কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..
উলফা ভারতের স্বাধীনতাকামী এক প্রদেশের মুক্তিকামী যোদ্ধার দল। যে কেউ স্বাধীনতা চাইতে পারে। সবারই স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। সবারই অধিকার রয়েছে তার সকল অধিকার রক্ষা করার। সে অধিকার প্রাপ্তির পথে যদি কেউ বাধা দেয় তবে অত্যাচারিত জনগোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবেই।
উলফাও নিশ্চয় এধরনেরই কোন সংগঠন যারা তাদের স্বজাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল হতে মুক্ত করতে চায়।
ভারতের অখন্ডতার বিরুদ্ধে উলফা একটা সমস্যা। এ সমস্যা ভারতের, বাংলাদেশের নয়। ভারত কিছুতেই চাইবেনা উলফা সফল হোক। কিন্তু উলফা নামক ভারতের সমস্যা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কি কোন প্রয়োজন আছে?
ভারত আমাদের প্রতিবেশি দেশ।
আমাদের তিনপাশেই ভারত আবার সাগরেও তারা আমাদের প্রতিবেশি। সেদিক হতে ভারতের সাথে আমাদের রাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় থাকাটা জরুরী। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, ভারতের প্রদেশ নয়।
বেশ কিছু উলফা নেতা তাদের দেশে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এবং বাংলাদেশি নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ধরাও পড়েছে। তারা বাংলাদেশের বন্দী হিসেবে শাস্তি ভোগ করবে ততদিন পর্যন্ত যতদিন পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময়ের কোন চুক্তি হবেনা।
কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনগন ক্ষমতাবলে এসকল নেতাদের অনেককে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় গুঞ্জন উঠেছে। উলফার নেতৃবৃন্দও একথা স্বীকার করেছে। অথচ আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখবরকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করেছেন। যদি এ ধরনের ভারতপ্রীতিমূলক কর্মকান্ড সত্যি বলে প্রমানিত হয় তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত হবে পদত্যাগ করা। কেননা, একজন মিথ্যুক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জন্য একটি অভিশাপ।
উলফা নেতাগন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষনা দিয়েছে। বাংলাদেশের নেতাগন যদি এদেশকে ভারতের একটি অনুগত প্রদেশ হিসেবে উলফার বিরুদ্ধে সরাসরি কাজ করে তবে উলফার পক্ষ হতে প্রতিশোধ আমাদের জন্য প্রাপ্য হয়ে দাঁড়ায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সাধারন জনগন অনেকখানি বিপদের মধ্যে আছে। নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে অবস্থানকারী ভারতের গোলাম বাংলাদেশি নেতাগন আমাদেরকে আজ এক বাজে অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারন জনগন, কিন্তু এরজন্যে অবশ্যই নেতাগনই দায়ী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।