আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
বন্ধুটি আমার বড় অসাধারন , দেখা হইয়াছিলো প্রথম কিউ কে হলে। নাম জিজ্ঞেস করিতেই বলিয়া দিলাম, "দুস্ত আমার ভ্যান স্যাম দ্যা কোয়েস্টো"। শুনিয়াছিলাম ঢাকা ভার্সিটিত পাইয়াছিলো চান্স, এ্যাপ্লাইড পজিক্সে ভর্তি হইয়া যখন করিবে ক্লাস, তখনি শুনিলো স্বাধের ইন্জ্ঞিনীয়ারিং এ পাইয়াছে চান্স, মিস্ত্রি হইবার কপাল খুলিয়া হইয়া গেলো খাল। মূলতঃ ভর্তি হইয়াছিলাম মোরা দুইজনে খুলনা বিআইটিতে, সব ছানাপোনা সিভিল লাইনে কোথায় আমি কোথায় সে।
তবে দেখিয়াছিলাম সেথা দুইখান হট মাইয়া, একজনের বাপ নৌবাহিনীর আরেকজনের খবর জানি না। বন্ধুর কথা অনুযায়ী সেই ললনারে করিয়াছিলো হেল্প ফরম পূরনে, যখন আমরা ব্যাস্ত মেডিক্যাল টেস্টের নামে প্যান্ট খুলনে!
অটোমাইগ্রেশন করিয়া চলিলো যখন ৪ বছরের কোর্স ৬ বছরের দৌড়ে, কতটা উচ্ছ্বাস, কতটা নাভিশ্বাস, কত না হাসি কত না কান্না বলিবো আমি সব মহা রাম সন্যা!
বড় আজিব চীজ ছিলো তাহার দুই রুম মেট একছিলো পরানের বশীর আরেক হইলো "বদে মাল" ডিটেরজেন্ট। কিভাবে সে করিলো পার দীর্ঘ ৫ বছর হগাদের সনে, চিন্তা করিলে মাথায় পানি দিয়া চইলা যাই বনে। যখন তাহার বন্ধু বদি সুইডেন থিকা পাঠাইতো সব রগরগে খবর, মন তাহার হইতো উচাটন," শালা লাইফ যৌবন সব পাইলো জানাযা উইথআউট কবর!"
অনিলের ঝাড়ি, শুভর খোচানী, অশোকের কুতানী সব কিছুতেই সে থাকিতো নির্বিকার, খালি বৃহস্পতি আসিলে কইতো," পার্টি নাইট পালন করুম, কিন্তু কই যামু এইবার!"
এতো নানা উথ্থান পতনে ছিলো কিছু বিরহ, ঢাকায় থাকা সখী শুধু জিজ্ঞেস করিতো অহরহ। দেয়াতো যায় না বাধ সময়ের মুখে, বাবা মা যে তাহার গন্ডোগোল করিতেছে।
দেখিতে দেখিতে একদিন সে চলিয়া গেলো আমেরিকা, বন্ধু ছিলো উপর দিয়া সেদিনও চুপচাপ, ভিতরের ঝড় চোখে দেখি না!
শুধু কিছু লাইন:
যদি একটি দিনের জন্য হতাম ঈশ্বর
বুক আগলে রুখে দিতাম মহা প্লাবন
যে প্লাবনে ছিলো সানাইয়ের ছন্দ
চোখ ভরা অশ্রুতে বুকে কিছু দন্ধ্ব
বজ্রনিনাদ থাকিতো বশে
তুমি আজ শুধু আমারি জন্যে!
মনে পড়ে দুইজনে পাড়ি দেবো তেরো নদী সাত সমুদ্দুর, ডুবে যদি যায় আমাদের খেয়াতরী, আমার থাকিতে পরান মরিতে না দেবো হায়, কেমনে সহিবো দেখিতে তুমি ডুবে গেলে হায়।
এভাবেই বুকে হাহাকার মুখে হাসি নির্বিকার নিয়ে পাশ করিলাম এক সাথে, চাকরীর ঘোড়া দৌড়ে আজ বিত্তের পথে কিনিয়াছে গাড়ি। তবু এখনো চুপচাপ আগের মতোই, জানতে ইচ্ছে করে একটিবার, বুকের ভিতর প্রশান্ত সাগর নিয়ে শান্ত থাকো কেমনে প্রতিবার!
বি.দ্র. আমার এই বন্ধুটির রেজাল্ট আমার চেয়ে ভালো, যদিও এযুগের পোলাপানের কাছে এগুলা বললে হাসাহসি শুরু হয়ে যাবে। ওর আইডিয়া গুলো সবসময়ই ডাইনামিক; একদিন ও আর রাজীব আমাকে একটা আইডিয়া দিলো হলের ভিতর ইন্টার-নেটওয়ার্ক করতে। তখন আমরা আসলেই অজোপাড়াগায়ে থাকতাম, সিএসই কেবল খুলেছিলো চুয়েটে।
তখনও তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে অন্তত আমাদের মধ্যে কোনো গরজ ছিলো না। নেটওয়ার্কিং করে এক সকালে আমরা পোস্টারিং করলাম হলে হলে। থারড ইয়ার পর্যন্ত এই নেটওয়ার্কে ৯৬, ৯৭ এর বড় ভাইরাও যুক্ত হয়েছিলো যেটা এর আগে কখনো হইছিলো না। এখন বন্ধুটি বাংলাদেশের শীর্ষস্হানীয় টেলিকমের এক ভেন্ডরে মাক্স স্পেশালিস্ট হয়ে কাজ করছে, মূলত বাংলাদেশের টেলিকম নেটওয়ার্কের জন্য মাক্সের ট্রাবলশুট আর ট্রেনিং এরজন্য ওর বিকল্প খুব আছে মনে হয়! কিন্তু এখনো এমন ভাব যে সে কিছুই জানে না। নিরহংকারী হয়তো একেই বলে! রাজীব মনে হয় এরিকসন ইন্দোনেশিয়া আর আমাদের "রেইন অব কাউ" মানে ভোম্বল কাউসার জিপিতে ভৈরবের দায়িত্বে!
সবাইকে ইদানিং মিস করি আর করি স্মৃতিচারন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।