বড় গলয় দাবী করেছিলেন সাহারা খাতুন, অরবিন্দ রাজখোয়াকে বাংলাদেশ থেকে আটক করা হয় নাই। এরশাদের জন্যে আফসুস! বিশ্ববেহেয়ার পোস্টে তার থেকেও বড় দাবীদার এসে গেছে।
দিল্লির স্বীকারোক্তি : বাংলাদেশেই গ্রেফতার করা হয়েছে উলফা চেয়ারম্যানকে
উলফা চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়াকে বাংলাদেশেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে।
ভারতের ইকনোমিক টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রাজখোয়া গত তিন মাস ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’র পর্যবেক্ষণে ছিলেন। ফাঁদ পেতে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতারের আগে ঢাকা থেকেই তাকে অনুসরণ করা হয়।
আসামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থাপিত নথিতে বলা হয়, উলফা চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগীদের বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়। তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেফতার করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গুগুইও গতকাল রাজ্যসভায় বলেছেন, উলফা চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৯০ সাল থেকে উলফা চেয়ারম্যান রাজখোয়া ও পররাষ্ট্র সচিব শশধর চৌধুরী বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। অর্থ সচিব চিত্রাবন হাজারিকা ও ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ রাজু বড়ুয়া পরে বাংলাদেশে যান।
তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে অস্বীকার করার পর রাজখোয়া ও রাজু বড়ুয়াকে আটক করা হয়েছে। তারা যদি আলোচনায় বসতে রাজি হন, তবে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। তাদের হ্যান্ডকাফ খুলে দেব। তরুণ গুগুই আরও বলেন, উলফা যদি স্বাধীন আসামের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তবে তাদের জন্য আলোচনার দ্বার সবসময়ই খোলা থাকবে। তিনি বলেন, রাজখোয়াকে আদালতে হাজির করার সময় ‘উলফা জিন্দাবাদ’, ‘অরবিন্দ রাজখোয়া জিন্দাবাদ’ বলে যারা স্লোগান দিয়েছে তারা দেশের শত্রু।
উল্লেখ্য, অরবিন্দ রাজখোয়া ও পরেশ বড়ুয়া উভয়েই আসামের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন। ভারতের র্যাডিফ ডট কমের খবরে আরও বলা হয়, রাজ্যসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, আসামে উলফার হাতে গত তিন দশকে ১ হাজার ২৮৯ জন প্রাণ দিয়েছে। গত ৮ বছরে ১ হাজার ৪৮২ উলফা নেতাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৯ হাজার ৩৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, উলফার কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বড়ুয়া এবং সিনিয়র নেতা জীবন মুরা ছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বাকি সব সদস্যই এখন হয় সরকারের হাতে বন্দি নতুবা মৃত্যুবরণ করেছেন অথবা নিখোঁজ রয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।