মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
২২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় ফরহাদ-মনিসিংহ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনের শহীদ তাজুল মিলনায়তনে কমরেড আব্দুস সাত্তার খানের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনসহ ৮ টি সংগঠন এক স্মরণ সভার আয়োজন করে।
কৃষক নেতা লিয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং আব্দুস সাত্তার হাওলাদারের পরিচালনায় এই স্মরণ সভায় স্মৃতি চারণমূলক বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, কৃষক সমিতির সভাপতি মোর্শেদ আলী, শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন, আদিবাসী নেতা বিশ্বনাথ সেন, সোলায়মান মাস্টার, জায়েদ ইকবাল খান, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, নারী নেত্রী জাহানারা বেগম, হোসনেরা বেগম প্রমুখ।
এ স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, কমরেড আব্দুস সাত্তার খান ছিলেন এ দেশের গরীব-দুঃখী, কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের প্রাণের মানুষ। তাদের অধিকার আদায়ের লড়াই-সংগ্রামের প্রিয় নেতা।
বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি তাঁর সমস্ত জীবন মেহনতি, দিনমজুর, ক্ষেতমজুরদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য লড়েছেন।
বক্তারা বলেন, আজীবন এ বিপ্লবী এদেশের কৃষক আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষদের মধ্য একজন।
তার নেতৃত্বে ১৯৮০ সালে পটুয়াখালির দশমিনা থানায় তীব্র আন্দোলন গড়ে ঊঠে। ওই অঞ্চলের কৃষকরা স্থানীয় টাউট-বাটপারদের উৎখাত করে নিজেদের বসতি স্থাপন করে। তাঁর স্মৃতিতে শুধু বক্তব্য দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো যাবে না। বরং তাকে প্রতিনিয়ত অনুকরণ ও অনুস্মরণ করে তার রেখে যাওয়া অসম্পাপ্ত কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই প্রকৃত অর্থে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।