আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোল-কিপার নম্বার টু

বা

Click This Link উপরে উল্লেখিত পোষ্টের মাধ্যমে প্রথম আমি অটিজম সম্বন্ধে জানতে পারি। আজীবন আমি একজন বন্ধুহীন মানুষ। একেবারে একা। যাদেরকে বন্ধু হিসাবে পেয়েছি সহপাঠি হিসাবে কিংম্বা অন্য কোন মাধ্যমে তারা সকলে আমাকে নিয়ে তামাশা করেছে। তখন বুঝিনি।

কারো কোন প্রতিক্রিয়া হয়ে আমি জীবনে কিছু করিনি। থেকেছি অত্মনিমগ্ন। পিতা-মাতা আমাকে নিয়ে কাটিয়েছেন চিন্তিত সময়। তাদের দেখানো পথে আমাকে তারা কখনো চালাতে পারেননি। কিন্তু অশ্চর্য ব্যাপার এই যে, গনিত বা বিজ্ঞান বিষয়ক যে কোন আর্টিকেল বা পাঠ্য পুস্তকের পড়াশুনাকে আমার কাছে মনে হয়েছে খুব সহজ সরল।

বই এর প্রতি অসম্ভব টান ছিল। এমন কোন বিষয় নেই যাতে আগ্রহী হয়ে উঠিনি। কেবল পড়ে গেছি তবে কবিতার প্রতি অসম্ভব টান অনুভব করি ছোট বেলা থেকে। নিজে লেখা শুরু করি যখন আমি ক্লাস ফোরের ছাত্র। কাউকে কখনো দেখাইনি।

সবার অন্তরালে চালিয়ে গেছি নিজের লেখা। একপর্যায়ে এ সব যখন অন্যের কাছে প্রকাশ করতে গেছি, সকলেই হাসাহাসি করেছে। আমার আত্মনিমগ্ন স্বভাব কিছু মনে করেনি, বলে রাখা ভালো, পরিহাসগুলো আমি বুঝতে পারিনি। তারও পরে যখন দিনে দিনে কেটে গেছে অনেক বেলা- সব গেছে, গেছে সে একরোখা, নিমগ্ন স্বভাব । বাস্তবিক জীবনে পদার্পন করে ব্যার্থ হইনি।

কিন্তু ছাড়েনি বই পড়ার অভ্যাস আর কবিতার প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা। বয়স বেড়ে যাচ্ছে লেখাগুলো প্রকাশ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠি। কিন্তু হাতে গুনা কয়েকটি লেখা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের বেশী সফলতা দেখাতে পারিনি। পেলাম ব্লগের খোঁজ। পেয়ে গেলাম মুক্তির স্বাধ।

যা খুশি প্রকাশ করা যায়। সমানাসামনি কথা না বলেও জানা যায় অন্যের প্রতিক্রিয়া। হঠাৎ নাজমা আপা তাঁর ঈদের উপন্যাসে আহ্বান জানালেন একটি পর্ব লিখতে । বিস্ময়ে হতবাগ হয়েছি। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিতে পারি নি নিজের আত্ম বিশ্বাসের অভাবের কারনে কিন্তু তার পর হতে কেন যেন গদ্য লিখার প্রতি এক অবিরাম টান উপলব্দি করে যাচ্ছি।

নিজের জীবনের যে অবস্থানে আছি পিছনে তাকিয়ে দেখি অজস্র স্মৃতি ডাকছে নিজের দ্বারা চিত্রায়িত ঘটনা। পিছনে তাকিয়ে দেখি ঘটনা গুলো মরে গেছে, ভুত হয়ে গেছে। কিন্তু আমার স্মৃতিতে রয়ে গেছে তাদের অবিরাম পথচলা। সেইসব স্মৃতি থেকে ঘটনা নিয়ে একে একে বুনন করতে ইচ্ছে করছে এক একটি গল্প। তবে তা আত্ম জৈবনিক বর্ননা নয়।

জীবনের ফটোগ্রাফী নয়। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া নানাবিধ ঘটনা নিয়ে কিম্বা নিজ কর্তৃক দেখা পরিপার্শ্বিক ঘটনার নির্যাস নিয়ে গল্প। খন্ডে খন্ডে লিখা। এক একটা পর্যায় আলাদা, পরিপাশ্বিকতা অলাদা কিন্তু একজন অটিজম রোগীর নিজের দেখা জীবনের গল্প। গোল-কিপার নম্বার টু ফকির আবদুল মালেক হেমন্তের বিকাল।

নরম রোদ পৌঢ়া বিধবার হৃদয়ের মত ম্লান। নদীর ওপারে চড়ে কাশফুলের মেলা। সাদা সাদা আরো সাদা। বাতাস বইয়ে নিয়ে আসে কাশফুলের রেণু এই পাড়েও। শহরের ব্যস্ততার মাঝে এইসব ঋতু-জনিত চিহ্নগুলো হারিয়ে যায়।

কেউ তার খুজ রাখে না। তবু প্রকৃতি তার সংকেত পাঠায়। বাতাস তেমনি এক সংকেত নিয়ে আসে শীতের । একটা ঠান্ডার আমেজে দেহে নিয়ে আসে প্রফুল্ল আমোদ। নদীর পাড়ে বেড়াতে আসা মানুষগুলি আনন্দিত হয়, বিনোদিত হয় ।

এরই মাঝে ব্যবসা চলে। কত ধরনের জীবিকা যে মানুষ গ্রহন করে ! ক্যানভাসাররা নানা রকম পণ্যের বিজ্ঞাপন নিয়ে আসে অভিনব পন্থায়। প্রথমে সাপের খেলা। ও বিধির কি....হইল....... । বীণ বাজে........।

তারপর লোক জড়ো হলে তাদের নানা রকম তাবিজ বিক্রির পায়তারা চালায়। এমনি একটা জলটা জমেছে নদীর পার ঘেষা ফাঁকা প্রান্তরে। বড় বড় মানুষের ভিড় ঠেলে সামনের দিকে চলে আসে ১২/১৩ বছরের একজন বালক। তন্ময় হয়ে সাপ খেলা দেখতে থাকে। ছেলেটির নাম শাওন।

স্বাভাবিক আচরন সে করে না। এই বয়সে একজন ছেলে হবে চটপটে, দুরন্ত- সে তা নয়। একজন অটিজম রোগী যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় তার প্রকাশ তার মধ্যে প্রকট। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা অন্যদের মতো শারীরিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও তার কিছু মানসিক জটিলতা দেখা দেয় জন্মের তিন বৎসর পর হতে। এরা অন্যের সাথে মিশতে পারে না।

সামাজিক আচরনগত সমস্যা থেকে যায়। অন্য যতগুলো বালক এই জটলায় দাড়িয়ে আছে তারা খুব মজা পাচ্ছে । শাওনা পাচ্ছে না। একাগ্র চিত্তে সে খেয়াল করছে ক্যানভাসারের বক্তব্য। লোকটি বলে যাচ্ছে তার হাতে যে শিকড় আছে তা এক ধরনের দুর্লভ বনজ গাছের শিকড়।

যে কোন বিষাক্ত সাপের সামনে ধরলেই সে সাপ দৌড়ে পালায়। সাপের সামনে শিকড়টি ধরতেই সাপটি উল্টোদিকে দৌড়ে পালালো। শাওন খুব মনোযোগের সাথে পুরো ব্যাপরটি ল্ক্ষ্য করছিল। বীন বাজাবার সময় সাপ টা যে দিকে বীন যায় সে দিকে নড়ে উঠছে তার সামনের দিকে গেলেই ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ শাওন বলে উঠলো, সাপগুলোর সামনে যে কোন লতা ধরলেই পালাবে।

কোত্থেকে জানল সে? বলতে পারে না। গভীরভাবে সে যখন কোন কিছুর প্রতি মনোযোগ দেয় তখন তার নিকট সব কিছু কেমন যেন পরিস্কার হয়ে উঠে। কোন রহস্যই প্রকৃত ঘটনাকে ঢেকে রাখতে পারে না। সাপুড়ে ক্ষেপে গেল। তাকে আহ্বান জানালো যে কোন লতা নিয়ে সাপের সামনে যেতে।

কোন দিকে খেয়াল করল না শাওন, সে কিছু দেখতেও পারল না তার চারপাশের পরিবেশ। একটা শুকনো লতা নিয়ে সাপের সামনে ধরতেই সাপ পালাল। একটা শোরগোল বেধে গেল। জমজমাট এই লোক সমাগম মুহুর্তে খালি হয়ে গেল। সাপুড়ে স্তম্ভিত হয়ে গেল।

তার চল্লিশ বছরের ব্যবসার জীবনে এধরনের ধাক্কা সে খায় নি কখনো। শাওন তার দিকে তাকিয়ে রইল। হঠাৎ সাপুড়ে গুরু বলে তাকে প্রনাম করতে এলো । বিস্ময়ের ধাক্কাটা সমালাতে পারলো না শাওন। দৌড়ে পালাল।

দে দৌড়... দে দৌড়...। হাপাতে হাপাতে সে খেলার মাঠের দিকে চলে এলো । তার স্কুলের ফুটবল টীম প্রেকটিস করছে। শওকত স্যার তাদের নানা ধরনের কৌশল দেখাচ্ছেন। ফুটবল টুর্ণামেন্ট চলছে।

জমজমাট আয়োজন। কতদিন শাওন মনে মনে ভেবেছে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বল নিয়ে সমস্ত দর্শক হৈ হৈ করে উঠছে। একজন, দুজনকে কাটিয়ে গোলে কিক, চারিদিকে হৈ হৈ আওয়াজ গোল... গো.....ল.........। এমনই ভাবুক হয় সে মাঝে মাঝে। তাদের স্কুলের সেরা স্ট্রাইকার এমিলি তার প্রিয় খেলুয়াড়।

শুধু তার একার নয়, পুরো টুর্নামেন্টেরই সে সেরা খেলুয়াড়। একটার পর একটা গোল করে তাদের স্কুলের সম্মান বাড়িয়ে দিচ্ছে। শাওনকে খুব আদর করে। কে না আছে যে এমিলির একটু ছোয়া পেতে না চায়? অথচ কারো সাথে মিশতে না পারা শাওনকে এমিলি প্রায়ই কাছে ডাকে। আজকেও এমিলিই দেখলো তাকে।

হাতের ইশারায় কাছে ডাকল। স্যারের সাথে কি পরামর্শ করল। স্যার বললেন: খেলবে? কোন কথা বলল না সে মাথা নুইয়ে ইঙ্গিতে বললো- হ্যাঁ। তার কি যে আনন্দ লাগছে তা কাউকে বুঝাতে পারবে না সে। তাকে বলা হলো গোল কিপারে দাড়াতে।

আসলে ব্যাপার হলো তাদের সেরা একাদশে যে গোল-কিপার আছে প্র্যাকটিসের সময় সে তো আছেই কিন্তু দুই নম্বার গোল কিপারের জ্বর । কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না তাই তাকে প্রক্সি দিতে ডাকা হলো। শাওন মহা খুশি । প্র্যাকটিসের সময় দুই দলে ভাগ করে খেলা হয়। এমিলির দলে থাকতে চাইল সে কিন্তু তাকে দেয়া হলো এমিলির বিপরীত দলে।

এবং মজার ব্যাপার এই যে এমিলির কয়েকটি কড়া শট ফিরিয়ে দিয়ে স্যারের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে ফেললো। প্রতিদিন প্র্যাকটিসে যায় শাওন। টুর্ণামেন্টের কোন খেলায়ই চান্স পায় না। তাদের স্কুল দুর্দান্ত সফলাতা পেয়ে ফাইনালে উঠে গেল। এমিলি একক ভাবে ১২ টি গোল করে বিশাল স্টার হয়ে উঠেছে।

শাওন মনের ভাবাকে কখনও কাউকে বলতে পারেনি। তবু একদিন বলল-এমিলি ভাই আমাকে একদিনও চান্স দিলেন ন। এমিলি বলল- প্রতিদিন প্র্যাকটিশ কর- সুযোগ এলেই দলে নিব। তারপর একদিন সুযোগ এলো, সে আবার ফাইনালের দিন। সেমি-ফাইনালের দিন প্রথম গোল-কিপার জাম্প করতে গিয়ে হাতে ব্যাথা পেয়েও খেলা শেষ করেছে বটে কিন্তু আজ ফাইনালের দিন কিছুতেই হাত নাড়তে পারছে না।

ডাক পড়ল শাওনের। কি যে উত্তেজনা তার হৃদয়ে বইয়ে যাচ্ছে কাউকে বুঝাতে পারবে না সে। কিন্তু স্কুলের সব কর্মকর্তা বিশেষ করে শওকত স্যারের মনটা ভীষন খারাপ। পুরো টুর্ণামেন্ট অসম্ভব ভালো খেয়ে যে গোল-কিপার সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য এমিলির সাথে প্রতিযোগীতা করছে সে-ই গোল-কিপার ছাড়া কিভাবে সম্ভব? শুধু একজন। সে এমিলি।

সাহস জোগিয়ে যাচ্ছে। কাদে হাত রেখে শুধু বলল- শাওন এই খেলাটা শুধু খেলা নয়। এটা আমাদের স্কুলের সম্মান। শাওন একফোটা চিন্তিত হলো না। দাড়িয়ে গেল।

যে ভাবেই হোক স্কুলের সম্মান তাকে রাখতেই হবে। যে ভাবেই হোক এমিলি ভাইকে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পুরস্কারটা এনে দিতেই হবে। খেলা শুরু হলো। দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে খেলা। এমিলি, কাজল, স্বপন তিনজন ফরোয়ার্ড।

ছোট ছোট পাসে খেলা শুরু করল। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই এমিলির দেয়া গোলে এগিয়ে গেল শাওনের স্কুল। চারিদিকে হৈ হৈ , চিৎকার চেচামেচি। কিন্তু এরপর প্রতিপক্ষ নিয়েছে এক কৌশল যখনই এমিলি বল ধরতে গেছে পেছন থেকে কিম্বা সামনে থেকে ফাউল করে ফেলে দিচ্ছে। কাজল মাঝে মাঝে টান দিয়ে নিয়ে গেছে বটে কিন্তু কিছুতেই আর গোলের দেখা পাচ্ছে না।

হঠাৎ প্রতিপক্ষ দু চারটা শট নিয়েছে বটে বেশীর ভাগ বারের উপর দিয়ে গেলেও শাওন রক্ষা করেছে কমপক্ষে একটি নিশ্চিত গোল। দর্শকের এদিকে খেয়াল থাকার কথা নয়। তারা গোল চায়। এমিলি বল পায়ে পেলেই চিৎকার করে উঠে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।

বিরতির পর খেলা যেন পাল্টে গেল। এমিলি আর দাড়াতেই পারছে না। বল কেবল মাঠের এই দিকেই ঘুরাঘুরি করতে থাকে। হঠাৎ প্রতিক্ষের দুর্দান্ত আক্রমনে গোল খেয়ে ফেলে শাওন। পিছন থেকে সকলে হতাশ।

কে একজন এসে শাওনকে একটা টাউল্লা দিয়ে যায়। ব্যাথায় টনটন করতে থাকে মাথা। ১-১গোলে খেলা শেষ। আতিরিক্ত সময়ে আর কেউ গোল করতে পারেনি। খেলা চলে গেল টাইব্রেকারে।

শাওনের দল প্রথমে শট নিলো। গোল । ১-০ গোলে এগিয়ে গেল তারা। এবার শাওনের পালা। শাওন দাড়িয়ে আছে বারে।

। গোল। ১-১ এ সমতা। এবার এমিলি শট নিতে যাবে। সকলে প্রস্তুত ।

বারের উপর দিয়ে চলে গেল। ১-১ । মাঠে পিন পতন নিস্তব্ধতা। এবার শাওন দাড়িয়ে আছে বারে। বল চলে গেল বারের উপর দিয়ে।

১-১। এভাবে চলতে চলতে খেলা চলে এলো এক চরম উত্তেজনা কর পরিস্থিতিতে। শাওনের দল ৩-২ গোলে এগিয়ে । প্রতিপক্ষের সর্বশেষ শট নিতে প্রস্তুত । মাত্র একটি শট ফিরিয়ে দিতে পারলেই জয় পাবে তারা।

দাড়িয়ে আছে শাওন। পৃথিবীর কোন দিকে তার কোন খেয়াল নেই। সমস্ত দৃষ্টি বলের দিকে। এমিলি এসে বলল তোমার উপর সব নির্ভর করছে জয়-পরাজয়। বারবার শওনের মনে হতে লাগল এমিলির ভালোবাসার কথা আর স্কুলের সম্মান এখন তার হাতে।

ছুটে আসছে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কৌশলী খেলোয়াড়। ডস দিতে তার জুড়ি নেই। মনে হচ্ছে ডানদিকে সট নিবে, কিন্তু নিলো ঠিক বাম দিকে ক্রশবারের বরাবর। শাওন খোলোড়ারের কৌশলে বিভ্রান্ত হলো না, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল বলের দিকে। এমিলির প্রতি ভালবাসার মুল্য দিতে আর স্কুলের সম্মান বাচাতে সে জানবাজি রেখে জাম্প করল।

বল হাওয়ায় উড়ছে, শাওন উড়ছে। হঠাৎ থমকে গেল বলের গতি, জমে গেল শাওনের হাতে। হৈ হৈ চিৎকারে মাঠ কেপে উঠলো। শওকত স্যার দৌড়ে এলো শাওনের দিকে, কাঁদে তুলে নিলেন। কাঁদে চড়ে শাওন খেয়াল করল, এমিলির চোখ চকচক করছে বিজয়ের আনন্দে।

ভালোবাসর কাছে হেরে গেল প্রতিপক্ষের সমস্ত কৌশল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।