ফ্রম দ্যা হার্ট অফ ডার্কনেস
"স্বাধীণতা"," নৈতিকতা", "সাধারণ মানুষ" এমন কিছু সংজ্ঞা নিয়ে আমি প্রায়ই দ্বিধাগ্রস্ত থাকি। এই শব্দগুলোর আসলেই কি কোন সাধারণ সংজ্ঞা দাঁড় করানো সম্ভব!
জাতীয়তাবাদী কিংবা শাসকশ্রেণীর জন্য যা বিচ্ছিন্নতাবাদ, স্বশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত মানুষের জন্য তা স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতা'র মত যে কোন শব্দের সংজ্ঞায়ন ব্যাক্তি মানুষের ভাবনা, শ্রেণীচরিত্র, রাজনৈতিক মতাদর্শের উপরে নির্ভরশীল। যেহেতু দেশে-দেশ, সমাজে-সমাজে ভিন্নচিন্তা কিংবা ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ থাকবে, সুতরাং শব্দের একক কোন সংজ্ঞায়ন সম্ভব নয়। এইটা আমার মত।
কথাগুলো বলার প্রেক্ষিত রাসেল ভাইয়ের পোষ্ট"সভ্য মানুষের লিখবার মতো পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ এ ব্লগ
আমি উনার ব্লগ মোটামুটি নিয়মিত পড়ি। চিন্তাধারায় পার্থক্য থাকলেও উনার কনফিডেন্ট ইনডিভিজুয়ালিস্টিক অ্যাপ্রোচ ভালো লাগে।
যদি আমি ঠিক নিশ্চিত না উনার ক্ষোভের কারন কি? বোধকরি মডারেশনে পলিসি।
বাংলাদেশে "সামহ্যোয়ারইন" কিংবা "আমার ব্লগ" কিংবা যেসব ব্লগে পরীক্ষাদিয়ে পাস করতে হয়না, তাদের মধ্যে তেমন মাত্রাগত(অর্থাৎ ব্লগারদের ভাবনায় তেমন পার্থক্য দেখিনা)। লিখিতভাবে সামহ্যোয়ারইন-ই কিছু মডারেশন নীতিমালা আছে আর আমারব্লগে "নো মডারেশন" নীতি।
তবে আমার ব্লগের "নো মডারেশন" নীতি সবক্ষেত্রে মানা সম্ভব হয়নি। কিছু পোষ্ট ক্ষেত্রে ব্লগারদের চাপেই সরিয়ে দিতে হয়েছে। "নো মডারেশন" আমার ব্যাক্তিগতমত সম্ভবপর নয় এবং সেটা কতৃপক্ষের কারনে নয়, বরং ব্লগারদের কারনে। এমনি সামহ্যোয়ারইন-এ মডারেশনের যে লিখিত নিয়ম, তা ব্লগারদের অ্যাভারেজ মনোভাবকে রিপ্রেজেন্ট করে। তবে সেটার প্রয়োগ অনেকক্ষেত্রেই মেজরিটীর মতামতের বিপক্ষেই যেতে পারে কিংবা যায়।
সামহ্যোয়ারইন কিংবা আমার ব্লগ একঅর্থে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর প্রতিফলন। সেগুলোতে যদি কোন অর্থে সভ্যলোকদের লেখালেখি সম্ভবপর না হয়, সে অর্থে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীও সভ্যমানুষের বেড়ে উঠার পথে অন্তরায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।