সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের যুদ্ধ
নাঠকের স্ক্রীপ্ট ও অভিনেতা সব আগেই তৈরী থাকে
(এই লেখাটির একটি অংশ ‘সাপ্তাহিক’ এ প্রকাশিত হয়েছিলো। তবে বুর্জোয়া পত্রিকার সীমাবদ্ধতার জায়গা থেকে ‘সাপ্তাহিকে’ অনেক কথাই বরা যায়নি। এই লেখাটি বাংলাদেশ চাত্র ইউনিয়নের পত্রিকা ‘প্রমিথিউসে’ ও ছাপা হয়েছে। ফলে ব্লগের অনেকেই হয়তো লেখাটি পড়ে থাকবেন। তবে যারা পড়েননি, তাদের জন্য লেখাটি পোস্ট করলাম।
তাই অনেকের কাছে রিপিটেশন মনে হতে পারে। এই লেখার আরেকটি অংশ আছে যা বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীর পার্ট। বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীর পার্টটি নতুন তথ্য নিয়ে করা। কেউ দেখতে চাইলে ক্লিক করতে পারে এই সাইটে Click This Link)
বাংলাদেশের ইসলামী দল ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো জঙ্গিবাদ তৈরী করছে, এরকম অভিযোগ থাকলেও কিছু সংগঠনের সাথে আল কায়েদার মত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি সংগঠনের সাথে সম্পর্ক রয়েছে অনুসদ্ধানে এরকম তথ্য প্রমান বেরিয়ে এসেছে। হিজবুত তাহরির সাথে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি সংগঠন আল কায়েদার ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে।
সাবেক কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপি ইসলামি মৌলবাদী সংঘঠনগুলোকে অস্ত্র-অর্থ জোগান দিয়ে এসেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের প্রতাক্ষ্য তত্বাবধানে বিশ্বব্যাপী ইসলামী জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছে। এসব তথ্য এখন সিআইয়ের বিভিন্ন গোপন দলিলে সিইআইয়ে নিজেই প্রকাশ করছে। বিশ্বব্যাপি হিজবুত তাহরির একটি সন্ত্রাসের মদদ দাতা সংগঠন হিসাবেই অধিক পরিচিত। আর এ কর্মকান্ডের জন্য এ সংগঠনটি অনেক দেশেই নিষিদ্ধ।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ হলো হিযবুত তাহ্রীর। আমি নিচে যে আলোচনা করেছি তা হয়তো ইতোমধ্যে অনেকে জেনে গেছেন প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে। তবে কিছু বিষয় আছে যেমন হিযবুত তাহরীর অর্থের বিষয়টি যা মনে হয় বিশেষভাবে আলোচনার দাবী রাখে।
একথা জোরে সোরে বলা দরকার যে, হিযবুত তাহ্রীরকে সুনির্ধিষ্ট কোন অভিযোগের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা জনগণের কাছে খোলসা করে বলতে হবে সরকারকে। শুধুমাত্র যদি রাজনৈতিক আক্রশো থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তবে তা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রেরই বহিপ্রকাশ বটে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হিযবুত তাহরীর কর্মকাণ্ড দেশ বিরোধী। এখন সরকারকে আরও বলতে হবে, সেই দেশ বিরোদী কর্মকাণ্ড বাস্তবেই কি কি।
হিযবুত তাহ্রীর ইতিহাস
জেরুজালেমের বিচারক তাকিউদ্দীন আল-নাবানী ১৯৫৩ সালে হিজবুত তাহারীর গড়ে তোলেন। হিজবুত তাহারির আরবি শব্দ যার অর্থ মুক্তির দল (ঢ়ধৎঃু ড়ভ ষরনবৎধঃরড়হ)। বর্তমানে ৪০টি দেশে এই সংগঠনের কাজ রয়েছে।
যদিও অনেক আরব দেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ। গোড়া সুন্নি মতাবলম্বি হিজবুত তাহারির প্যান ইসলামিক চিন্তা ধারার সংগঠন যারা খিলাফত প্রতিষ্টার মাধ্যমে ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম করতে চায়। আফগানস্থানের তালেবান শাসনের মতো হিজবুত তাহরির একটি গোড়া মৌলবাদী সমাজ গড়তে চায়। হিজবুত তাহরির সমাজ ব্যবস্থা শরীয়া আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে মধ্যযুগিয় তালেবান শাসন আর নারীকে সমস্ত ধরণের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রাখার মধ্যযুগিয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমর জন্য ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে হিজবুত তাহরির কাজ করে যাচ্ছে।
হিজবুত তাহারির একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি জঙ্গি সংগঠন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি সংগঠন আল কায়েদার সাথে হিজবুত তাহারির ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। হিজবুত তাহারির বাংলাদেশের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিয়ের সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহম্মেদ জঙ্গিবাদের সাথে হিজবুত তাহারির কোনরূপ সম্পর্কের কথা অস্বিকার করে আসছে। তবে বিশ্বব্যাপি জঙ্গিবাদের সাথে হিজবুত তাহারির রয়েছে নিবিড় সম্পক।
আল কায়েদা- আল মুজাহিরুনের ওপেন ফ্রন্ট হিজবুত তাহিরর
বহুল আলোচিত ২০০১ সালের ৯/১১ এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আল কায়েদা যে আক্রমন চালিয়েছিলো তার মধ্যে হিজবুত তাহারির সদস্য ছিলো তিনজন।
এদের মধ্যে জায়াদ জারাহ, মারোয়ান আল শেহি ও মোহাম্মদ আতা জামার্নিতে হিজবুত তাহরির সাথে যুক্ত ছিলেন। ২৬ বছর বয়সি জারাহ জার্মানির হামবুর্গের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপলাইড সায়েন্সে বিমান প্রকৌশল বিষয় পড়াশোনা করতেন। আতা (৩৩) হামবুর্গের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন এবং আল শেহি পড়তেন বন বিশ্ববিদ্যালয়। ১১ সেপ্টেম্বর আতার হাইজাক করা বিমানটিই টুইন টাওয়ারে সর্বপ্রথম আঘাত হানে। জারাহর হাইজাক করা বিমানটি পেনসিলভানিয়ায় আর আল শেহিরটি আঘাত হানে টুইন টাওয়ারের দক্ষিণের ভবনটিতে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসন বা এফবিআইয়ের তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বৃটেনের গার্ডিয়ান প্রত্রিকা এসব তথ্য প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন তাত্বিক শিভ মালিক বলছেন -আল কায়েদার ইরাকের আবু আল- জারকয়ি এবং আল কায়েদার কমান্ডার খালিদ শেখ মোহাম্মদ দু’জনেই জর্ডানের হিজবুত তাহারির সদস্য ছিলেন। ” তবে শিভ মালিকের মতে -হিজবুত তাহারির প্রতাক্ষ্যভাবে জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত থাকেনা, বরঞ্চ জঙ্গিবাদের ভিত্তিটা তৈরী করে দেয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক মার্কিন সংস্থা নিক্সন সেন্টারের পরিচালক জিনো বারোন এর মতে, হিজবুত তাহরির মানুষকে নিজের জন্য সুবিধাজনক শিক্ষায় শিক্ষিত করছে।
পরে তারা আল কায়েদার মতো দলের সদস্য হচ্ছে এমনকি তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসি সংগঠনে জঙ্গি সাপ্লাইয়ের কাজ করছে। ২০০৫ সালের ৭ আগষ্ট দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট প্রত্রিকায় তার এ বক্ত্যব প্রকাশিত হয়।
বিশ্বব্যাপি আল মুজাহিরুনকে আল কায়েদার আরেকটি সামরিক সংগঠন হিসাবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও গোয়েন্দা সংস্থারা চিহ্নিত করেছে। আল মুজাহিরুনের প্রধান ওমর বকরি মোহাম্মদ হিজবুত তাহরিরের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। আল মুজাহিরুনের অপর শীর্ষ নেতা আবু হামজা যিনি ৯/১১ টুইন টাওয়ারে হামলার সময় আত্মঘাতি হামলাকারী সংগ্রহের কাজ করেছিলেন।
বৃটিশ গোয়েন্দাদের মতে ওমর বকরি মোহাম্মদের ঘনিষ্ট এই সহযোগী শুধু মাত্র বৃটেন থেকে আফগান যুদ্ধে এপযর্ন্ত ৪০০০ এর অধিক যুবককে যুদ্ধে পাঠিয়েছে। আল কায়েদার সাথে ঘনিষ্ট আবু হামজা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পানির মধ্যে জিবানু ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। অবশেষে ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবু হামজাকে গ্রেফতার করে।
গত বছর বৃটেনের গ্লাসগো বিমান বন্দরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে কয়েকজন ছিলো হিজবুত তাহারির সদস্য।
তাদের একজন সিরাজ মেহের গত বছরের ১০ অক্টোবর বিবিসি ও সিবিসিতে রেডিওতে সাক্ষাতকার দেন। সিবিসির কারেন্ট নামের ঐ রেডিও অনুষ্টানে মেহের হিজবুত তাহারির জঙ্গি কার্যক্রমের ফিরিস্তি দেন। ইডি হোসেন নামে আর একজন হিজবুত তাহারির সদস্যও মেহেরে সাথে যোগ দেয় উক্ত অনুষ্টানে। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে আল কায়েদার সাথে হিজবুত তাহারির সম্পর্ক কত নিবিড় ; বলা যেতে পারে একই মুদার এপিট ওপিট।
সিরাজ মেহের বলেন, হিজবুত তাহরির গতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে খিলাফত প্রতিষ্টা করতে চায়, সারাবিশ্বে শরিয়া আইন কায়েম করতে চায়।
এজন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেতেও তারা প্রস্তুত। তিনি বলেন, হিজবুত তাহরির প্রত্যেকটি দেশে কাজ করে সে দেশের স্থানীয় রুপ ধরে। গত গ্রীস্মে ইন্দোনেশিয়ায় সংগঠনটির সবচেয়ে বড় সম্মেলন অনুষ্টিত হয়, যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পার্টি ডেলিগেটস আসে।
সিরাজ বলেন উক্ত সম্মেলনে নেতারা বক্তব্য দেন গণতন্ত্রের বিরূদ্ধে এবং গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার উচ্ছেদের কথা বলে তারা। সিরাজ মেহের আরো বলেন, আল কোরআন থেকে হিজবুত তাহরির নেতারা সুবিধামত আয়াত পড়ে শোনায় এবং নিজেদের খেয়াল খুশিমত ব্যাখ্যা করে যুবকদের দলে ভেড়ায়।
তিনি আরো বলেন, হিজবুত তাহরির মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়। হিজবুত তাহরির নিজেদের অহিংস বললেও ২০০৩ আমি নিজে যে লিফলেট বিলি করেছি তা সহিংসতার ও এক ধাপ উপরে। প্রচার পত্রে বলা হয়েছিলো : তোমাদের পূর্বপুরুষরা প্রথম ধর্ম যোদ্ধাদের ধ্বংস করেছিলো। তোমরা কি তাদের পথ অনুসরণ করবেনা? নতুন ধর্মযোদ্ধাদের ধ্বংস কর। আমাদের সেনারা ইরাকের মুসলমানদের সাহায্য করতে এগিয়ে যাক।
তারা তোমাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছে।
সিরাজ মেহের সাক্ষাতকারে তিনি বলেন,“ ২০০৩ সালের এপ্রিলে তেলআবিবের এক মদের দোকানে আত্মঘাতি হামলায় তিনজন নিহত হয়। হামলাটি চালায় ওমর শরিফ। চরমপন্থার দিকে ওমরের যাত্রা শুরু হয়েছিলো আমার মতো করেই বিশ্ববিদ্যলায় থেকে। সে পড়তো কিংস বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরো জানান, বৃটেনের বিমান বন্দরে যে হামলা চালানো হয়েছিলো তার চালক কফিল আহমেদও ছিলো হিজবুত তাহরির একনিষ্ট কর্মি। ”
শুধু সিরাজ মেহের নয় ছেড়ে আসা আরেক বৃটিশ তরুনের সাক্ষাতকারও উল্লেখযোগ্য
Click This Link
২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে মার্কিন ও ইসরায়েলি দূতাবাসে জঙ্গিরা আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনার জন্য উজবেক সরকার হিজবুত তাহরিরকে দায়ী করে।
যে সব দেশে হিযবুত তাহরির নিষিদ্ধ
পৃথিবীর প্রায় ২০টি দেশে হিযবুত তাহরীরর নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ দেশগুলোর তালিকায় অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্যেও ইসলামী দেশ।
মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে হিজবুত তাহরিরকে মনে করা হয় তালেবান ও আল কায়েদার সংশ্লিষ্ট সংগঠন। উজবেকিস্তান,তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান, জার্মানি ও রাশিয়ায় হিজবুত তাহরিরকে আল কায়েদার সাথে সম্পর্ক থাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমনকি পাকিস্তান সহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশে হিজবুত তাহরির নিষিদ্ধ।
২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রƒয়ারি লন্ডনের নিউ স্টেটসম্যানে হিজবুত তাহরির সাবেক এক মহিলা কর্মি ’উম্মে মুস্তফা’ ছদ্ম নামে সাক্ষাতকার দেয়। পশ্চিম লন্ডনের ব্রƒনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, “অনেক কঠোর নিয়ম কানুন মেনে হিজবুত তাহরিরের উপরে উঠতে হয়। যারা নতুন সংগঠনে আসে তাদেরকে দারিস বা ছাত্র হতে হয়।
তারপর দীর্ঘ সময় ধরে একনিষ্টতা প্রমানের মধ্য দিয়ে হিজবুত তাহরির সদস্য পদ অর্জন করতে হয়। ” তিনি আরো বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি হিজবুত তাহরির রাজনৈতিক ধারণা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে, যা ইসলাম থেকে একেবারই ভিন্ন। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আব্দুল কাদিম জাল্লুমের লেখা একটি বইয়ে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ”প্রয়োজনে লাখ লাখ মুসলিম ও অমুসলিমকে হত্যা করতে হবে। জুলুমবাজ শাসকদের সাথে তাদের পার্থক্য কোথায়। ”
যে সব কারণে হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ
হিযবুত তাহরির আল কায়েদার মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।
এরা একে অন্যের জন্য কাজ করে। মধ্য এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের সাথ জড়িত থাকার অপরাধে হিযবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৪ সালে তাজিকিস্তানের তাসখন্দে বোমাহামলায় মারা যায় ৪৭ জন নাগরিক। এই বোমা হামলার জন্য তাজিকিস্তান সরকার তাদেরকে দায়ী করে। এমনই তথ্য পাওয়া গেছে Click This Link C2E7-4BE7-89C7-5CA39EC49F3D.html (April 30 2006).
২০০৫ জুলাইতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এক মসজিদ থেকে আত্মঘাতি সদস্য সংগ্রহের সময় অস্ট্রেলিয়ান পুলিসের হাতে আটক হয় হিযবুত তাহরির বেশ কয়েকজন সদস্য।
হিজবুত তাহরির শুরুটা হয় অহিংস এবং প্রত্যেক ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধাবোধ রেখে ইসলামকে শ্রেষ্ট প্রমান করে। ড. জাকির নায়েক, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ,শেখ আব্দুলা হাকিমের মথো তাত্বিকদের নিয়ে দর্শনির মাধ্যমে ইসলামি জলসার আয়োজন করা হয়। তবে এ ধরণের জলসার মূল টার্গেট থাকে সংগঠনে নতুন কর্মি রিক্রুট করা এবং আল কায়েদা বা আল মুজাহিরুনের মতো সংগঠনে যুবকদের ভিড়ানো। হিজবুত তাহরির হোলো এমন এক ধরণের সংগঠন যেখানে সরাসরি জঙ্গি তৈরী না করলেও জঙ্গিবাদ অনুশিলনের জন্য আল কায়েদা অথবা আল মুজাহিরুনের কর্মি সাপ্লায়ের একটা সংগঠন মাত্র।
হিজবুত তাহরির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের বা ইসলামী বিপ্লবের জন্য তিনটি কর্ম পদ্ধতি ঠিক করে।
প্রথম, একটি সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক গ্রƒপ তৈরী করা যারা হযরত মোহাম্মদ (সা এর সঙ্গিদের মতো লড়াকু আর মনোবলে সবল। দ্বিতীয় , জনগণের মধ্যে ইসলামী ভাবধারার আলোকে খিলাফতের পক্ষে মতামত তৈরী করা এবং তৃতীয়ত, সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বিশেষ করে মিলিটারী কর্মকর্তাদের মধ্যে নিজেদের লোক নিয়োগ করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় হিজবুত তাহরির মতাদর্শনুযায়ী চালনা করা। কাজাখস্তানের রিস্ক গ্রƒপের প্রধান তাত্বিক দোসাম সাত্রপায়েভ এর মতে “ হিজবুত তাহরির পরিকলপনা তিনটি স্তরে বিকশিত হয়। প্রথমে তারা নতুন সদস্য তৈরী করে তারপর তারা খুবই গোপন কেন্দ্র গড়ে তোলে এবং শেষতক তারা সরকারের অজ্ঞাতে তাদের কার্যক্রমকে সামনে নিয়ে আসে এবং পার্টিকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করায়।
তবে হিজবুত তাহারির রয়েছে বিশ্বব্যাপি আর কায়েদার সাথে নিবিড় সম্পর্কের অভিযোগ।
স¤প্রতি ইউটিউবে একটি ভিডিও এই অভিযোগকে আরো গভির করে তুলেছে। হিজবুত তাহারির-আল কায়েদার সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছে কাউন্টার টেরিরজম নামের একটি গ্রƒপ। তাদের বক্তব্য
HT’s focus in recent years, and perhaps the greatest threat posed by the group, has been on the recruitment of youth members. In that regard and as reported in the August Jamestown, HT has been producing videos that include hip-hop fashion boutiques and hip-hop bands, as well as the use of online social networks, video-sharing networks, chat forums and blogs (Terrorism Monitor, August 16). A number of observers, including those in the public sector, have remarked over the past year and a half on the increase in the number of videotaped messages released by AQ and the higher technical quality of the presentations.
It is in the context of HT’s use of and expertise in technology that the latest clue lies with respect to what is probably its true relationship to AQ. The aforementioned coverage of the 7 September disclosure included the reported AQ order to shut down its Internet-based communications network. That order, it was said, went to “a team of technical workers in Malaysia.” It is likely highly significant, then, that the first words to appear on the screen of the YouTube video are “HIZBUT TAHRIR MALAYSIA.”
দ্যা নিউইয়ার্ক সান প্রত্রিকাটি ধারনাটি আরো ভাবিয়ে তুলেছে। ২০০৬ এর ৯ অক্টোবার প্রত্রিকাটা বলছে,
An unauthorized disclosure on 7 September that revealed the existence of an Al Qaeda Internet-based communications network received extensive coverage at the time. In the context of earlier reporting by The Jamestown Foundation (see Terrorism Monitor, August 16), however, the 7 September leak points also to the likelihood of a much closer working relationship between AQ and another Jihadist group - the London-headquartered Hizb ut Tahrir (Party of Liberation) (HT) - than had been known previously. The relationship may in fact be that of Superior-Subordinate rather than that of merely independent groups espousing the same ideology.
On 7 September, four days before its apparent intended publication date on the sixth anniversary of 9/11, the ABC News website reported excerpts from a videotaped address by Usama Bin Ladin. Subsequent reporting revealed that the 7 September compromise had alerted AQ to the ability of non-members to acquire its intra-group communications and that AQ had shut down the network in very short order. Since the Internet-based network was used also to convey revenue- and personnel-related matters, that shutdown reportedly resulted in the loss of insight into far more than just pre-publication Bin Ladin videotapes. The order to shut down the AQ network reportedly was originated by Al Qaeda´s internal security apparatus and was issued to a team of technical workers in Malaysia (9 October, quoting The New York Sun).
ডিসকভারের তাত্ব্েিকরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে হিজবুত তাহারির একটি সুসংগঠিত পার্টি।
এই সংগঠনটিকে ডিসকভার তুলনা করেছে লেনিনিয় কমিউনিস্ট ধাঁচের সংগঠিত পার্র্টি হিসাবে যাদের আদর্শ আবার মার্কসবাদ নয়। ডিসকভারের মতে ’
According to Heritage Foundation researcher Ariel Cohen, Hizb-ut-Tahrir is a "totalitarian organization, akin to a disciplined Marxist-Leninist party, in which internal dissent is neither encouraged nor tolerated." Candidates for membership undergo two years of indoctrination, becoming full members only after they "mel[t] with the Party." Members belong to compartmentalized cells and know the identities of only the others in that cell. "When a critical mass of cells is achieved," writes Cohen, "according to its doctrine, Hizb may move to take over a country in preparation for the establishment of the Caliphate." Hizb-ut-Tahrir reportedly has cells in 40 or more nations..
তবে এই সংগঠনটির কাজের সাথে জর্জ বুশের ওয়ার অন টেররের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। যার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক সংকটকেই মূলত পাশ কাটিয়ে তথাকথিত সভ্যতার সাথে সভ্যতার ( clash of civilization : Huntington) দ্বন্ধ বলে চালিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। আর কাজের স্বিকৃতিস্বরুপ হান্টিংটটকে নগদে প্রায় ১শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছিলো ফোর্ড ফাউন্ডেশন। পাঠকের আরো স্মরণে থাকার জন্য বলছি আমেরিকার এই ফাউন্ডেশনটি আমেরিকার পক্ষে অন্যায় যুদ্ধের কৌশল আবিষ্কার করার জন্য পেন্টাগণকে প্রতিবছর কোটি কোটি মিলিয়ন ডলার দিযে থাকে।
আর তত্ত্বটিও আমেরিকা তার নিজের স্বার্থে তৈরী করেছে তখন, যখন মার্কিনিরা বুঝতে পেরেছে (সেই সত্তুরের দশকে) সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গতে যাচ্ছে। সমাজতন্ত্র না থাকলে সাম্রাজ্যবাদী পুজি বা ফিন্যান্স ক্যাপিটালের সংকট কিভাবে কাটিয়ে উঠবে। আর এ কারণে দরকার দেশ দখলের মধ্য দিয়ে কর্পোরেট কোম্পানীর মুনাফা অটুট রাখা। মার্কসবাদীরা এক বলছেন ওয়ার ইকোনমি। ওয়ার ইকোনোমির মধ্য দিয়ে এক দিক দিয়ে যেমন বোমা মেরে সব কিছু ধ্বংস করবে আবার সেই দেশ গঠনের কথা বলে রিয়েল এস্টেট কর্পোরেট কোম্পানীর মুনাফা দ্বিগুনে পরিনত হয়।
আবার অন্য দিকে যে সব অস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে সেই সব অস্ত্রতো খোদ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর কর্পোরেট কোম্পানীই তৈরী করেছে। একই বলে শাকের করাত। আসতেও কাটবে, যেতেও কাটবে। ইরাকে যে সব অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে মার্কিন সেনাবাহিনী তার অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্টের কার্লাইল অস্ত্র কোম্পানির অস্ত্র। আর মহান (!) কার্লালাই কোম্পানটি বুশ ও লাদেনের।
এখন সংগত কারণে প্রশ্ন উঠতে পারে তা হলো যে যুদ্ধ হচ্ছে তা কী সবটাই সাজানো? যুদ্ধ নিশ্চয়ই সাজানো নয়, তবে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটটি সাজানো। যার পেছনে আছে মার্কিনিদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত দেশে দেশে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গিগোষ্টি। এই সাজানা প্রেক্ষাপটটি বাংলাদেশেও তৈরী করার চেষ্টা চলে আসছে বহুদিন ধরে। এই তৎপরতার বাস্তব ভিত্তি হচ্ছে দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী শোষণ তিব্র থেকে থেকে তিব্র হচ্ছে। আর ঐ সব দেশের শাসকশ্রেণী জনগণের ন্যুনতম চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
আর এ সাজানো যুদ্ধের মঞ্চ বা প্রেক্ষাপট তৈরীর জন্য দেশে দেশে যে সব সংগঠন কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হিজবুত তাহরির। প্রথম দিকে এই সংগঠনটি কোন সদস্যের কাছে খুবই অহিংস আর শান্তিপূর্ণভাবে সমাজ পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে প্রধান থাকে বুদ্ধিবৃর্তিক পরিবর্তন। অর্থ্যাৎ সমাজের চলমান নীতিগুলো লজিকের মাধমে ভুল প্রমান কওে তার পক্ষে হিজবুত তাহারির পক্ষে মতামত তুলে ধরা। কিন্তু বাংলাদেশে স্বল্প সময়ে হিজবুত তাহারির যতোটুকু কাজ করেছে তা ভায়োলেন্সই বলা যায়।
বিশেষত নারী অধ্যাদেশ নিয়ে হিজবুত তাহারির বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে না যেয়ে ভালোলেন্সের পথেই গিয়েছে। তবে হিজবুত তাহারির ততোক্ষণ অহিংস থাকে যতোক্ষন না তাদের কর্র্মী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দলের জন্য করার মানুষিকতা তৈরী না হয়। এরকমটিই বললেন হিজবুত তাহারির ছেড়ে যাওয়া এক কর্মী।
"ঋ"Former Hizb-ut-Tahrir member Ed Husain, who left the organization and denounced it in his 2007 book The Islamist, says: "The only difference between Islamists from Hizb ut-Tahrir and jihadists, is that the former are waiting for their state and caliph before they commence jihad, while the latter believes the time for jihad is now."
Far Eastern Economic Review-তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে পাওয়া যাচ্ছে আরো গভির বিম্লেষণ। গবেষক আহম্মেদ রশিদ হিজবুত তাহারির নিয়ে কাজ করেছেন বহুদিন।
Far Eastern Economic Review - -জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে আহম্মেদ রশিদের সাথে খোলামেলা কথা বলেছে হিজবুত তাহারির শীর্ষ এক নেতা। নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের পরিচয় গোপন করে এই নেতা আহম্মেদ রশিদকে জানিয়েছেন,
Avn‡¤§` iwk`‡K Rvwb‡q‡Qb,
Hizb-ut-Tahrir was formed in Saudi Arabia as a pan-Islamic movement in the 1950s. At that time we had a united plan with the Wahabbi movement, but we soon split because Hizb-ut-Tahrir wanted to bring about sharia {Islamic religious law} in a peaceful manner while the Wahabbis were extremists who wanted guerrilla war. Hizb-ut-Tahrir went underground during Soviet times and many members were in Soviet prisons. But today we have tens of thousands of members across Central Asia. We want to make a caliphate (Islamic state) which will reunite all the Central Asian states. Hizb-ut-Tahrir wants a peaceful jihad, but ultimately there will be war because repression by the Central Asian states is so strong
On relations with the Islamic Movement of Uzbekistan
The aims of the Hizb-ut-Tahrir and the IMU are for a caliphate in Central Asia, but the ways to achieve it are different. The Hadith {sayings of the Prophet Mohammed} says when the world ends there will be 73 Islamic movements and only one of them will be right. Only Allah knows which movement will be right.
On women's rights, and the Taliban
We support the Taliban and many Hizb-ut-Tahrir members have fled to safety in Afghanistan to escape the crackdown in Central Asia. The Taliban have some good ideas. They want a pure Islamic state. The difference between us is that we want a modern life here on earth, to create a heaven on earth and also to prepare people to go to heaven in the afterlife; the Taliban only want an afterlife.’’
ফ্যাসিবাদের মিত্র ছিলো হিযবুত তাহারির প্রতিষ্ঠাতারা
এক সময় মনে করা হতো মুসলিম ব্রাদারউডের থেকে হিযবুত তাহারির জন্ম হয়েছে। তবে সা¤প্রতিক গবেষনায় এ মতটি আর আগের মত গ্রহনীয় নেই। সা¤প্রতিক এক গবেষনা দেখা গেছে হিযবুত তাহারির প্রতিষ্ঠাতা তাকি আল-দিন-আল নাবানির ঘনিষ্ট বন্ধু হাজ আমিন আল হুসাইনি হিযবুত তাহারির গড়ে তোলার জন্য বিপুল পরিমান অর্থ দিয়ে নাবানিকে সাহায্য করে। নাবানির সাথে হাজ আমিন আল হুসাইনির পরিচয় হয় ৩০-এর দশকে।
হাজ আমিন আল হুসাইনি জেরুজালেমের প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষপটে হাজ আমিন আল হুসাইনির সাথে জার্মান নাৎসি পার্টির সাথে ঘনিষ্টতা বড়ে। ১৯৪১ সালের নভেম্বরের দিকে হিটলারের সাথে দেখা হয় হাজ আমিন আল হুসাইনির। এসময় ইহুদি বিদ্দেশী প্রচারের জন্য জেরুজালেমের এই প্রধান মুফতি হাজ আমিন আল হুসাইনিকে প্রতি মাসে ২০ হাজার মার্ক করে দেওয়া হতো। এই অর্থের বিনিময় তিনি বলকান অঞ্চলে মুসলমানদের ইহুদি বিরোধী র্যালির আয়োজন করতেন।
বার্লিনে তিনি হেনরিক হিমলারের (Heinrich Himmler) এবং তার এ্যসিসট্যন্ট এডলফ ইচম্যানের এর সাথে দেখা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও পওে নুরেমবার্গ ট্রায়েলের সময় এডলফ ইচম্যানের বন্ধু উইজেলেসেন্সি ইহুদি হত্যা প্রসঙ্গে বলেন যে, জেরুজালেমের প্রধান মুফতি হাজ আমিন আল হুসাইনি ইচম্রানকে বার বার ইহুদি নিধনের বিষয়টির উপর চাপ প্রয়োগ করছিলো। উইজেলেসেন্সি তার স্বাক্ষ্য বিচারককে বলেন,
""After Mufti Ali-Husseini arrived in Germany, he paid a visit to Himmler. A shortwhile thereafter the Grand Mufti visited the director of the Jewish Section at the Gestapo Department IV, Obersturmbannführer Adolf Eichmann, in his office in Berlin, 166 Kurfürstenstrasse. I no longer remember the exact date of the visit. Possibly it was at the end of 1941 or the beginning of 1942.
By chance I was with Eichmann in Berlin a few days later, when he told me in detail about this visit. Eichmann lectured to the Grand Mufti in his Map Room, where he had collected statistical acounts of the Jewish population of various European countries – he lectured in detail about the solution of the Jewish Question in Europe. The Grand Mufti, according to him, was most impressed and said to Eichmann that he had already asked Himmler and had in fact secured Himmler's consent on this point, that a representative of Eichmann should come to Jerusalem as his personal advisor when he, the Grand Mufti, would go back after the victory of the Axis Powers. In that conversation Eichmann asked me whether I was not willing to take the post. But I rejected in principle such Oriental adventures.
Eichmann was greatly impressed by the personality of the Grand Mufti. He repeately said to me, both then and on a later occasion, that the Mufti had made a powerful impression on him, and also on Himmler, and that he had an acknowledged influence in Arab-Jewish affairs.
To my knowledge, Eichmann saw the Mufti from time to time and spoke to him."
হাজ আমিন আল হুসাইনি হিটলারের ফ্যাস্টিট কর্মেও ঘোর সমর্থক সেটা তার নিজের লেখা ডাইরি পড়লে বোঝা যায়।
After the war the Mufti's diary was found by the Allies. On a page bearing the date of 9 November 1944 the following words had been written: "The best of the friends of the Arabs. Eichmann." Above the word "Eichmann" (written in Latin charaters) appeared the Arabic words in Al-Husseinis' own handwriting: "fairus nadira jiddan" and "Kheir mukhlis lil-arab" – "a very rare diamond" and "the best redeemer for the Arabs."
ঘার সমগ্র পৃথিবী যখন ফ্যাসিবাদেও সাথে লড়াইয়ে জীবন বাজি রাখছে ঠিক তখন ফ্যাসিবাদেও সাথে মিলিত হচ্ছে আরকে ফ্যাসিবাদী শক্তির অর্থ ও মদদ দাতা হাজ আমিন আল হুসাইনি। জর্ডান সরকার হিযবুত তাহারির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে এই মানবতা বিরোধী উগ্র সা¤প্রদায়িক শক্তির রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পৃষ্টপোশককে গ্রেফতার করে এবং হিযবুত তাহারিরকে নিষিদ্ধ করে।
মার্কিনরা এবার দক্ষিণ এশিয়ায়
ঘাটি হবে বাংলাদেশে
মার্কিনিদের নতুন যুদ্ধক্ষেত্রের নাম দক্ষিণ এশিয়া। তার মহড়া হিসেবে আফগানস্থানে সৈন্য বাড়াচ্ছে মার্কিনিরা। আর এই যুদ্ধের পশ্চাদভূমি হবে বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে মার্কিনিরা। মার্কিনিদের যুদ্ধের পশ্চাতভূমির জন্য বাংলাদেশকে প্রথমে একটি জঙ্গিবাদি রাষ্ট্র হিসেবে প্রশান করার দরকার।
তবে আমার বলার উদ্দেশ্য মোটেও এ নয় যে বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদি সংগঠন নেই। অবশ্যই আছে। তবে সেগুলি কোনো না কোনোভাবে বিদেশী সাহায্যপুষ্ট সংগঠন। হিযবুতদ তাহরীর সে রকমই একটি সংগঠন। যারা সাহায্য দিচ্ছে মৌলবাদীদের, তারাই আবার মৌলবাদী বলে বাংলাদেশকে আক্রমণ করবে।
ঈমান ঠিক রেখে, লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে গভির আরো বিশ্লেষনের দাবি রাখে বাংলাদেশের ভবিষৎকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।