এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
আকাশের যতো তারা আছে সেই সংখ্যাকে যদি আপনার মাথায় যতো চুল আছে তা দিয়ে গুণ করে বাংলাদেশের আয়তন দিয়ে ভাগ করা হয় তবে কতো হবে বলুন তো? হিসাবটা খুবই কঠিন যদি তা আপনি কাগজ কলম ব্যবহার করে করেন।
আর কম্পিউটার ব্যবহার করে করতেও সময় নেবে কয়েক মিনিট। কিন্তু আজ আমরা এমন এক কম্পিউটারের কথা বলবো যা কিনা এরকম কয়েক কোটি হিসাব করে ফেলতে পারে এক নিমেষেই।
তেমনই একটি কম্পিউটার ইউজিন (JUGENE)। এর ক্ষমতার কথা শুনলে যে কাউকে অবাক হতেই হবে।
কারণ ইউজিন নামের এই কম্পিউটারটি এক সেকেন্ডে এক লক্ষ কোটি হিসাব করতে পারে। এটি বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুততম কম্পিউটার। আর পৃথিবীর মধ্যে এর অবস্থান দ্বিতীয়।
সম্প্রতি জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলে থেকে বেশ কিছু সাংবাদিক যান এই কম্পিউটার দেখতে। এটি রাখা আছে জার্মানীর ইউলিশ শহরের সুপার কম্পিউটিং সেন্টারে।
বিশাল একটি হল রুমের মধ্যে সারি সারি রাখা
বাক্স, যার মধ্যে রয়েছে প্রসেসর, ব়্যাম আর যাবতীয় সব আধুনিক যন্ত্রপাতি। বিশাল এই কম্পিউটার যে চলছে তা বোঝা যায় রুমের মধ্যে শোঁ শোঁ আওয়াজ শুনলেই। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো এই সুপার কম্পিউটারটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে এর ভেতরই রয়েছে বড় বড় পানির পাইপ।
ইউলিশ সুপারকম্পিউটিং সেন্টারের ইন্সটিটিউশন ফর এডভান্সড সিমুলেশন বিভাগের ড. নর্ব্যার্ট আটিগ জানালেন ইউজিন আসলে কি? আর এটি কেনই এতো বিখ্যাত।
সুপার কম্পিউটারের প্রধান কাজ বেসিক ন্যাচারাল সাইন্সের বিশেষ ধরণের বিষয় নিয়ে কাজ করা।
হতে পারে তা ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বা বায়োলজির মতো বিষয়ে৷শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন সুপার কম্পিউটার পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্হাপনা করতে পারে।
কম্পিউটারটির মোট প্রসেসরের সংখ্যা ৭৩ হাজার। যা চার ভাগে বিভক্ত। এর ব়্যাম রয়েছে ১৪৪ টেরাবাইট। আর মেমোরি হলো ৬ প্যারাবাইট।
ইউলিশ সুপার কম্পিউটার সেন্টার এর পরিচালক খুব খুশি হয়েই জানালেন, সাধারণ ৫০ হাজার কম্পিউটারের যে ক্ষমতা তা একসঙ্গে একাই করতে পারে ইউজিন।
সাধারণত এই কম্পিউটারটি ইউরোপের বড় বড় কোম্পানি বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের হিসাবের কাজে ব্যবহার করে থাকে। যেন খুব দ্রুত এবং নিখুঁত ভাবে হিসাব করা সম্ভব হয়। ড. নর্ব্যার্ট আটিগ ডয়চে ভেলেকে জানান, এমন কোন হিসাব নেই যা এই কম্পিউটার দিয়ে করা সম্ভব নয়। ন্যানোটেকনোলজি থেকে শুরু করে ন্যানোইলেকট্রনিক্স, ম্যাটেরিয়াল সাইন্স থেকে বায়োলজি এমনকি প্রকৌশল বিভাগের যে কোন কাজ নিমেষেই করা সম্ভব এই সুপারকম্পিউটার দিয়ে।
সাধারণ কম্পিউটারে যে সব কাজ অর্থাৎ মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড বা এক্সেল এর মতো সব ধরণের কাজই করতে পারে এই সুপার কম্পিউটার। কিন্তু তার প্রয়োজন হয়না। কারণ এই কম্পিউটার কোন বিশেষ কোডের মাধ্যমে চলে, যা লেখা হয় কোন বিশেষ গবেষণার জন্য, হতে পারে তা ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি বা বায়োলজির কোন নতুন গবেষণা। আর তখন নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে গবেষক ইউজিন ব্যাবহার করতে পারেন।
সুপার কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
এপর্যন্ত ইউরোপের ২শরও বেশি গবেষক ইউলিশ সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেছে। যেখানে স্বাস্থ্য, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সাধারণ ব্যবহারকারীরা এই সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন যদি তার কাজের ধরণ সেই রকম হয়। আর তার জন্য ইউলিশ সুপারকম্পিউটার সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বেশ আগে থেকেই। যদিও এই কম্পিউটারে কাজ করার জন্য একজন ব্যবহারকারীকে ইউলিশে আসার প্রয়োজন নেই।
কারণ একটি নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে গ্রাহক তার ঘরে বসেই ব্যবহার করতে পারেন ইউজিন।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।