ঈদের দিনের সুন্নত পর্যায়ের করণীয় হলো
(১) শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে যথাসাধ্য সুসজ্জিত হওয়া (এবং খুশী প্রকাশ করা)
(২) গোসল করা,
(৩) মিসওয়াক করা,
(৪) যথাসম্ভব উত্তম কাপড় পরা,
(৫) খুশবু লাগানো
(৬) সকালে অতি প্রত্যুষে বিছানা থেকে গাত্রোত্থান করা,
(৭) ফজরের পর সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া
(৮) ঈদগাহে এক রাস্তায় যাওয়া অন্য রাস্তায় আসা,
(৯) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া
(১০) যাবার সময় উচ্চস্বরে ঈদুল আযহার তাকবীর বলতে বলতে যাওয়া। আল্লাহু আকবার...ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
ঈদুল আযহার নামাযের নিয়ম ঠিক ঈদুল ফিতরের নামাযেরই অনুরূপ এবং যেসব কাজ ওখানে সুন্নত সেসব এখানেও সুন্নত। পার্থক্য শুধু এই যে,
(১) নিয়তের মধ্যে ঈদুল ফিতরের পরিবর্তে ঈদুল আযহা বলবে।
(২) ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত কিন্তু ঈদুল আযহার দিনে খেয়ে যাওয়া সুন্নত নয় (বরং ঈদুল আযহার নামাযের পূর্বে কিছু না খেয়ে যাওয়াই মুস্তাহাব)।
(৩) ঈদুল আযহার দিনে ঈদগাহে যাওয়ার সময় উচ্চস্বরে তাকবীর পড়া সুন্নত। ঈদুল ফিতরে আস্তে পড়া সুন্নত। (৪) ঈদুল আযহার নামায ঈদুল ফিতর অপেক্ষা অধিক সকালে পড়া সুন্নত।
(৫) ঈদুল ফিতরে নামাযের পূর্বে সদকায়ে ফিতরা দেয়ার হুকুম, ঈদুল আযহার নামাযের পর সক্ষম ব্যক্তির জন্য কুরবানী করার হুকুম।
ইসলামে দুটি ঈদ মুসলমানদের জন্যে নির্ধারিত।
উভয় ঈদের দিনে মহাসমারোহে সকল মুসলমানের একত্রিত হয়ে শোকরানার দু'রাকাআত নামায পড়া ওয়াজিব। জুমআর নামাযের খুতবা ফরয, দুই ঈদের নামাযের খুতবা সুন্নত। জুম্য়ার খুতবার ন্যায় দু'ঈদের খুতবা শোনাও ওয়াজিব। চুপ করে কান পেতে খুতবা শুনতে হয়। কথাবার্তা বলা, চলাফেরা করা, নামায পড়া, বা দোয়া করা ঐ সময় সবই নিষেধ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।