পাখি পর্ব চলছে
মেলা দিন শাহবাগ যাওয়া হয় না। পুরান জায়গা, মনটা বড় আঁইডাই করে। কী করুম ভাই সময় তেমন একটা পাই না। তো যাবো না যাবো না করেও যাওয়া হল। ম্যালা মানুষ! মাইয়া-পোলায় ভরপুর!! তো আইলামই যখন, খুঁইজ্যা দেহি পুরান পাপী কেউ আছে নি।
আতি পাতি খুঁইজ্যাও কাউরে পাইলাম না। ভাবলাম, সবেতো কলির সন্ধ্যা বেলা, রাইত তো পইরা রইছে। তো হঠাৎ, বটগাছের গোড়ায় দেহি কী, কেমন চেনা চেনা ঠেকে একজন বইসা রইছে। আউগায়া গ্যালাম। সন্দিহানভাবে হাতখান আউগায়া দেলাম।
আলোআঁধারীর মাঝে খপাত কইরে হাতখান টাইনে নিয়ে লোকটা বলে, জী ভাই, আমি কলিগ।
আরে হালায় এইডা কারো নাম হইবার পারেনি! কলিগ? আমারোতো কলিগ আছে-পোলা-মাইয়া উভয় শ্রেণীর। লোকটা মিচকে মিচকে হাসে, ডরাইছেন তো! টাক্কু ব্যাটায় আমার নাম দিছে কলিগ। হ্যাঁ রে ভাই কৌশিক।
মানে কী?
ব্লগ; সামু।
কৌশিক...
ধুর মিয়া আগে কইবেন না। বহেন চা খাই। তো হ্যায়তো হ্যালমেটা আর ব্যবহার করে না দ্যাখতাছি।
সবাই বুইঝা গ্যাছে গা। তাই সত্য প্রকাশের জন্য হ্যায় হ্যালমেট খুইল্যা ফালাইছে।
মহান সাজবার লাগবো না।
আপনের খুব রাগ নাহি অর উপর।
আরে কী যে কন না, আমারে খালি খালি হিট খাওয়াইছে। আমি তো বহুত কৃতজ্ঞ।
কিন্তু হ্যায় তো আপনের হাঁড়ির খবর শুদ্দ লেইখ্যা ফ্যালে।
কী আর কমু, বন্ধু মানুষ।
চা আসে। আমরা পাম ফ্যাট সমৃদ্ধ চা খেতে থাকি।
আমারে চিনলেন ক্যামনে। আমি বলি।
এমনি এমনি চিনলাম।
বা...তো ভাইজান একখান কথা কইবার চাই, এই যে কৌশিক মালডায় আপনার প্যাদা টিংটিং কইরা ছাইরা দিচ্ছে আপনি কিছু কন না ক্যান।
কইলাম তো ভাই...বন্ধু মানুষ।
আমরা দু'জনে সিগারেট ধরাই।
ধোঁয়া ছেড়ে আমি বলি, তাই বইলা ঘরের খবর।
নতুন কিছু কইছে নাকি।
আরে না, ওই যে আপনি বোলে ভূমিকম্প বাধাই দিছিলেন, রাত্রি বেলা। হেই কথাতো হ্যায় ল্যাখচে পরদিনই। ...আর আপনার বোলে কী ছাড়া চলেই না।
কলিগ এবার কেমন যেন হয়ে যায়।
আলোআধাঁরিতে তেমন কিছু বোঝা যায় না। তবে বুঝতে পারি... অফিসে যাইয়া কৌশিকের... আমি চুপ মাইরা যাই।
এখানে দেখুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।