এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
দেখতে দেখতে জনপ্রিয় ব্রাউজার ‘ফায়ারফক্স’ ৫ বছর পূর্ণ করল। অন্য কোন ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’কে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে নি।
প্রেক্ষাপট:
ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে হলে প্রয়োজন ব্রাঊজার। অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে প্রায় একচেটিয়া অধিকার কাজে লাগিয়ে মাইক্রোসফট কোম্পানি বহুকাল ব্রাউজারের ক্ষেত্রেও আধিপত্য বজায় রেখেছিল। বিকল্প কিছু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ব্রাউজারের জগতে মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’কে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ জানাবার মত কোন বিকল্প ব্রাউজারের আবির্ভাব ঘটে নি।
কিন্তু প্রায় ৫ বছর আগে সেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বার্লিন প্রাচীরের মত একেবারে পতন না ঘটলেও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার তার একাধিপত্য হারাতে শুরু করে। মজার কথা, দিনটিও ছিল ৯ই নভেম্বর – পালিত হচ্ছিল বার্লিন প্রাচীর পতনের ১৫তম বার্ষিকী। এইদিনই ফায়ারফক্স নামের এক ব্রাউজার উদয় হয়। গত ৫ বছরে গোটা বিশ্বে প্রায় ৩৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০০ কোটিরও বেশী বার ফায়ারফক্স ডাউনলোড করেছে।
শুধু প্রতিযোগিতার স্বার্থে বিকল্প হিসেবে নয়, অনেক বাড়তি গুণাগুণের কারণে ফায়ারফক্স ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ছবিঃ মাত্র ১৯ বছর বয়সে ফায়ারফক্সের জন্মদাতা ব্লেক রস
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’এর সিংহাসন টলিয়ে দিয়েছে যে ফায়ারফক্স, সেই ব্রাউজারের কিন্তু প্রকৃত অর্থে কোন মালিক নেই। কম্পিউটারের জগতের বাণিজ্যিক কাঠামোর পাশাপাশি যে বিকল্প ধারা চলে আসছে, তাকে তথ্য প্রযুক্তির জগতে ‘ওপেন সোর্স’ বলা হয়। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে কারো মাথায় নতুন কোন ভাবনা এলে সে ইচ্ছা করলে তার প্রথম খসড়া তৈরি করে ফেলতে পারে। সেটিকে ঘষে-মেজে আরও উন্নত করে তোলার জন্য যোগ দেয় বাকির।
– অর্থাৎ এমন শখের প্রোগ্রামার বা তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, যাঁরা মুনাফার জন্য কাজ করেন না। সফটওয়্যারের রচয়িতা শুরু থেকেই সব প্রয়োজনীয় তথ্য বাকিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন৷ ফলে বাকিরা সেগুলি ঘেঁটে নতুন ভাবনা প্রয়োগ করে সফটওয়্যারটিকে ব্যবহারের আরও উপযুক্ত করে তুলতে পারেন। এজন্যই এর নাম ‘ওপেন সোর্স’। মোজিলা নামের এক ফাউন্ডেশনও বহুদিন ধরে এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। মাইক্রোসফটকে চ্যালেঞ্জ জানানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল এই ফাউন্ডেশন।
প্রথম দফায় অবশ্য তাদের পরাজয় ঘটে। নেটস্কেপ নামে মোজিলা’র প্রথম ব্রাউজারকে বাজার-ছাড়া করে মাইক্রোসফট৷ কিন্তু সেই নেটস্কেপ’এর ভস্ম থেকেই জন্ম নেয় দুরন্ত আগুনের শিয়াল – ফায়ারফক্স। সেসময়ে বাজারের প্রায় ৯৫ শতাংশ ছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’এর দখলে। মাত্র ৫ বছরের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ বাজার দখল করে ফেলেছে ফায়ারফক্স। তবে ইতিমধ্যে ব্রাউজারের জগতে প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে গেছে।
মোজিলা প্রকল্পে যেসব স্বেচ্ছাসেবী প্রোগ্রামার কাজ করেন, তারা শুধু কাজেই আনন্দ পান। বিশ্বের সব কম্পিউটার কাঠামোয় একটি ব্রাউজারকে যতটা সম্ভব ব্যবহারের যোগ্য করে তুলতে গড়ে উঠেছে স্বেচ্ছাসেবীদের এক বিশাল নেটওয়ার্ক। প্রোগ্রামিং-এর জ্ঞান থাকলে এবং নতুন কোন গুণ যোগ করতে চাইলে যে কেউ যোগ দিতে পারেন এই উদ্যোগে।
দুর্বলতা:
সোমবার ফায়ারফক্স’এর জন্মদিনে অবশ্য একটি রিপোর্ট কিছুটা অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। ইন্টারনেটে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে সব সমস্যা দেখা যায়, তার এটা বড় ধাক্কা সামলাতে হয় ব্রাউজারকে।
ব্রাউজারের ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে কম্পিউটারের উপর নানা রকমের হামলা চালানো বা তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়৷ ফায়ারফক্স ‘ওপেন সোর্স’ হওয়ায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এর বেশ দুর্বলতা রয়েছে। এক মার্কিন সংস্থার সূত্র অনুযায়ী ব্রাউজার’এর যত রকম দুর্বলতা সম্ভব, ফায়ারফক্সের মধ্যে তার ৪৪ শতাংশই খুঁজে পাওয়া গেছে।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।