মোহাম্মদ আলীর নাম উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একজোড়া গ্লাভস হাতে দানবীয় শক্তির সেই মানুষটির অবয়ব। দুই হাতের কব্জি দিয়ে যিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন গোটা বিশ্ব। তার আগের নাম ক্যাসিয়াস মারকেলাস ক্ল্যা জুনিয়র। মোহাম্মদ আলী ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের লুইসভিলা, কেন্টাকিতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ক্যাসিয়াস মারকেলাস ক্ল্যা সিনিয়রের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়।
যার নামকরণ করা হয়েছিল একজন দাসপ্রথা বিরোধী রাজনীতিবিদ ক্যাসিয়াস ক্ল্যার নামানুসারে। আলী ১৯৬৪ সালে ইসলামী সংগঠন নেশন অব ইসলামে যুক্ত হলে এবং ১৯৭৫ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তার নাম পরিবর্তন করেন। মোহাম্মদ আলীর পিতা ক্ল্যা সিনিয়র সাইনবোর্ড এবং বিলবোর্ড রং করতেন, তার মা ওডিসা গ্র্যাডি ক্ল্যা একজন গৃহিণী ছিলেন। যদিও ক্ল্যা সিনিয়র একজন মেথডিস্ট ছিলেন কিন্তু তার সন্তানদের বাপ্টিস্টে নিতে তার স্ত্রীকে অনুমতি দিতেন। তিনি তিনবারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণজয়ী।
১৯৯৯ সালে মোহাম্মদ আলীর নাম বিবিসি এবং স্পোর্টস ইলাট্রেটেড স্পোর্টসম্যান অব দ্য সেঞ্চুরি অথবা শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৫৪ সালের একদিন আলীর সাইকেল চুরি হয়ে যায় তখন সে পুলিশ অফিসারকে (মার্টিন) জানায়, সে চোরকে পেটাতে চায়। অফিসার (সে শহরের বঙ্ংি কোচ) তাকে বলে যে, এর জন্য তাকে লড়াই করতে জানতে হবে। পরদিন তিনি মার্টিনের কাছ থেকে বঙ্ংি শেখা শুরু করেন। তিনি তাকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে প্রজাপতির মতো নেচে নেচে মৌমাছির মতো হুল ফোটাতে হয়।
১৯৬০ সালে তিনি অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেন। আলীর বিশেষত্ব ছিল, তিনি খেলার সময় সবার মতো হাত মুখের সামনে রাখতেন না, শরীরের পাশে রাখতেন। প্রতিপক্ষের মার ঠেকানোর জন্য নির্ভর করতেন সহজাত প্রবৃত্তির ওপর। ২৯-১০-১৯৬০ এ তিনি প্রথম পেশাদার লড়াই জেতেন। ১৯৬০-১৯৬৩ তিনি টানা ১৯টি লড়াই জেতেন যার মধ্যে ১৫টি নকআউট।
এর পর তিনি শিরোপাধারী সনি লিস্টনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণ্য হন, কিন্তু কেউ আশা করেনি, তিনি জিতবেন। ১৯৭১ সালের মার্চে আলী জো ফ্রেজিয়ারের মুখোমুখি হন। যা 'শতাব্দীর সেরা লড়াই' হিসেবে পরিচিত। বহুল আলোচিত লড়াইটি ছিল দুই মহাবীরের লড়াই। যা সবাইকে শিহরিত করে।
জো ফ্রেজিয়ার খেলায় জয়লাভ করেন এবং আলী প্রথমবারের মতো পরাজিত হন। ১৯৭৪ সালের ফিরতি লড়াইয়ে তিনি অবশ্য শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।