ধন্যবাদ
দেখেশুনে মনে হচ্ছে প্রকৃতি যেন মানবজাতির সাতে সংগ্রামে লিপ্ত। মানুষের বুদ্ধিমত্তা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে প্রকৃতি ততই তার প্রতিশোধ নিতে এগিয়ে আসছে। বিশ্বের প্রায় সর্বত্র ছেলে ও মেয়ের জন্ম হার সমান। এটা সর্বজন স্বীকৃতও বটে। তবে শিশু মৃত্যুর হারের বেলায় দেখা যায় যে ছেরে সন্তানদের মৃত্যুর হার মেয়ে সন্তানদের তুলনায় বেশি।
অবাক হবার মত ব্যাপার বটে! কে বলে তাদের উইকার সেক্স বা অবলা? এদিকে যেকোন সময়ের গৃহীত পরিসংখ্যান এ দেখা গেছে,বিশ্বে বিধবাদের সংখ্যা বিপত্নীকদের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। যেমন গ্রেট ব্রিটেনে ৪০ লাখ, জার্মানীতে ৫০ লাখ, সোভিয়েত ইউনিয়েনে (সাবেক) ৭০ লাখ বেশি বিধবা অধিবাসী। শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এই সমস্যার কোনো সমধান যদি গৃহীত হত, তবে সেই সমাধান পদ্ধতি অন্য সব দেশ কর্তৃক অনুসৃত হত নিঃসন্দেহে। কিন্তু এ যাবৎ তা সম্ভব হয়নি। বিশ্বের উন্নত সভ্যতার অধিকারী বলে কথিত এই দেশেটির নারী সংক্রান্ত যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে তা থেকে যে কেউ সহজেই এর সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেন।
জানা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহিলার সংখ্যা পুরুষের চেয়ে৭ কোটি ৮০ লাখ বেশি । বিবাহযোগ্য প্রত্যেকটি আমেরিকান যদি বিয়ে করেন তবু্ও সে দেশে এই ৭ কোটি ৮০ লাখ মহিলা বাড়তি থেকে যাবে। একটা কথাসবার যে বিবাহযোগ্য পুরুষ নানা কারণে বিয়ে এড়িয়ে চলেন। বিয়ে সম্পর্কে পুরুষের ভীতি খুবই সাধারণ ঘটনা। এদিকে আবার অনেকে সারা জীবন বিয়েই করেন না।
অন্যদিকে কর্মশীলা হবার পরেও খুবই ক মহিলা বিয়েতে অমত করেন। অন্যকিছুর জন্য না হোক শুধু আশ্রয় ও নিরাপত্তার জন্য হলেও মহিলারা বিয়ে করে থাকেন। কিন্তু আমেরিকার এই বাড়তি নারীর সমস্যা দিনে দিনে চক্রবৃদ্ধিহারে বেড়েই চলেছে। এদিকে আমেরিকার জেল কয়েদিদের শতকরা ৭৮ ভাগই পুরুষ। অন্যদিকে মোট মার্কিন জনসংখ্যার মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখের মত পুরুষ সমকামী।
ওরা বলে "গে" । অথচ একসময় এই গে শব্দটা ছিল চমৎ অর্থবহ শব্দ। আজ সেই চমৎকার শব্দটা কি জঘন্য ও বিকৃত অর্থই না বহন করছ। ে
আমেরিকা সব কিছু্ই বিরাট । তারা যা কিছু উৎপন্ন করে সেখানেও থাকে তাদের বিরাটত্বের পরিচয়।
তাই দেখা যায়,ধর্ম্ প্রচারের ব্যাপারে তাদের উদ্যেগ আয়োজন যেমন ব্যাপক ও বিশাল , ধর্মহীনতা প্রচারেও তাদের তোড়জোর মোটেও কম নয়। আমেরিকার এককালের খ্যাতিমান টিভি বিশ্লেষক জিমি সোয়াটার্গ তার হোমোসেক্সুয়ালিটি গন্থে আর্তনাদ করে বলেছেন-
"আমেরিকা, বিধাতা অবশ্যই তোমার বিচার করবেন ( অর্থ্যাৎ তোমাকে ধ্বংশ করবেন) আর তিনি যদি না করেন, তাহলে এই সমকামিতার কলুয়তায় অস্বাভাবিকভাবে লালসা চরিতার্থ করার অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে সডোম ও ঘোমরার সমকামী ও কলুষিত জনপদের অধিবাসীদের কন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য স্বয়ং বিধাতাকেই একদিন ক্ষমা চাইতে হবে!'
নিউইয়র্ক হায়রে নিউইয়র্ক
এই নগরীতে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা দশ লাখ বেশি। নিউইয়র্কের সব পুরুষ যদি সাহস সঞ্চয় করে বিয়ে করে ফেলেন, তাহলেও কম্ পক্ষে ১০ লাখ বিবাহযোগ্য মহিলার কোন স্বামী জুটবেনা। এদিকে অবস্থা আরো কিন্ত ভয়াবহ। পরিসংখ্যানে প্রকাশ, এই নগরীর এক তৃতীয়াংশ পুরুষই সমকামী।
হোমো বা সডোমি এই কঠিন সমস্যার মুখে ইহুদিরা-যারা যে কোন বিষয়ে /বিতর্কে সর্বদাই উচ্চকণ্ঠ-তারা আজ ইদুরের মত গর্তে লুকিয়ে রয়েছে। তাদের ভয়,কিছু বললে পরে প্রাচ্যদেশীয়দের মত তারাও যদি সেকেলে বা ব্যাকওয়ার্ড বলে চিহ্নিত হয়ে পড়ে! অন্যদিকে বরন এ্যাগেইন চার্চের সদস্যরাও (যারা নির্বাচনের ভোটার এবং দাবী করে যে ,তাদের চার্চ হচ্ছেহোলি-ঘোস্টের আবাস স্থল)-মুখে কুলুপ এটে বসে রয়েছে।
মরম চার্চের প্রতিষ্ঠাতা হলেন যোশেফ স্মীথ ও ব্র্র্রাইহাম ইয়ং। ১৮৩০ সালের দিকে তারা নতুন "প্রত্যাদেশ" প্রাপ্তির দাবী উত্থাপন করেন এবং এই বাড়তি নারী জনসংখ্যার মারাত্মক সমস্যার সমাধান হিসেবে "বহু-বিবাহ" প্রথার সপক্ষে প্রচারণা শুরু করে দেন। ব্যক্তি জীবনে নিজেরাও বহু বিবাহ রপ্ত করতে থাকেন।
কিন্তু সর্বশেষ পরিস্থিতি এই যে , এই মরমন চার্চের আধুনিক "প্রেরিত পুরুষগণ" (মরমনরা বিশ্বাস করেন , তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে "প্রেরিত পুরুষের" ধারা অব্যহত রয়েছে-অনেক টা আহমদী/কাদীয়ানীদের মতো) শেষ পর্যন্ত মার্কিনীদের সংস্কারের নিকট নতি স্বীকার করে তাদের চার্চ/ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাদের বহুবিবাহ সম্পর্কিত নীতি বাতিল করে দিয়েছেন। এই অবস্থায়, আমেরিকায় ও ইউরোপের তথা গোটা পাশ্চাত্যের বাড়তি মহিলাদের করনীয় কি হতে পারে? "বাধ্য হয়েই তাদের এখন ঘরে ঘরে কুকুর পুষতে হচ্ছে। "(ড: আলফ্রেড কিনসে প্রণীত 'দি লাইফ অব আমেরিকান ফ্রিডম' দ্র:, এ বিষয়ে মাস্টার্স ও জনসনের সর্বশেষ গবেষনাও দেখা যেতে পারে)
একমাত্র সমাধান
এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত ও বিধিসম্মত বহুবিবাহ। সত্যের পয়গম্বর, সত্যের আত্না নামে পরিচিত, আল আমিন হিসাবে খ্যাত মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ নারীদের এই দুর্ভাগ্যজনক দুরবস্থার এই সমাধানই দিয়ে গেছেন। বলা অনাবশ্যক যে, মহানবী স: প্রদত্ত এই সমাধান হচ্ছে আল্লাহর প্রত্যাদেশ ভিত্তিক।
তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত সেই নির্দেশ হচ্ছে:
........" বিবাহ করিবে নারীদের ----- দুই তিন অথবা চার --
যাহাদের ভাল লাগে,
কিন্তু যদি ভয় হয় ইনসাফ করিতে পারিবে না, তাহা হইলে একজনকে"
............. (সুরা নিসা, ৪:৩)
পাশ্চাত্য জগত আজ লাখ রাখ সমকামী পুরুষের প্রতি সহানুভুতিশীল, সহনশীল। এ যেন নিজের মনকেই চোখ ঠারানো। এদিকে মজার ব্যাপার হলো, পাশ্চাত্য পুরুষরা গন্ডায় গন্ডায় রক্ষিতা পোষেন, আর এসব কারনে সেখানে প্রতি বছর জন্ম নেয় ডঝনকে ডজন জারজ সন্তান। ( এই জারজ শব্দটি বাইবেলের তিন জায়গায় উল্লিখিত হয়েছে: পুরাতন নিয়ম,দ্বিতীয় বিবরণ ,২৩:২:সখরিয়,৯:৬: এবং নতুন নিয়ম,ইব্রীয়,১২:৮) এদিকে এই লুচ্চ জাতীয় পরুষরা পাশ্চত্যে পরিচয় পেয়েছে 'স্টুড' নামে- যেন কতই না গর্বের ব্যাপার! (উল্লেখ্য যে , স্টুড শব্দটা গ্রাম্য। গাভী প্রজননের জন্য ব্যবহৃত ষাঁড়কে বলা হয় স্টুড।
আমাদের দেশে ব্যবহৃত 'ষন্ডা' শব্দটি একই অর্থবাচক। পৌরুষসম্পন্ন বহুগামী নির্লজ্জ ব্যক্তিরাই এখন পাশ্চত্যে 'স্টুড' নামে পরিচিত। ) পাশ্চত্যে অবশ্য একটা প্রবচন রয়েছে-যার বাংলায় অনেকটা এরকম,"বাজারে দুধ মিললে গাই পোষার ঝামেলা কেন?"
পক্ষান্তরে ইসলামের বক্তব্য হল, মানুষ যে আনন্দ পেতে চাই, সে আনন্দ পাওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে। এমন পুরুষের অভাব নাই আনন্দ লাভের জন্য যারা বাড়তি দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত। অন্যদিকে এমন মহিলাও রয়েছেন যারা স্বপত্নীদের সাথে স্বামীকে ভাগ করে নিতে গরবাজী নন।
তাদের পথে বাধা সৃষ্টি করা হয় কোন যুক্তিতে ? আজ পাশ্চত্য জগতে বহু বিবাহের ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করা হয়; অথচ আল্লাহর নবীদের অনেকেই বহুবিবাহ করেছিলেন। খোদ বাইবেলেই সে লিপিবদ্ধ রয়েছে। খিষ্ট্রানরা কি করে ভুলে যান বিজ্ঞতার প্রতীক সলোমানের কথা, তাঁর স্ত্রী এবং দাসীদের সংখ্যা ছিল এক সহস্র। দেখুন বাইবেল পুরাতন নিয়ম,১ রাজাবরী,১১:৩) এটাই আধুনককালে উদ্ভূদ বাড়তি নারী সমস্যার বিধিসম্মত সমাধান। এদিকে পাশ্চত্য জগৎ পুরুষ ও নারী সমকামীদের অস্বাভাবিক লালসা-তৃপ্তির বিষয়টাকে দেখেও না দেখার ভান করে চলেছে।
এটা কি চরম বিকৃতি নয়? যীশুর আঃ সময়েও ইহুদী ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বহুবিবাহ প্রচলিত ছিল; অথচ তিনি এর বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেন নাই। এটা অবশ্য তাঁর কোন ত্রুটি নয়। ইহুদীরা তাঁকে এমনভাবে ব্যতিবাস্ত রেখেছিল যে , এদিকটার দিকে দৃষ্টি প্রদানের কোন অবকাশ তিনি পান নাই। বরং স্বাভাবিকভাবেই তিনি সবাইকে তাঁর এই আর্জি জানিয়ে গেছেন যে.
"তিনি সত্যের আত্মা (মহানবী সোঃ)যখন আসিবেন, তখন পথ দেখায়ইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন। যোহন,১৬:১৩"
তথ্যসূত্রঃ দি চয়েজ,আহমদ দিদাত পৃষ্ঠা:১১৬-১২০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।