ফুটপাত ও সরকারি জায়গা দখল করে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) এলাকায় রাজনৈতিক সংগঠনের ১০৬টি অবৈধ কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৭টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৯টি কার্যালয় চিহ্নিত করেছে সিটি করপোরেশন। অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ব্যানারে করা এসব কার্যালয়ের অধিকাংশই সাংগঠনিক কাজে ব্যবহূত হয় না। চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের জন্য এলাকার মানুষের কাছে এগুলো ভীতিকর জায়গা হিসেবে পরিচিত। এসব কার্যালয় ব্যবহার করে আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কোথাও কোথাও কার্যালয়ের আশপাশে অবৈধ দোকান তুলে তা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত কয়েক বছরে ফুটপাত, সরকারি জায়গা ও খালের পাড় দখল করে সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক কার্যালয় অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নামে এ কার্যালয়গুলো চলছে। সংখ্যায় কম হলেও বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণ সংগঠনের সাইনবোর্ডেও এ রকম কার্যালয় করা হয়েছে। অবৈধ এসব স্থাপনার বেশির ভাগই সিটি করপোরেশনের জায়গায়।
এ ছাড়া রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত বিভাগ ও ওয়াসার জায়গা দখল করেও এসব কার্যালয় করা হয়েছে। মহাখালী রেলক্রসিংয়ের পাশে রেলওয়ের জমিতে গড়ে তোলা স্থানীয় যুবলীগের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ তিনজনকে ‘সন্ত্রাসীরা’ গুলি করে। এর পরদিন গত বছরের ২ জুলাই স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব রাজনৈতিক সংগঠনের অবৈধ কার্যালয় উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই দিন রাতেই এ বিষয়ে সরকারি তথ্য বিবরণী দিয়ে বলা হয়, নিজ উদ্যোগে এগুলো সরিয়ে না নিলে সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে তা অপসারণ করবে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও তা কার্যকর হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।