এক জন পুরুষ যতই সাহসী ও শক্তিশালী হোক না কেন তার জন্য একটি নারীই যথেষ্ট্য।
জার্মানীতে আদালত কক্ষে অন্তসত্ত্বা নারী
জার্মানীতে আদালত কক্ষে অন্তসত্ত্বা নারীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন
১২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার (আরটিএনএন)-- আদালত কক্ষে বিচারকের সামনে এক অন্তসত্ত্বা নারীকে হত্যার দায়ে এক জার্মান নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। আদালত কক্ষে বিচারক, স্বামী ও তিন বছরের ছেলের সামনে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে এক মুসলিম নারীকে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্ত এলেক্স ওইয়েনস।
ওইয়েনস গত ১ জুলাই মাসে হিজাব পরিহিত মারওয়া আল-শেরবিনিকে উপর্যপুরি ১৬ বার ছুরিকাঘাত করে। জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর ড্রেসডেনের আদালত কক্ষে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিচারকের সামনে এমন নৃশংস হত্যার শিকার হন শেরবিনি।
শেরবিনি মিশরীয় বংশদ্ভূত জার্মান মুসলিম নাগরিক।
স্ত্রীকে রক্ষা করতে এসে নিরাপত্তারক্ষাকারীদের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয় শেরবিনির স্বামী ইলভি আলি ওকাজকেও। নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি- ওকাজকেই আক্রমনকারী মনে করেছিল তারা।
চরম মুসলিম বিদ্বেষী ওইয়েনসের এই বর্বরতায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইরান থেকে মিশর পর্যন্ত মুসলিম দেশগুলোতে। জার্মানী ও পশ্চিমা বিশ্বের গণমাধ্যম সুকৌশলে এড়িয়ে যায় বিষয়টি।
মামালার প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, মুসলিম এবং অ-ইউরোপীয় হওয়ার কারণে শেরবিনিকে হত্যা করে ওয়েইনস। এছাড়া নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কারণে এই সময়ের মধ্যে কোন রকম জামিন পাবে না ওইয়েনস।
২০০৮ এর আগস্টে একটি খেলার মাঠে ওইয়েনস সিগারেট খেয়ে অবশিষ্ট অংশ ফেলে রাখলে ছেলে মুস্তাফা ব্যবহার করতে পারে আশঙ্কায় শেরবিনি তাকে তা পরিষ্কার করার পরামর্শ দেয়।
এতে ওয়েইনস ক্ষেপে গিয়ে শেরবিনিকে সন্ত্রাসী ও গালি দেয়। শেরবিনি জবাবে মানহানির মামলা করলে আদালত ওইয়েনসের ১১ শ’ ৭০ ডলার জরিমানা করে।
পরে জুলাই মাসে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ওইয়েনস এবং আদালত কক্ষে শেরবিনিকে ১৮ ইঞ্চি দীর্ঘ একটি ছুরি আঘাতে খুন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।