কম্পিউটার প্রযুক্তির অগ্রগ্রতির সাথে সাথে নতুন নতুন ভাইরাস,স্পাইওয়্যার ও হ্যাকারদের আবির্ভাব ঘটছে। ফলে দিনে দিনে কম্পিউটার ব্যাবহার ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়ছে। একটি অত্যাধুনিক মডেলের কম্পিউটারও মাস যেতে না যেতেই ধীরপতিসম্পন্ন ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সিডি আর ইন্টারনেট এখন সহজলভ্য হওয়ায় এ দু'টো মাধ্যম সূত্রে পিসি আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ। এজন্য আমাদের পিসির মাঝে মাঝে ফাইল হারিয়ে যাওয়া,ডিস্কে জায়গার অভাব,প্রোগ্রাম ক্রাশ করা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে।
এতসব যন্ত্রণা থেকে কীভাবে নিরাপদ থেকে নিশ্চিন্তে থাকা যায়, সে ব্যাপারে যা জানি সেসব শেয়ার করলাম।
১। প্রায় প্রতিমাসেই উইন্ডোজের সব ভার্সনেই কোন না কোন ত্রুটি ধরা পড়ে, এন্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল দু'ঠো থাকার পরও এই ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ম গুলো আপনার পিসির ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এজন্য windowsupdate.microsoft.com সাইটে গিয়ে সবগুলো ক্রিটিক্যাল আপডেট ইন্সটল করে নিন।
২।
আপনি যদি এমএস ওয়ার্ড,এক্সেল,একসিস ব্যাবহার করেন, তবে আপনি আরো বেশী হুমকির মুখোমূখি। কারণ এগুলোতে সবচেয়ে বেশী ত্রুটি ধরা পড়ে, যা আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা ফাইল নস্ট করে দিতে পারে। তাই প্রতিমাসে একবার অন্তত officeupdate.microsoft.com সাইটে গিয়ে সবগুলো ক্রিটিক্যাল আপডেট ইন্সটল করে নিবেন।
৩। ওয়েব সাইট ব্রাউজের সময় উইন্ডোজের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর স্পাইওয়্যার ইন্সটল হয় যা সাইজে মাত্র কয়েক কিলোবাইট।
কখন যে ইন্সটল হবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। এই স্পাইওয়্যার গুলো অদৃশ্য এগুলো কোন ভাইরাস নয় তবে এগুলো পিসিকে ধীরগতি করে দেয়। এটিকে এন্টিভাইরাস ধরতে পারে না। এগুলোর কাজ হলো আপনার মেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড জানা। এটির জন্য ওয়েবরুট এন্টিস্পাইয়ার ব্যবহার করুন এবং জটিল পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন যেমন, apple,appl123,apple121le,ellpa123 এজাতীয় সবই স্পাইডিক ব্যাবহার করে বের করা যায়।
আবার abc123.qwert এ ধরনের পাসওর্য়াড বের করারও প্রোগ্রাম পাওয়া যায়। এজন্য পাসওয়ার্ডে স্মল ও ক্যাপিটেল লেটার এবং $#.! ব্যাবহার করুন তবে \",' এগুলো ব্যবহার করবেন না।
৪। অন্তত মাসে একবার ইন্টারনেট কানেকশনের নিরাপত্তা যাচাই করুন। এজন্য symantec.com security check সাইটে বিনামূল্যে কানেকশনের নিরাপত্তা যাচাই করুন।
৫। আউটলোক এক্সপ্রেস দিয়ে ই-মেইল করা বর্জন করুন। কারণ এটি EFS এনক্রিপ্টেড ফাইল সিস্টেম ব্যাবহার করে যা স্পাইওয়্যার পড়তে পারে।
৬। ব্রাউজার ছাড়া কোথাও ই-মেইল এড্রেস লিখতে হলে এভাবে লিখুন utanboradukh at gmail dot com এ ধরনের এড্রেস মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব কিন্তু কোন প্রোগ্রামের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
কারণ, নেটে ছড়িয়ে আছে লক্ষ লক্ষ ম্পাইডার, যাদের কাজ হচ্ছে ওয়েব পেজ থেকে ই-মেইল এড্রেস খুঁজে বিজ্ঞাপনদাতা ও নাইজেরিয়ানদের কাছে বিক্রি করা।
৭। ই-মেইল কখনোই পাবলিক ডাইরেক্টরিতে প্রকাশ করবেন না।
৮। বেশীরভাগ ভাইরাস,স্পাইওয়ার পিসিতে আসে ব্রাউজারের বাগের কারণে।
তাই মাঝে মধ্যে http://www.pcflank.com bcheck.scanit.be/bcheck সাইটে গিয়ে ব্রাউজারের নিরাপত্তা যাচাই করুন।
৯। ইয়াহু বা জিমেইল বা অন্যকোন মেইল ব্যবহারের সময় বা ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করার সময় এড্রেস বারে খেয়াল করুন http এর বদলে https আছে কিনা। যদি http থাকে তবে "নেটওয়ার্ক ফ্লিফার" দ্বারা চ্যাট,মেইল পড়া/দেখা,পাসওয়ার্ড দেখা সম্ভব।
১০।
এটাচমেন্ট ডাউনলোডের আগে এক্সপ্লোরারের(ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নয়) টুলস মেনুতে গিয়ে অপশন/ভিউতে "hide extensions for known file types " বন্ধ করুন।
১১। ডাউনলোড প্রোগ্রাম ব্যাবহার করবেন না কারণ ফ্লাসগেট ও ডাউনলোড ম্যানেজার এবং এ জাতীয় অন্যান্য গুলো বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য cydoor নামক একটি প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ব্যবসার জন্য। যা আসলে একটি স্পাইওয়্যার।
১২।
সব সময় ফেসবুক ব্যবহারের সময় http://facebook.com প্রথমে আছে কিনা দেখে নিন।
অনেকদিন পর আবার আসা হলো। আজ এতটুকুই। ভাল থাকুন আপনি এবং আপনার পিসি। হ্যাপি ব্লগিং
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।