আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগল



মানস চৌধুরী......জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। ওনার অবশ্য আরো একটি পরিচয় আছে....উনি টি.ভি. অভিনেএী বন্যা মির্জার অর্ধাঙ্গ। ওনাকে নিয়ে বেশ মজার একটি গল্প প্রচলিত আছ। তবে তার আগে ওনার বেশ ভূষার পরিচয় প্রদান আবশ্যক। ওনার চুলের স্টাইলের সাথে রবীবাবুর চুলের স্টাইলের একটা মিল পেয়ে যাবেন আপনি।

মুখটাও ঠিক ততটাই লম্বাটে যতটা রবীবাবু ধারন করতেন। ঠোঁটের উপরিভাগে পুরু গোঁফ। শুধু ওনার দাঁড়িটা না থাকায় আপনি অস্বস্তির হাত হতে বেচেঁ যাবেন। ওনার হাতের দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেবার চেষ্টা করলে ভুল করবেন। অসংখ্য রং বেরং এর রিস্টলেট আটনাকে এট্রাক্ট করবে।

একটু মনোযোগ দিলে কানে দুলও দেখতে পাবেন। গলায় যে কিছু খুঁজে পাবেন না এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই । তো এই অদ্ভুত দর্শন শিক্ষক একদিন বসে ছিলেন ..জাহাঙ্গীনগরস্থ শহীদ মিনারের পাদদেশে। ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য এক ছাএ নৃতত্ত্ব বিভাগের ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নিতে তার বাবার সাথে যাচ্ছিলেন সেই রাস্তা ধরেই। কিন্ত নৃতত্ত্ব বিভাগটি ঠিক কোথায় জানা নেই তার।

তাই অদ্ভুত দর্শন তার শিক্ষককেই ক্যাম্পাসের বড় ভাই ভেবে ভুল করল পিতা এবং পুএ। ছাএঃ বাবা ভাইয়াকে জিগ্গেশ করে দেখি? বাবাঃ একে কি জিগ্গেশ করবি? এতো একটা ছাগল। ছাএঃ বাবা তবুও.........এই যে ভাইয়া নৃতত্ত্ব বিভাগটি কোন দিকে? শিক্ষকঃ জাহাঙ্গীনগর যখন চলে আসছেন তখন নৃতত্ত্ব বিভাগটিও পেয়ে যাবেন। বাবাঃ বলছিলামনা এই বেটা একটা ছাগল!! তো ভাইবা বোর্ডে যেয়ে ছাএটিতো হতবাক। সেই অদ্ভুত দর্শন ভাইয়াটিই তার শিক্ষক।

তা সেই শিক্ষকটি বাইরে আসার পর বাবারও চোখ কপালে। হতভম্ব হয়ে বললেনঃ আপনি!আপনি কে? অদ্ভুত দর্শন শিক্ষকটি তখন বললেনঃ আমি ছাগল......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.