আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিশোরগঞ্জে স্যানিটেশন কার্যক্রমের হতাশ চিত্র বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেকই খরচকর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা অর্জনে!

আমি সবার সাথে আছি .............

কিশোরগঞ্জে স্যানিটেশন কার্যক্রমের হতাশ চিত্রবরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেকই খরচকর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা অর্জনে!জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জানেননা সবার জন্য স্যানিটেশন কোন সালে শেষ হবে?স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আনতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু স্যানিটেশন কার্যক্রম পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতেই ব্যয় করা হয়েছে ৯ লাখ টাকা। তবে এখনও ওই উপজেলাকে শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এ কার্যক্রম বাসৱবায়নে কাগজেপত্রে পরিসংখ্যানের সাথে বাসৱব অবস্থার কোন মিল নেই। বিভিন্ন উপজেলায় স্যানিটেশন কার্যক্রমের এ বেহাল অবস্থা জেনে ৰুব্ধ হন জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার জাতীয় স্যানিটেশন প্রচারাভিযান মাস উপলৰে জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল আয়োজিত আলোচনা সভায় কিশোরগঞ্জে স্যানিটেশন কার্যক্রমের এমনই হতাশাজনক চিত্র উঠে আসে। কালেক্টরেটের সম্মেলন কৰে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহ কামাল। জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে সরকারী কর্মকর্তা,নির্বাচিত প্রতিনিধি ,এনজিও কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। ২০১৩ সালে সবার জন্য শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারী-বেসরকারীভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বাসৱবায়ন করা হচ্ছে।

জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হাওর বেষ্টিদ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলায় ৪লাখ ১৫ হাজার ১‘শ ১৭ টি পরিবার রয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা আছে প্রায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার। সরকারী হিসাবে এখনও ২০ ভাগ পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করেনা। এ পরিসংখ্যানও ২০০৩ সালের বেইজ লাইন সার্ভে অনুযায়ি। প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা অনেক কম।

স্যানিটেশন কর্মসূচির বরাদ্দকৃত মোটা অংকের টাকা লুটপাট করছে সরকারী কর্মকর্তা ও এনজিও কর্মকর্তারা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কয়েকটি এনজিও সরকারের সাথে এ কর্মসূচি বাসৱবায়ন করছে। স্যানিটেশন সভায় জেলা প্রশাসক করিমগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চান, ওই উপজেলাকে শতভাগ স্যানিটেশন মুক্ত করতে সরকারী ও এনজিওর বরাদ্দকৃত ১৮ লাখ টাকা কিভাবে খরচ করা হয়েছে। জবাবে তিনি জানান, বেসরকারী সংস্থা পস্ন্যান বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলাকে স্যানিটেশনের আওতায় আনতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন,ট্রেনিং ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে ৯ লাখ টাকা খরচ করেছে। এ সময় জেলা প্রশাসক বিষ্মিত হন।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্যানিটেশন কর্মসূচি নিয়ে তিনি তীব্র ৰোভ প্রকাশ করেন। ......................... http://www.narsunda.co.cc/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.