মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তিতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে মোহাম্মদ হানিফের অবদান অনস্বীকার্য। দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করার বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে মোহাম্মদ হানিফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। -----প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁর মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে যা কখনো পূরণ হবার নয়।
তিনি বলেন, দল ও সিটি করপোরেশন পরিচালনায় তাঁর সাফল্য ও দক্ষতা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। মরহুম হানিফ রাজনৈতিক জীবনে আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মরহুম হানিফ আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি তার কর্মের মাধ্যমে চির জাগরুক হয়ে থাকবেন। মরহুমের নীতি আদর্শের যথাযথ অনুসরণ ও তাঁর অসমাপ্ত কাজের পূর্ণ রূপ দেয়াই হবে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সর্বোত্তম পন্থা। এ লক্ষ্যে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
-------- জাতীয় সংসদের স্পিকার মো. আবদুল হামিদ।
মোহাম্মদ হানিফের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল। পুরান ঢাকায়। ছাত্রাবস্থায় তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব পান।
১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।
২০০৩ সালের মার্চ মাসে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন ঢাকার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম মোহাম্মদ হানিফ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় তিনিও আহত হয়েছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় সভানেত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন মেয়র হানিফ। মূলত গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার কারণেই পরবর্তী সময়ে মেয়র হানিফ দীর্ঘ দিন অসুস্থ্য ছিলেন।
তিনি ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।