আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগল ও মানষিক রোগী

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।

ছাগল। গৃহপালিত প্রাণী। অনেকে পশুও বলে থাকেন। তবে এই প্রাণীটিকে সকলে পছন্দ করে না।

তাতে অবশ্য ছাললের কিছু যায় আসে না। ছাগল তার স্বকীয় কাজে ব্যস্ত থাকে। সমাজ মানুষ আর সভ্যতা নিয়ে ভাবার তার সময় নেই। চেতনাও নেই। ছাগলের কাছ থেকে অন্যান্য প্রাণী একটু দূরে থাকে।

এর মূল কারণ_খুব সম্ভবত তার গায়ের বিশ্রী গন্ধ। ছাগলের প্রসবের গন্ধও মারাত্মক। ছাগল কোনো গাছের পাতা বা গাছের মাথার অংশ খেলে সেই গাছ আর হয় না। এ ক্ষেত্রে গরু ব্যাতিক্রম। এই ছাগলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এদের আগে উৎপাত কম ছিলো। কালো ছাগলের পরিবর্তে সাদা ছাগলের সংখ্যা অসংখ্যভাবে বেড়েই চলেছে। এদের যন্ত্রণায় মানুষ অস্থির। মানুষের জন্য, সমাজের জন্য ও দেশের জন্য এই ছাগলগুলোকে আসুন জঙ্গলে পাঠাই। ছাগল আর মানুষ পাশাপাশি বসবাস করা সম্ভব নয়।

তাই এদেরকে অবশ্যই মানুষের বসবাসের আশ-পাশ থেকে দূরে পাঠাতে হবে। তাদের জন্য জঙ্গলই উত্তম জায়গা। কারণ তারা মানুষের মানবিক জীবন, বিজ্ঞানসম্মত জীবন ও যুক্তি নির্ভর জীবন বুঝে না। বুঝে শুধু ছাগলামী আর বুনো জীবন। এজন্য ওরা মানুষকে প্রগতিশীল, নাস্তিক বলে গালি দেয়।

আর বলে তোমরা আমাদের মত ঘাস খাও। অপরিস্কার-অপরিছন্ন থাক। এটা ধর্মের জীবন। ছাগল সব সময়ই ছাগল। আপনার আমার সামনে দুটি পথই খোলা রয়েছে।

মানুষকে, সমাজকে ও পৃথিবীকে বাঁচাতে এই দুর্গন্ধ ধ্বংস করতেই হবে। দুর্গন্ধময় জাগয়া থেকে নাক চেপে হেটে গেলেও ওই দুর্গন্ধ আপনাকে ছাড়বেনা। ও বাতাসে মিশে গিয়ে আপনার সন্তানকেও রোগাক্রান্ত করবে। এভাবে প্রায় গোটা সমাজটাকে ওরা দুষিত করে ফেলেছে। এখনই প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার শেষ সময়।

পূর্বেই বলেছিলাম, ছাগল_ছাগলই। সে ভাল মন্দ বুঝতে চায় না। ব্যা-ব্যা-ব্যা এর বাইরে তার কোনো ভাষা জ্ঞান নেই। তারপরও সমাজের, রাষ্ট্রের সর্বত্র ছাগলের সংখ্যা বেশী। লেখালেখি জগতে এদের আধিক্য।

প্রতিদিন টনকে টন আবর্জনা ঊৎপাদন করে চলছে। যার কারণে ঢাকা শহরের নর্দমা থেকে বৃষ্টির দিনে পানি সরতে পারে না। শব্দ দূষণের কথা না হয় বাদ দিলাম, কিন্ত মানুষের চেতনাকে সেই জন্মের পর থেকে ধ্বংস করে দিয়ে এক ধরণের মানষিক রোগী বানাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদের হাত থেকে শিশুদের না রক্ষা করতে পারলে, দেশে জঙ্গীবাদ-বোমাবাজ-ফতোয়াবাজ দিন দিন বেড়েই চলবে। আসুন সবাই মিলে এই ছাগলদের প্রতিহত করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.