নিজের কথা প্রকাশে ব্লগের চাইতে ভালো কিছু আর কিইবা হতে পারে।
প্রথম সংবাদটি পড়লাম ১৩ নভেম্বর, প্রথম আলোতে - অটোমেটেডে ক্লিয়ারিং হাউজের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন। সংবাদটি আমার জন্য ছিল অত্যন্ত আগ্রহদ্দীপক। অন্য ব্যাংকের একটা চেকের টাকা জমা হতে লাগে কম করে হলেও তিন দিন যদি সেটা ঢাকার হয়। বাইরের শহরের হলে ৮ থেকে ১০ দিনের বিষয়।
পুরো পদ্ধতিটাই নিড়েট ম্যানুয়াল। নিয়মটা হোল - কেউ যদি আমাকে একটা চেক দেয় আমি তা জমা দেব আমার ব্যাংক এ। আমার ব্যাংক সেদিনের জমা হওয়া সব চেক হাতে করে নিয়ে যাবে কেন্ন্দ্রীয় ব্যাংক এ ও যে ব্যংক এর চেক সেখানে। সেখান থেকে পাশ হয়ে চেক আসবে আবার আমার ব্যাংক এ। মাঝখানে দুটো দিন বাদ দিয়ে যখন আমার একাউন্টে টাকাটা জমা হবে তখন সেটা তৃতীয় দিন।
দুনিয়ায় যেখানে অনেক কিছুই স্বয়ংক্রীয় সেখানে অর্থ লেনদেনের মতন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা এতটা ম্যানুয়াল থাকবে তা মোটেই মানতে পারছিলাম না।
আমি পেশায় ব্যাবসায়ী নই, তবুও ট্রনজেকশানের এই শ্লথতা কি মেনে নেয়া যায়? সবাই জানি টাকার সাথে সবচেয়ে বেশী যার সম্পর্ক সে হোল সময়।
প্রথম আলোর রিপোর্টটা ছিল অত্যন্ত গতানুগতিক। কে উদ্বোধন করলো, কে কে উপস্থিত ছিল, দেশের কি লাভ হবে জাতীয় কিছু ভাসা ভাসা কথা। প্রেস রিলিজ জাতীয় রিপোর্টিং।
ভাবলাম প্রথম আলো যেহেতু পুরাটা সংবাদপত্র না তখন স্পেশালাইজড কোন পত্রিকা দেখি। যেহেতু আমার আগ্রহের সংবাদটা অর্থ কড়ি জাতীয় সেহেতু ফাইনেন্সিয়াল এক্সপ্রেস কিনলাম।
অবাক কান্ড - ফাইনেন্সিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্টটা প্রথম আলোর মতনই, শুধু ইংরেজী অনুবাদ মাত্র। অথচ সংবাদটি তারা ছেপেছে শেষের পাতায় এবং রিপোর্টারের নাম দিয়ে।
পাঠক হিসাবে সংবাদের ক্ষুধা তখন আমার মাঝে প্রকট রূপ ধারন করেছে।
আর এই বিষয়টা নিয়ে আমার মাঝে ততক্ষনে অনেক প্রশ্নও তৈরী হয়ে গেছে।
- নতুন পদ্ধতি সময় কম নিবে ঠিক কিন্তু কত সময় নিবে?
- কম্পিউটারে কাজ হবে বুঝলাম কিন্তু হাতে সাইন করা চেক কম্পিউটার কিভাবে চিনবে?
- পুরো প্রক্রিয়াটা কিভাবে কাজ করবে?
- বর্তমানে কতগুলো চেক ক্লিয়ারিং হাউজে যায়? তার মূল্যমান কত?
- পুরো বাংলাদেশকে এর আওতায় আনতে কত সময় লাগবে?
- এই বিশাল কাজটি করতে কত টাকা খরচ হচ্ছে?
ফাইনেন্সিয়াল এক্সপ্রেসে আমার প্রশ্নের উত্তরের কোন নিশানা না পেয়ে স্টল থেকে ডেইলি স্টার কিনে অনলাম।
তারা খুব স্মার্ট। সব উত্তর লেখা তাদের রিপোর্টে। মনে হোল যেন তারা আমার মাইন্ড রিড করতে পেরেছে।
বুঝলাম ইংরেজী কাগজ হয়েও কেন ডেইলি স্টারের সার্কুলেশান ৪০,০০০ যেখানে ফাইনেন্সিয়াল টাইমসের ১৬,০০০ মাত্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।