জিহ্বা দিয়ে দেখা!হ্যাঁ,আষাঢে গল্পের মতো শোনালেও এটা সত্যি। বিজ্ঞানের কল্যাণে অন্ধ মানুষ এখোন জিহ্বা দিয়ে দেখতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের Wicab কোম্পানির স্নায়ূ বিজ্ঞানীরা Brain Port নামে একটি যন্ত্র তৈরি করে এ অসাধ্য সাধন করেছেন।
এ যন্ত্রটির তিনটি অংশ রয়েছে, একটি সানগ্লাস যার মধ্যখানে বসানো আছে একটি ক্ষুদে ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা,আছে মোবাইল ফোনের মতো একটি Base Unit যা আসলে একটি কম্পিউটার এবং ললি পপের মতো মুখে পুরে রাখার জন্য একটি সেন্সর(sensor)।
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/HealthVision007_1256904269_3-device-lets-blind-see-with-tongues_1.jpg।
সানগ্লাসে বসানো ভিডিও ক্যামেরাটি ছবি তুলে তা Base Unit-এ পাঠিয়ে দেয় যা ডিজিটাল সিগন্যালগুলোকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে(Electric Pulse) রূপান্তরিত করে। ক্যামেরার ফটোগ্রাফিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেইজ ইউনিট-এ Zoom control এবং লাইট সেটিং এর ব্যবস্থাও রয়েছে। বেইজ ইউনিট-এর কম্পিউটার রূপান্তরিত বৈদ্যুতিক সঙ্কেতকে জিহ্বার উপরে রাখা ললিপপে পাঠিয়ে দেয়। ললিপপটি আসলে নয় বর্গ সেন্টিমিটার আয়তন বিশিষ্ট একটি সেন্সর বিন্যাস যা ক্যামেরায় গৃহীত আলোক তরঙ্গের তীব্রতা অনুসারে জিহ্বার Receptor এ বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠায়। খাবারের স্বাদ গ্রহণের জন্য এবং অন্যান্য স্বাভাবিক অনুভূতি(যেমন,স্পর্শ,চাপ,তাপ ইত্যাদি) বোঝার জন্য মানুষের জিহ্বাতে প্রাকৃতিক ভাবেই বসানো রয়েছে হাজার হাজার রিসেপটর যা আবার প্রচুর বৈদ্যুতিক তারের মতো-ই অনেক স্নায়ুতন্তুর(Nerve fiber) মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংকেত প্রেরণ করে।
ললিপপের ইলেকট্রোডগুলো(Electrode) পিক্সেল(pixel) এর ধরণ অনুযায়ী বৈদ্যুতিক তরংগ পাঠায়-সাদা পিক্সেলের জন্য শক্তিশালী তরংগ এবং কালো পিক্সেলের জন্য কিছুই পাঠায় না। দেখা গেছে এ যন্ত্র ব্যবহারের ১৫ মিনিটের মধ্যেই অন্ধ মানুষেরা স্থান সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে এবং কিছুদিন ব্যবহারের পরে তারা দরজা এবং লিফটের বাটন খুঁজে বের করা,অক্ষর ও সংখ্যা চিনতে পারা, চা কফির কাপ ধরা এবং খাবার টেবিলে বসে কাঁটা চামচ ব্যবহার করা ইত্যাদি কাজ কারো সাহায্য ছাড়াই করতে পারছে। যাদুকরী এ যন্ত্রটি এ বছরের শেষ দিকে-ই বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। তবে শুরুতে এই ব্রেইন পোর্ট নামের যন্ত্রটির দাম পড়বে মাত্র ১০,০০০ মার্কিন ডলার। (তথ্য সূত্র এবং ছবি;Scientific American)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।