কাহিনী শোন,
মন দিয়ে শোন,
বাবু যাচ্ছেন হাটে।
কোট-প্যাণ্ট পরে
গাড়িঘোড়া ‘পরে,
বেশ চলেছেন ডাঁটে।
আসলেন বাবু,
ফেললেন তাঁবু,
হাটের মাঝে যে তিনি,
পিঁপড়ের কবলে
লবণের বদলে
ছড়ালেন তিনি চিনি।
পিঁপড়ার দল
করে কোলাহল,
আসলো তাহার ঘরে।
বাবুর সেপাই
মদ্যের পায়ী
“ওরে বাবা” করে মরে।
বাবু দেখলেন
পিঁপড়ের ট্রেন,
“একিরে আপদ, ওরে!
আয় তোরা আয়,
পিঁপড়ার পা’য়
লাগা বেড়ী-দড়ি-ডোরে”।
আসলো না কেউ
বাবুর ডাকেও,
সবাই যে ভয়ে মরে।
বাবুর গলাটা,
হুঁকোর নলাটা
শুধু হা-পিত্যেশ করে।
পিঁপড়াগুলো
বড় সাদা-চুলো
বাবুরে করে যে ধাওয়া।
বাবু দেখলেন,
শ্বাস ফেললেন-
লোকগুলো সব হাওয়া।
দরোজা বন্ধ,
বাবুও অন্ধ,
দেখেননা চশমা ছাড়া।
চিৎকারে তিনি
গিললেন গিনি,
“ওরে পিঁপড়েরা দাঁড়া”।
পিঁপড়েরা হায়
চিনিগুলো খায়,
শেষে ওঠে বাবু-পায়ে,
বাবুজি কাঁদেন,
উহঃ আহঃ করেন,
স্মরলেন বাপে-মায়ে।
কামড় খেয়ে,
চিমটি খেয়ে,
বাবু ফেললেন কেঁদে।
পিঁপড়েরা জানে,
বাবু শয়তানে,
কামড়ায় আরো জেদে।
শেষে বাবু হায়,
মরলেন তা’য়,
পিঁপড়ের সাথে হেরে।
পাপী ও মন,
মানুষের ধন
বাবু খেয়েছেন কেড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।