হাউকাউ পার্টি
সবুজে ঘেরা পাহাড়ী জনপদ বান্দরবনকে সব সময়ই আমার কাছে রহস্যময় মনে হয়।
পাহড়ের গা বেয়ে যখন গাড়ি এগিয়ে চলে তখন পেছেন ফেলে
আসা পথের দিকে চোখ পরে, তখন শিউরে উঠি পাহাড়ের
পাশের অতল গভীর খাদ দেখে। একই সাথে আবার অসম্ভব সুন্দর
প্রকৃতি দেখে মন ও ভরে যার।
রাঙ্গামটির পরে আমার দ্বিতীয় ভালোলাগা হলো বান্দরবন।
শীতকাল টা বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত সময় হলেও আমার বেশি ভাল
লেগেছিল বর্ষাকাল।
কারণ এময়টায় সবুজ বান্দরবনকে আরও বেশি সবুজ লাগে।
এছাড়া রাস্তা আর পাহাড়ের নালা গুলো দিয়ে বয়ে চলা বৃষ্টির
পানি খুব দারুন একটা আবহ সৃষ্টি করে।
বান্দরবনের বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতি গোস্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বম
আর মুরং। এখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলোর মধ্যে রয়েছে
চিম্বুক, নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলা, বগা লেক, রাইং খং পুকুর, প্রান্তিক লেক, রিঝুক ঝর্না, হাতিভাঙ্গা, মুরং এবং বম গ্রাম, সাঙু নদী
প্রভৃতি। আমার অবশ্য শুধু চিম্বুক, নীলগিরি, বগা লেক দেখার
সৌভাগ্য হয়েছে।
৩০০০ ফুট উচ্চতার চিম্বুক পাহাড় বাংলাদেশের তৃতিয় বৃহত্তম
পাহাড়। দারুন এই পাহাড়টার উপর সরাসরি গাড়ি নিয়ে উঠে যাওয়া যায়। এখানে একটা রেস্ট হাউস আছে। চিম্বুকের চুড়া থেকে বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশ দেখা যায়।
আর একটা খুব দারুন ব্যাপার হলো আবহাওয়া ভাল থাকলে পাহাড়ের
উপরে অনেক সময় মেঘ গা ছুয়ে যায়।
সে যে কি আসাধারণ অনুভুতি।
পাহাড়ের উপর থেকে দেখা মেঘের সমুদ্র।
চিম্বুকের কাছে, বান্দরবনের থেকে প্রায় ৪৭ কি মি দুরে সমুদ্র
সীমা থেকে ২৪০০ ফু: উচ্চতায় অবস্থিত নীলগিরি। নামের মতো জায়গাটাও খুব সুন্দর। এখানেও চমৎকার একটা রিসোর্ট আছে।
বান্দরবনে বেশ কিছু লেক আছে, অন্যতম রুমার বগা লেক।
লেকটার এমন নাম হলো কেন কে জানে? এখানে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে।
এছাড়া হলুদিয়ার প্রান্তিক লেক টাও খুব ভাল লেগেছে।
বান্দরবনে ভ্রমনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশা পাশি বাড়তি পাওনা হলো বৌদ্ধ মন্দির গোল্ডেন টেম্পল। বাংলাঘাটের একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত এর ওপর নাম হলো যাদি মন্দির।
মন্দিরে ভেতর কিন্তু জুতা এবং শর্টস পড়ে ঢোকা নিষেধ।
এই পাহাড়ের চুড়োয় দেবতা পুকুর নামে একটা পুকুর আছে।
এইই ছিল এবারের ভ্রমন আমার। সময় স্বল্পতার কারণে অনেক কিছুই দেখার বাকি রয়ে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।