রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমান বলেছেন, আত্মিক উন্নতি পার্থিব উন্নতির চেয়ে অনেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এ অর্জনই আমাদের সমাজ পূর্ণগঠনের মূল চালিকা শক্তি ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রযুক্তি বিপ্লবের এ যুগে মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন আত্মশুদ্ধির।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম সমার্বতনে সভাপতির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। রাষ্টপতি আরো বলেন, শিক্ষিত যুবকদের দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।
শিক্ষারর আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলাফল জনগনের কাছে পৌছে দিতে হবে। কাঙ্খিত উন্নয়নের মাধ্যমেই কেবল দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত ও মর্যাদাশীল জাতি গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবাণ জানান।
অনুষ্ঠানে সমার্বতন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৮৬ সালে রসায়নে নোবেল বিজীয় তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকার প্রেসিডেন্ট (এমিরেটাস) অধ্যাপক ইউয়ান টি লী।
তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ নেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হুসসামকে ডক্টর অব সায়েন্স ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রণজিৎ গুহকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি প্রদান করা হলেও তাদের দু’জনের কেউ সমার্বতনে যোগ দেননি। অধ্যাপক আবুল হুসসামের প থেকে তার ভাই ড. একে এম মুনীর ও অধ্যাপক রণজিৎ হুহের প থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল সম্মাননা গ্রহণ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।